সাহিত্যের ইতিহাস
মানুষের অনুভব অদৃশ্য,
অশ্রুত।
তা স্পর্শের অতীত, অতীত ঘ্রাণেরও। তাকে অনুমান
করতে পারে না কোন চোখ, বরণ করতে পারেনা কোন কান বা
নাক অথবা কোন সংস্পর্শ। কেবল অনুধাবন করা যায় তাকে মেধায় ও মননে। সাহিত্য হলো সেই
শক্তি যা নিজ নিজ জীবনের বাইরেও অসংখ্য জীবনকে ঘটনা, গল্প
বা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুধাবন করাতে পারে আমাদের। সাহিত্য তার অপূর্ব শক্তি দিয়ে
আমাদেরকে অত্যন্ত সহজে পৌঁছে দিতে পারে আমাদের দূর যেকোন সময়ের যেকোন স্থানের
মানুষের ভূবনে। তাদের সুখ-দুঃখের বর্ণনার মধ্য দিয়ে দোলাতে পারে আমাদের হৃদয়। পাঠক
যখন পড়ছেন কোন সাহিত্য তখন তিনি তার অনুভবের নৌকায় ভেসে চলছেন সাহিত্যেকের সৃষ্ট
জীবন-সাগরের স্রোতে। সেই সাগর পাড়ি দিতে তিনি অক্লান্ত,
এবং
অনেক সময়ই, আনন্দিত।
মানব-প্রাণ আর সব প্রাণের মতো নিজেকে
প্রকাশ করতে চায় প্রতি নিমেষে। কিন্তুতার নিজের কি আছে যা সে প্রকাশ করবে?
সে
প্রকাশ করতে চায় অপ্রকাশিতকে, মূর্ত করতে চায় বিমূর্তকে।
অর্থাৎ,
যত
কিছু মানুষ প্রকাশ করে তার সবই এক সময় ছিলো অপ্রকাশিত। অপ্রকাশিতকে প্রকাশ করার এই
আয়োজনে অংশ নিয়েছে মানব ভাষা। শিল্পকলা। ভাষা কেবল অপ্রকাশিতকে প্রকাশ করেনা,
তা
প্রকাশ করা সম্ভব এমন বিষয় বা ঘটনাকে সহজে প্রকাশ করে ও পৌঁছে দেয় মানুষের
চেতনায়। ভাষা তাই সাহিত্যের শরীর। তার মাঝে প্রাণ সঞ্চার করে পাঠকের কল্পনা। যে
কোনো সাহিত্য কর্মকে তাই ব্যাখ্যা করা যায় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। একই সাহিত্য পাঠ করে
বিভিন্ন পাঠক তাই অর্জন করেন বিভিন্ন অনুভূতি। সাহিত্য তাই লেখক ও পাঠকের যৌথ
প্রয়াস;
তাকে
স্রেফ লেখকের ভূবন ভাবার কোন সুযোগ নেই।
অর্থাৎ, সাহিত্য আমাদেরকে প্রথমত
আক্রান্ত করে অনুভবে। পরে তা আমাদের চেতনাকে নিয়ে যায় জীবনের পথে। আর আমাদের চেতনা
নিয়ে সাহিত্যের কাজটি এক ধরনের মানবিক কর্ম। সাহিত্য তাই সব মানুষের জন্য নির্মাণ
করে মানবিকতার মহান সৌধে পৌছানের এক উন্মুক্ত দুয়ার। তবে ব্যাপারটা সবসময় যে
মানুষকে মানবিকতার পথে আন্দোলিত করে এমন নয়। পরোক্ষ উদ্দেশ্য যাই হোক প্রত্যক্ষ ও
সরাসরি অনুভবের সংক্রমণ ঘটানোও হয়ে উঠতে পারে সাহিত্যের মুখ্য উদ্দেশ্য। যেমন,
সোফোক্লিসের
‘ইডিপাস রেক্স’ আমাদের অনুভবের মহাবিশ্বকে কেবল আন্দোলিতই করেনা,
তা
আমাদের মানব-বিশ্বাস ও মানব-আচারকে শিহরিত করে। আমাদেরকে জানায় যে মানব জীবনের
ঘটনা রাশির সব কিছুতে যেমন আমাদের হাত নেই তেমনি অনুভবের দুনিয়াটাও আমাদের
নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেখান থেকে বুঝি জীবনের এক অভাবনীয় দর্শন। সাহিত্যিক হয়েও তিনি
হয়ে ওঠেন শিক্ষক। তার কাজ হয়ে ওঠে মানব জাতির চিরকালীন সম্পদ।
সাহিত্যের ইতিহাস ঘনিষ্ঠভাবে সভ্যতার
বিকাশের সাথে বিবর্তিত। যেমন প্রাচীন মিশরীয় সাহিত্য ও সুমেরীয় সাহিত্য বিশ্বের প্রাচীনতম সাহিত্যের
বিবেচনা করা হয়। প্রাচীন মিশর সাহিত্যে ধর্মসম্মত ও নৈতিক উপদেশমূলক গ্রন্থে, স্তবগান এবং প্রার্থনা
সম্পূর্ণরূপে ছন্দে লেখা হত। বিভিন্ন
ঐতিহাসিক পট জাতীয় ও উপজাতীয় গল্প, পৃথিবী ও সংস্কৃতি,সামাজিক
আচার এবং নৈতিক বা অধ্যাত্বিকতা সাহিত্যে
প্রতিফলিত হয়েছে। হোমার মহাকাব্য, লৌহযুগ , এবং একটু পরে মহান ভারতীয়
মহাকাব্য মৌখিক ঐতিহ্য পুরাতন
কাল্পনিক সাহিত্য। প্রথম দিকে অধ্যাত্বিক. স্তবগান .কাল্পনিক হৃদয়গ্রাহী ও চিত্তাকর্ষক হলেও পরে তা অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান, বিজ্ঞান, ধর্ম, রাজনীতি, সংস্কৃতি, অধ্যয়ন,সামাজিক ও গভীরতা সম্পর্কে
তথ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সাহিত্য জরুরি
অত্যাবশ্যক হয় ।ইতিহাস সম্পর্কে শেখার
পরিপ্রেক্ষিতে সাহিত্য খুব গুরুত্বপূর্ণ
হয়ে ওঠে.
সাহিত্যের ইতিহাস যুগের
ব্রোঞ্জ যুগ সুমেরীয়
প্রাচীন মিশরীয় আক্কাদিয়ান
ক্লাসিক্যাল আবেস্তীয় চীনা গ্রিক হিব্রু
ল্যাটিন পালি প্রাকৃত সংস্কৃত সিরিয়াক তামিল জাপানি
প্রান্তিক মধ্যযুগীয়
:
ব্রিটেনের
ফ্রান্স ম্যাটার আর্মেনিয় বাইজেন্টাইন জর্জিয়ান কন্নড মধ্য ফার্সি তুর্কি রোম
ম্যাটার এর ম্যাটার
মধ্যযুগীয়: প্রাচীন
বুলগেরিয় প্রাচীন ইংরেজী মধ্য ইংরেজি আরবি আর্মেনিয়ান বাইজেন্টাইন কাতালান ডাচ
ফরাসি জর্জিয়ান জার্মান ভারতীয় প্রাচীন আইরিশ ইতালীয় কোরিয়ান জাপানি নেপাল
নেওয়ারী নর্স রাশিয়ান তেলুগু তুর্কি ওয়েলশ
প্রথম আধুনিক
রোমান্টিক আন্দোলন কথাসাহিত্য রোমান্টিক
আন্দোলন কথাসাহিত্য। লোকজ ঐতিহ্য ও পুরাতন পৌরাণিক অনুসন্ধান ,1802 সালে স্যার ওয়াল্টার
স্কট প্রকাশিত স্কটিশ বর্ডার এর চরণগীতি. এম্যেলিয়া poie , 19 শতকের মধ্যে আরেকটি
রোমান্টিক, প্রকাশ
করা হয়েছে কবিতা এবং একটি সক্রিয় যুদ্ধবিরোধী অভিযানকারী ছিল. অ্যানা
ব্যানারম্যান (1765-1829) রাজা আর্থার ও বাজপাখি কিচ্ছাকাহিনী reworked.
রেনেসাঁ বারোক
ইউরোপীয় সাহিত্যে যা রেনেসাঁ সঙ্গে যুক্ত
বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক প্রবণতাও দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। রেনেসাঁ সাধারণ
আন্দোলন যা 14 শতকের ইতালি উঠে 16th
শতাব্দীর
সময় পশ্চিমা জগতে ব্যাপ্ত হচ্ছে পর্যন্ত অব্যাহত মধ্যে লেখা হয়েছিল. এটা একজন
মানবতাবাদী দর্শনের, অনাদিকাল ধ্রুপদী সাহিত্যের
পুনরুদ্ধার গ্রহণ দ্বারা চিহ্নিত করা. বিশ্বের
একটি মানবকেন্দ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা হয়. নিষ্কাম ধারনা পুনর্জাগরিত
এবং খ্রিস্টধর্মের সেবা করা হয়. অজ্ঞান এবং একটি সমালোচনামূলক ও যৌক্তিক আত্মার
আনন্দ খোঁজো সময়ের মতাদর্শগত পরিদৃশ্য সম্পন্ন. যেমন সনেট (পেত্রার্ক) এবং Spenserian স্তবক
যেমন প্রবন্ধ (রোউদে) এবং নতুন ছন্দোময় রূপ যেমন নতুন সাহিত্যিক ঘরানার তাদের
চেহারা তৈরি.
শতকের আধুনিক
এই সাহিত্যধারার সূচনা ঘটেছিল খ্রিস্টীয়
৮ম থেকে ১১শ শতাব্দীর মধ্যে কোনো এক সময়ে রচিত মহাকাব্যবেওউল্ফ-এর মাধ্যমে।[১]
এই কাব্যটি স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের পটভূমিতে রচিত হলেও ইংল্যান্ডের জাতিয়
মহাকাব্যের স্বীকৃতি পায়। ইংরেজি সাহিত্যের পরবর্তী উল্লেখযোগ্য কীর্তি হল কবি
জিওফ্রে চসারের (১৩৪৩-১৪০০) রচনাবলি; বিশেষত দ্য ক্যান্টারবেরি
টেলস। রেনেসাঁর যুগে, বিশেষত ১৬শ শতাব্দীর শেষভাগে
ও ১৭শ শতাব্দীর প্রথম ভাগে, উইলিয়াম শেকসপিয়র,
বেন
জনসন,
জন ডান
সহ অন্যান্য কবি ও নাট্যকারেরা ছিলেন ওই সময়ের প্রধান কাব্য ও নাট্যসাহিত্যের
রচয়িতা। ১৭শ শতাব্দীর শেষ ভাগে অপর এক বিখ্যাত কবি জন মিলটন (১৬০৮-৭৪) রচনা
করেছিলেন মহাকাব্য প্যারাডাইস লস্ট (১৬৬৭)। ১৭শ শতাব্দীর শেষ ভাগে ও ১৮শ শতাব্দীর
প্রথম ভাগটি ছিল ব্যঙ্গসাহিত্যের যুগ। এই যুগেই জন ড্রাইডেন ও আলেকজান্ডার পোপের
কাব্য ও জনাথন সুইফটের গদ্যরচনাগুলি রচিত হয়েছিল। ১৮শ শতাব্দীতেই ড্যানিয়েল ডিফো,
স্যামুয়েল
রিচার্ডসন ও হেনরি ফিল্ডিংয়ের রচনার মাধ্যমে ইংরেজি সাহিত্যে উপন্যাস সাহিত্যের
সূচনা ঘটে। অন্যদিকে ১৮শ শতাব্দীর শেষভাগে ও ১৯শ শতাব্দীর প্রথম ভাগে রোম্যান্টিক
কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ,
পার্সি
বিশি শেলি, লর্ড বায়রন ও জন কিটসের
উত্থান ঘটে।সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত
khub darun lekha ....bangla shatitter jonno onoboddo
ReplyDelete