আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও আমার পরিচয় সৈয়দ শামসুল হক ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    আমার পরিচয় সৈয়দ শামসুল হক

    আমার পরিচয়
    সৈয়দ শামসুল হক


    আমার পরিচয়
    সৈয়দ শামসুল হক

    আমি জন্মেছি বাংলায়
    আমি বাংলায় কথা বলি।
    আমি বাংলার আলপথ দিয়ে, হাজার বছর চলি।
    চলি পলিমাটি কোমলে আমার চলার চিহ্ন ফেলে।
    তেরশত নদী শুধায় আমাকে, কোথা থেকে তুমি এলে?
    আমি তো এসেছি চর্যাপদের অক্ষরগুলো থেকে
    আমি তো এসেছি সওদাগরের ডিঙার বহর থেকে।
    আমি তো এসেছি কৈবর্তের বিদ্রোহী গ্রাম থেকে
    আমি তো এসেছি পালযুগ নামে চিত্রকলার থেকে।
    এসেছি বাঙালি পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার থেকে
    এসেছি বাঙালি জোড়বাংলার মন্দির বেদি থেকে।
    এসেছি বাঙালি বরেন্দ্রভূমে সোনা মসজিদ থেকে
    এসেছি বাঙালি আউল-বাউল মাটির দেউল থেকে।
    আমি তো এসেছি সার্বভৌম বারোভূঁইয়ার থেকে
    আমি তো এসেছিকমলার দীঘি’ ‘মহুয়ার পালাথেকে।
    আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজী শরীয়ত থেকে
    আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি অগ্নিবীণার থেকে।
    এসেছি বাঙালি ক্ষুদিরাম আর সূর্যসেনের থেকে
    এসেছি বাঙালি জয়নুল আর অবন ঠাকুর থেকে।
    এসেছি বাঙালি রাষ্ট্রভাষার লাল রাজপথ থেকে
    এসেছি বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর থেকে।
    আমি যে এসেছি জয়বাংলার বজ্রকণ্ঠ থেকে
    আমি যে এসেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে।
    এসেছি আমার পেছনে হাজার চরণচিহ্ন ফেলে
    শুধাও আমাকেএতদূর তুমি কোন প্রেরণায় এলে?
    তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির ইতিহাস শোনো নাই-
    সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।
    একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি, আজো একসাথে থাকবোই
    সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবোই।
    পরিচয়ে আমি বাঙালি, আমার আছে ইতিহাস গর্বের-
    কখনোই ভয় করিনাকো আমি উদ্যত কোনো খড়গের।
    শত্রুর সাথে লড়াই করেছি, স্বপ্নের সাথে বাস;
    অস্ত্রেও শান দিয়েছি যেমন শস্য করেছি চাষ;
    একই হাসিমুখে বাজায়েছি বাঁশি, গলায় পরেছি ফাঁস;
    আপোষ করিনি কখনোই আমি- এই লো ইতিহাস।
    এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান?
    যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান;
    তারই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলায় পথ চলি-
    চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস পায়ে উর্বর পলি।

    0 comments:

    Post a Comment

    অনেক অনেক ধন্যবাদ