আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও সুরঞ্জনার জীবনের যত স্মৃতিকথা ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    সুরঞ্জনার জীবনের যত স্মৃতিকথা

    সুরঞ্জনার জীবনের যত স্মৃতিকথা



    সুরঞ্জনার বয়স এখন ৫০ এর কোঠায়। এখন তার কথা হয় শুধু স্মৃতির সাথে। স্মৃতির ভেলায় ভাসতে চলে যায় দূর থেকে দুরান্তরে কোনো বাধা না পেরিয়ে অনায়াসে। স্মৃতির তো কোনো বয়স নেই না আছে কোনো সীমানার বাধা সেই স্মৃতির মাঝখান থেকে সুরঞ্জনা তুলে নেয় সেই ১৬ বছরের মেয়েটিকে। চপলা চঞ্চল আঁখি আর বলগা হরিণী মত দুরন্ত...বঙ্কিম ভুরুযুগল তার... উজ্জ্বল কজ্জল-আঁখিতার... সন্ধিতে পারে লক্ষ্য এমনি কীণাঙ্কিত বাহু তার....বিঁধিতে পারে যে কারো বক্ষ মধুর স্বরে ।নাই ভয়, নাই শঙ্কা...আছে নিষ্ঠুর সুন্দর রঙ্গ, নীরব ভঙ্গির সঙ্গীতলীলা ছন্দমধুর ইঙ্গিত তে ধরে পড়েছিল সেই অচেনা ধন চির চেনার সাথী। সে যে বাজিয়েছিলে সুরঞ্জনার বুকের তমাল তরুমূলে মোহনবাঁশিঁ। আচ্ছা সেকি এখনও সুরঞ্জনার কথা ভাবে ? এখনও কি সেই গীত গায়? সুরঞ্জনা তখন একাদশ শ্রেণীতে ,পরনে শাড়ি, কপালে লাল গনগনে টিপ্,দু হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি। সারাক্ষণ ঝনঝনিয়ে ছুটে বেড়ায়।আর সেই চুরির অনুরনে মানুষটার হৃদয় বড্ড চঞ্চল হতো বলে কতবার কপট বকুনি খেয়েছে সুরঞ্জনা।প্রতিউত্তরে আরো জোরে চুড়ির ঝংকারে আরো উতলা করেছে তাকে।

    সুরঞ্জনা জানালার পাশে ডেস্কে বসে অঙ্ক করে একতলার ক্লাশ ঘর ...বাইরে সে সুরঞ্জনার পানে নিস্পলক চেয়ে রয় অবিরত... পাশেই বন্ধুদের আসর। স্বীকার করি দুজনকেই বেশ মানিয়ে ছিল ভালো। জুড়িয়ে দিল চোখ তার , পুড়িয়ে দিল মন সুরঞ্জনার রূপের আলো।সে কেবলি গাইত " চাঁদ সামলে রাখো জোছনাকে" সুরঞ্জনা এক দৌঁড়ে পালিয়ে যেত কেন্টিনে বা দফতরীর ঘরে। তবুও সে আগলে দাঁড়াতো আগল দুয়ার।সে ভালবাসত ফুল,প্রজাপতি,গান পূর্নিমার চাঁদ আর সুরঞ্জনাকে।
    সেদিন সুরঞ্জনা তাঁর আশা পূরণ করতে পারেনি। তাই আজ ৫০ বছরে তোবড়ানো মুখ ,ভেঙ্গে যাওয়া বুক নিয়ে তাঁর উদ্দেশ্য সুরঞ্জনার এই অর্ঘাঞ্জলি।জানি সে যেখানেই আছে সুরঞ্জনার এই প্রয়াসে তাঁর পূজার থালি পূর্ণাঙ্গ হবে।


    জীবন খাতার প্রতি পাতায় অনেক লেখা জোখা, অনেক রঙের আঁকিবুঁকি ।প্রায় ৫৫ পাতা পৃষ্ঠা শেষ হয়েছে জানি না পুরো বইটা শেষ করতে আর কত পৃষ্ঠা লাগবে? বইটা শেষর পথে যে কোনদিন সমাপ্তি শেষ সংহার লেখা হয়ে যাবে এখন শুধু অনিমেখ প্রতিক্ষা শেষ হবার, যদিনা কোন নতুন অঙ্কের উদ্ভাবন হয়। যেহেতু যে কোনদিন বইটা লেখা শেষ হয়ে যাবে তাই জীবনের পাতাগুলো নেড়ে চেড়ে দেখা উচিৎ। সংশোধনের জন্য নয় ...সংশোধন করার ক্ষমতা আমার নেই সেতো লেখকের ইচ্ছে তার কলমের খোঁচায় রচিত। আমিতো তার লেখা বইয়ের একটা চরিত্র মাত্র। সবই নিজের ইচ্ছেমত লেখা, তার অভিপ্রায়, উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা, লক্ষ্য, অভিলাষ আমাদের প্রতিটি চরিত আখ্যান, কাহিনী, গল্প, ধারাবাহিক বর্ণনা, কড়চা, বর্ণিত বিষয় তার ইচ্ছাবৃত্তি।লেখক সকল ক্ষমতার স্বত্বাধিকারী অধিপতি একছত্র নৃপতি সেই আমাদের চরিত্র নিয়ে খেলা করে ভাঙে গড়ে আপন মনে। লেখক সমাজ,সভ্যতা, দেশ বদলায়... সময় বদলায় এমন কি সীমানাও বদলায়। শুধু বদলায় না মেয়েদের জীবন গাঁথা জীবন।আচ্ছা লেখক কি বিরক্ত অথবা তার কলম ক্লান্ত হয় না মেয়ের জীবনধারা একই রকম সৃজন করা লিখতে। তবে সুরঞ্জনা মেয়েদের  জীবনের কতগুলো দায় সে কখনো ভোলে না একটি মেয়ে শিশু জন্ম নেওয়া পর থেকেই পরিবার বাবা-মার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হয়ে উঠে তাকে  আস্তে আস্তে বড় হয় তখন বাবা-মা তাকে দায়িত্বশীল নারী হিসাবে।পরিবারে কখনো সে দায়িত্বশীল মেয়ে, কখনো নারী, কখনো প্রেমিকা, স্ত্রী, কখনো বা মা। এই পরিবর্ততের সময় একজন নারীর জীবনে অনেক কিছুই ঘটে। একটি মেয়ে সব সময়ই   চায় তার ভালোবাসার মানুষটি বাবার অনুরূপ হোক। যখন মেয়েটি দেখে ছেলেটির সব কিছু তার বাবার মতো তখন সে তার প্রেমে পড়ে যায়। আর ওই মুহূর্তই একটা মেয়ের জীবনে স্মরণীয়। একটি মেয়ে স্বাভাবিকভাবে যখন নারী হয়ে উঠে তখন তার স্বপ্ন দেখা শুরু হয় এক রাজকুমারকে ঘিরে। আর সেই রাজকুমারই যখন তাকে প্রথম ভালোবাসার কথা বলে সেই মুহূর্তটিই তার জীবনে স্মরণীয়। এটা তার জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।কর্মজীবনে অগ্রগতির মুহূর্তে বাবা-মা মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে বড় করে তার সাফল্য দেখার আশায়। মেয়ের স্বাধীনতা ও আত্মনির্ভরশীলতা দেখে বাবা-মা খুশি হন। তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পেরে মেয়েও অনেক আনন্দিত হয়।বিয়ের মুহূর্তটি মেয়েদের জন্য অনেক বড় ও হুরুত্বপূর্ণ। একটি মেয়ে সবসময়ই সুখী ও নিরাপদ জীবন চায় তার স্বামীর কাছে। নতুন পরিবার ও নতুন পরিবেশে প্রবেশ করতে যাচ্ছে সেটি তার জীবনে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময়।প্রথম মা হওয়ার মুহূর্তটি গর্ভধারণ করা দশ মাস একটি মেয়ের জীবনে স্মরণীয় মাস।শিশুর জন্মের পর সে দ্বিতীয় জীবন পায়। এটাই তার জীবনে অবিস্মরণীয় একটি দিন। তখন থেকেই তার চিন্তা শুরু হয় কিভাবে তার সন্তানকে সকল প্রতিকূলতা থেকে দূরে রাখবে।প্রথম মা ডাক প্রথম মা ডাক একজন নারীর জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় একটি দিন। একজন নারী এই দিনটির জন্যই অপেক্ষায় থাকে।

    2 comments:

    1. মাধুরী মিশিয়ে লেখা এক কথায় অপূর্ব

      ReplyDelete
    2. সানজিদা তুমি ভালো লেখো জানতাম কিন্তু এই ওয়েব সাইটে না দেখলে তোমার এতো গুন সত্যি জানতাম না অনেক অনেক শুভ কামনা

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ