আজ এই ভালোবাসার দিনে আমার আলোকরেখার ভান্ডার নানা লেখক ও কবিদের লেখায় পূর্ন। কয়েকদিন ধরেই ভাবছি ভালোবাসা
দিবসের ওপর কিছু লিখবো। কিন্তু ঠিক ঠাওর করে
উঠতে পারছিলাম না কি লিখবো ? লিখবো বললেই তো আর লেখা যায় না , অন্তত আমি পারি না। এ
আমার বড্ড বিড়াম্ববনা। এটা আমার নাচের বেলাতেও হত। নাচ না আসলে কিছুতেই নাচতে পারতাম না।যাক সে কথা। আজকের লেখার কথায় আসি।লিখবো
ভালোবাসাকে নিয়ে সে যে "জাতের" ভালোবাসাই হোক।ওকে (ভালবাসা ) নিয়ে আমার যত মর্মপীড়া।ভালোবাসা
নিয়ে কিছু ভাবতে গেলেই কবিগুরু ৱবীন্দ্রনাথের সেই কথাগুলো মনে পড়ে" সখী, ভালোবাসাকারে কয়?সে কি কেবলি যাতনাময়?সে কি কেবলি চোখের জল?সে কি কেবলি দুখের শ্বাস?লোকে
তবে করে কী সুখেরি তরে এমন দুখের আশ? "
এত শত ভাবতে ভাবতে হঠাৎ লেখা এলো আমার মনে। তুমি !!! আজ আমি তোমায় নিয়ে লিখবো। কলম কোথায় থামবে? কোথায় যতি চিহ্ন টানতে হবে? অথবা কখন ইতি টানতে হবে ?আজকে না হয় সমাজে এই বিধি নিষেধ ও বাঁধা আইন আমার লেখনী নাই মানলো।ভালবাসা দিবসের শেষ প্রহরে তোমার প্রতি আমার এই অর্ঘ্য।
হয়তো আমি তোমার অচেনা
সমুদ্রতটে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা,আমি তোমার শিহরে লুকিয়ে রাখা চিঠির স্বাক্ষরকারী,ভুল
পথচারী,আমি তোমার বুকে জমে থাকা ভালবাসার অজানা কথার বর্ণনাকারী।দেখা হল অজানা
কোন বৃক্ষের তলে। দুটি দেহমন এক হল ঈশ্বশরের
খেলা ছলে।আগল দুয়ার কি দেই নি আমরা?বাঁধিনি
সমাজের ডোরে?
কি করে সব আগল শিকলবেড়ি খুলে গেল দুজনার অজান্তে।ভেসে গেলাম অনাদি কালের
লক্ষ প্রেমিকের মত।
তুমি রাতের মত নিঃশব্দ
পদচারনা মেঘমুক্ত এবং তারকাময় আকাশ। অন্ধকারে সব যে উজ্জ্বল
তারা।সেটা তুমি!!!আমার চোখের দিকে তাকিয়ে তোমার দেখার ভঙ্গিমা!তোমার চোখ আলোর ফোয়ারা
আর হৃদয়ভেদি আমার"ডেগার "আঁখি।বললাম "ওভাবে বোলো না তোমার চোখ খোল, চেয়ে দেখ আমার চোখ,এখানে
এক রাশ কবিতা,গান ও গান গাত্তয়া প্রেমের পাখি তোমার হৃদয় স্পর্শ করবে...এখানে আছে
আর এক পৃথিবী রূপকথার রাজ্য ,এখানে আমি রানী তুমি রাজা।ভয় পেও না রাজন!!!তোমাকে হারাতে
আমি দেব না। এই আমি তোমার হাত ছুঁলাম।ছুঁয়ে থাকবো আজীবন।আমি এক রহস্যময়ী অষ্ট কলাবতী
ভানুমতি।
অপুর্ব তোমার বোকা হাসি দেখে আমার একটুও সময় লাগেনি বুঝতে
ওগো প্রিয় মোর আমি তোমার প্রেমের জালে ধরা পড়েছি।আমি এক জলপরী....সারা অঙ্গ জুড়ে জল...!তোমার প্রশান্ত প্রশস্ত বুকে আমি নরম অদূরে
বিড়ালের মত মুখ গুঁজে থাকি আবার কখনো খুনসুটি করে তোমায় অস্থির করে তুলি।তুমি বল পাগলামি।
আমি হাসি মনে মনে...কারণ তুমিই চাও জলপরীকে আলতো পোশাক -এ । তোমার শরীরে পোষা বিড়ালের
এর মতো " জড়িয়ে রাখতে চাও আরো কাছে আর ও একান্ত করে আর ও নিবিড় ভাবে।ঐতিহাসিক
স্থানে,কবিতার আসরে,বৃষ্টি ভেজা রাতে, কুয়াশার চাদরে আরও একান্ত করে আরও নিবিড় ভাবে।
আমি কি চাই না ?মিষ্টি তোমার মধুর হাসি দেখতে। শিশিরে ভিজে দোল খায় চুনি পান্না পাঁপড়ি মেলে ফুল সবার মন রাঙায় হেসে-খেলে। তোমার খোঁজে তোমার পরীরানী পাখা মেলে রঙিন প্রজাপতির মত । প্রকৃতির জোয়ারে আঁখি পাতি। পূব গগণে যখন রবি ছড়ায় সোনার আলো,ভোরের হাওয়া বহে ঢালে গন্ধ সূধা গেয়ে ওঠে পাখি। জেগে ওঠে তোমার পুষ্পরানী। বিরহানলে কাতর....বিরহিনী রাই (রাধা )
আমি জানি তুমিও খুঁজে ফের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া।উত্তরের প্রতিটি কোণায় ইরি বা হিরণ সরোবর-এ। অথবা নায়াগ্রা জলপ্রপাতে।ক্ষণেক আপন হৃহয় পানে চাও রাজন।আমি রয়েছি অচীন গাঁয়ের পথটি ধরে
প্রতিক্ষার প্রহর গুনে সবুজ তৃণের উর্দ্ধ নীলে, আবার হবে দেখা তোমার-আমার সেখানে নীরবে
দিনমানে। সেখানে যে পথ আমি কেটেছি প্রেমের যে বীথিকা বুনেছি তারই ছায়া ধরে তুমি প্রতিটি পূর্ণিমার রাতে আমার
কাছে আসার দিক খুঁজে পাবে ঠিক সন্ধ্যে নামার মুখে।
তুমি কিংবা আমি এতটা ভেবেছি আমাদের
নিয়ে? হয়তো ভেবেছি । হয়তো ভাবেনি। না! তা আর হল না.... আমরা দুজনেই চলে গেছি নিজ নিজ পথে অন্য কারো
ঘরে। অন্য কারো নাম ধরে। সত্যিই কি আমরা বিচ্যুত প্রান্তিক সীমান্তে ? দুটি দেহমন তবে কেন যায় সুরে
ভেসে যায় একই প্রেমের স্রোতে? কেন প্রাণ কাঁদে
দুজনার দুজনার তরে? এক কেমন মোহ মায়া হৃদয়ের
বাঁধনে। উচাটন মন বাধা নাহি মানে কেবল দুজনার টানে দুজনার পানে । মিলন কাতর বক্ষ দুটি
কেবল কেবল কেঁদে মরে।তোমাকে চাই আরো কাছে আর ও একান্ত করে আর ও নিবিড়ে..কবিতার
আসরে বৃষ্টি ভেজা রাতে কুয়াশার চাদরে ঐতিহাসিক ক্ষনে আরও একান্ত আপন করে তোমাকে চাই সমুদ্র সৈকতেসূর্য ডোবার মুহূর্তে
তাজমহলের লনে ভালবাসার পরম ক্ষণে ভালোবাসার এই দিনে।...আজ এই ভালোবাসার দিনে "কি দেবো ? বল তো কি দেবো ?মেঘলা মন? বেশ
তাই দিলাম"
সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com
কি দারুন লিখেছো।তুমি বলছো তোমার কলম থামেনি। সত্যি কি তাই ? আজ আর ভয় কেন? তোমার "সুয়ো রানী" নিয়ে অনেক আমি সমলোচনা করেছিলাম। দুয়ো রানী কষ্টের থেকে পাওয়া অনেক। আপনিতে সে পরিপূর্ন।এই শুধু লেখা নয় সানজিদা। আমি হলপ করে বলতে পারি এ তোমার নিজের স্মৃতিগাঁথা। তাই না ?
ReplyDeleteখুব ভাল লাগলো লেখাটা ।ছরির সাথে সমন্বয়ে,অনেক অনেক শুকামনা
ReplyDeleteএ মর্ম জ্বালা কেবল যে মজেছে সেই জানে
ReplyDeleteসানজিদা আমি লেখাটা পরে চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি .তোমার না জানি কত কষ্ট হয়েছে লিখতে। অনেক অনেক ভালো লিখেছো।
ReplyDeleteসানজিদা রুমির লেখা আমার খুব ভাল লাগে।প্রানের কাছাকাছি ।বলিষ্ঠ বিষয় সর্বদা মনের কথা বলে। চোখের পাতা ভিজে যায় ।আমার খুব প্রিয় লেখক।অনেক ভালবাসা
ReplyDeleteসানজিদা রুমির তুমি !!! নিষিদ্ধ রাতের মত নিঃশব্দ লেখাটা যত পড়ি ভালো লাগে। এত সুন্দর লেখনী শব্দের আঁটুনি প্রশংসনীয়। অনেক অনেক শুভকামনা আর ভালোবাসা
ReplyDeleteআলোকরেখা আমার খুব প্রিয়। আমি অনেক ওয়েব সাইট ঘাঁটাঘাঁটি করি। কোথায় কি ভালো লেখা পাওয়া যায় অন্বেষণ করি। এতো সুন্দর নন্দিত ওয়েব সাইট পাইনি। সবাই সাদামাটা দায়সারা গোছের ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরী করে। সেই দিক টি আলোকরেখা অনন্য। সানজিদা রুমির নিষিদ্ধ রাতের মত নিঃশব্দ লেখাটা যত পড়ি ভালো লাগে। এত সুন্দর লেখনী শব্দের আঁটুনি প্রশংসনীয়। অনেক অনেক শুভকামনা আর ভালোবাসা।
ReplyDelete