আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও যোগীর যোগ্যতা ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    যোগীর যোগ্যতা


     যোগীর যোগ্যতা !


    স্বত্তার সামগ্রীকতা যখন ব্যাপ্তি পায় এবং প্রসারিত হয় চারদিক দুরূহ একটা সময় অতিবাহিত করতে হয় সব যোগীকে তখন! অহম তখন তুঙ্গে অবস্থান নিতে চায় যে কোনো নিমিত্তকে ভর করে। বলে এ তো আমার অর্জন ! ভোগস্পৃহা ত্যাগ করে রাতের অন্ধকারে আর দিনের আলোয় অখন্ড নির্মোহ কাল যাপনের যে তিতিক্ষা তার সবটাই তো আমার সাধনা।  সিদ্ধি লাভের নিবিরতায় নিরবিচ্ছিন্ন ভালোলাগার নেশা হৃদয়ে স্থায়ী আসন নিতে একদন্ড বিলম্বে রাজী থাকেনা! করুণ কন্ঠে বিদারিত পংতিমালা যুক্তির পরে যুক্তি সাজায়।  সকাল গড়িয়ে সন্ধা নামে, তারার বাতি জ্বলে আকাশ জুড়ে।  সাক্ষী হয় নদীর স্রোত আর রাত-জাগা পাখীর জটলা। পথ আগলে বসে থাকে এক পশলা বৃষ্টি।

    এক প্রহর পথচলা শেষে উত্তরণের নতুন পথের নতুন ফিরিস্তি হাতে করে উপাচার্য্য় উপস্থিত হন ঘড়ির কাটা ধরে!যোগীর যোগ্যতা যাচাই হবে Friday the 13th উটাচন মন যোগীর লক্ষ্যে পৌঁছে যাবার আর স্বগর্বে পতাকা উত্তোলন এর উদ্দীপনায় আচ্ছন্ন। নৈর্ব্যক্তিকতার তুলাদন্ড হাতে উপাচার্য্য় তখন পরীক্ষা শেষের ঘন্টাদ্ধনী শুনিয়ে দেন অহমাপ্লূত যোগীর সম্বিত ফেরাতে। "Good luck next time!" বলে প্রস্থান নেন উপাচার্য্য়।  সংকুচিত স্বত্তা তখন ব্যাপ্তিহীন পড়ে থাকে চুপসে যাওয়া বেলুনের মত পথের ধুলোয় !

    যাবো যাবো করে যাওয়া হয়নি, করবো করবো করে করা হয়ে ওঠেনি আমার যত ভ্রমন আর যত কাজ তার ফিরিস্তি নেবার নোটিশ পেলাম গতকাল। ডাক্তার বাবু দরোজা বন্ধ করে পঁচিশ বছর ধরে সাজানো সব তথ্য ভরা ফাইলের সব শেষের পাতায় চোখ রেখে পড়ে গেলেন নোটিশের আদ্যপান্ত। Time Management এর ইঁদুর দৌড়ে না যোগ দিয়ে বরং Activity Management করতে বলে দিলেন আমার প্রিয় ডাক্তার। যা করতে ভালো লাগে তা না করে যা তে তুমি ভালো তা-ই করার পরামর্শ দিলেন আমার চোখে চোখ রেখে। যদি ভালো করে করতে পারা কাজ ভালোও লাগে সোনায় সোহাগা তখন! নতুবা যে কাজে তুমি পারদর্শী শুধু সে কাজ তোমার সামনের সবক'টা দিন।

    কাধের ব্যাগটা সামলে Dentonia Park দিকে হাটতে গিয়ে বেলা শেষের রক্তিম আকাশটা কেমন যেন একটা নতুন ব্যঞ্জনায় আমার চোখের সামনে উদ্ভাসিত হলো ! মনে হলো এই আকাশ আর এই বাতাসের সবটুকু নীল আর সবটুকু অক্সিজেন যেন আমারই একটা অংশ ! নাকি আমিই ওদের একটি অংশ!





     http://www.alokrekha.com

    4 comments:

    1. সুনিকেত চৌধুরীর লেখা এই কবিতাটির মাঝে অনেক কথা লুকিয়ে আছে। অভিনন্দন কবি !!!

      ReplyDelete
    2. সানজিদা ভালো লেখা আজকাল পাওয়াই দুস্কর ভালো হয়েছে আর লেখককে অভিনন্দন

      ReplyDelete
    3. In a very simple way, a very high content of this article was reported. I really appreciate author suniket chawdhuri's effort

      ReplyDelete
    4. সুনিকেত চৌধুরীর বিষয় বস্তু নির্বাচন দারুন। কবিকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন । কবির কুশল কামনা করি

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ