খবর দেবো আসার আগে!
- সুনিকেত চৌধুরী
তোমরা দলে দলে বারে বারে কেন
আসো কেন বলে বলে যাও কানে কানে ? কেন তরঙ্গ তোল নিথর রাতের নিস্তব্ধ প্রহরের পীচ
কালো অন্ধকারে ? বুক শেলফের দু'দেয়ালের চৌহদ্দিতে কিংবা আমার লেড আলোকিত
চারকোণা পৃথিবীতে ?
কেন লোভ দেখাও পেয়ে যাবো আমি গুহাগৃহে প্রবেশের আলিবাবার স্বপ্ন-প্রাপ্ত সেই মন্ত্র আর "সিম সিম খুলে যাবে"দরোজা সাত জনমের সঞ্চিত যত হিরে-মানিক মনি-মুক্তা, সেই সাথে রাজত্ব আর রাজকন্যা!
কেন লোভ দেখাও পেয়ে যাবো আমি গুহাগৃহে প্রবেশের আলিবাবার স্বপ্ন-প্রাপ্ত সেই মন্ত্র আর "সিম সিম খুলে যাবে"দরোজা সাত জনমের সঞ্চিত যত হিরে-মানিক মনি-মুক্তা, সেই সাথে রাজত্ব আর রাজকন্যা!
দরিদ্র বলে ক্ষোভ নেই কিন্তু দারিদ্র তোমার গর্ব তো ছিলোনা কোনোকালে!
হলুদ হলুদ গাঁদা ফুল ভরা আঙিনায় তোমার বড় হয়ে ওঠা শৈশব আর মায়ের ঘামে ভেজা আঁচলের
আশীর্বাদ নিয়ে ঘর ছেড়ে পরবাসী এইযে তুমি!
আলিবাবা তো ছিল না তোমার সঙ্গী খেলার, ছিল ফুলবানু আর জোহরা ! ভুলে তো যাওনি তুমি মঞ্জরী আর মাধবীর কথা ! সর্বাঙ্গে শিহরণ দেয়া ললিতার পরশ তাও তো রাখা আছে পচনহীন হিমাঙ্কের অনেক নীচের বরফ ঢাকা বাম পকেটে!চাইলেই ছুঁতে পারো তুমি সেই গাঁদা ফুল, মায়ের আঁচল, যেতে পারো সেই নির্ভরতার আঙিনায়! এত সম্পদ তোমার! তুমি বড় লোক ! তবু কেন কথা শোনো অন্ধকারের!
আলিবাবা তো ছিল না তোমার সঙ্গী খেলার, ছিল ফুলবানু আর জোহরা ! ভুলে তো যাওনি তুমি মঞ্জরী আর মাধবীর কথা ! সর্বাঙ্গে শিহরণ দেয়া ললিতার পরশ তাও তো রাখা আছে পচনহীন হিমাঙ্কের অনেক নীচের বরফ ঢাকা বাম পকেটে!চাইলেই ছুঁতে পারো তুমি সেই গাঁদা ফুল, মায়ের আঁচল, যেতে পারো সেই নির্ভরতার আঙিনায়! এত সম্পদ তোমার! তুমি বড় লোক ! তবু কেন কথা শোনো অন্ধকারের!
ঘটা করে বন্ধু হবো যাবো জদুর বাড়ী কণ্ঠে নিয়ে কালের গান ধান ভানতে
শিবের গান গাইবো কতকাল ! খেলতে খেলতে শেখা হবে, জামাই বাবুর আদর হবে, সাম্রাজ্যের পতন
হবে !
সবার আগে বলতে হবে কোথায় যাবে শেষ বেলাতে নইলে তোমার দশ তলাটার তলায়
তলায় রাম গরুড়ের আখড়া হবে!
এখন তবে যাবো চলে, আসবো আবার কোন তারিখের কোন গাড়ীতে খবর দেবো
আসার আগে জেগে যদি থাকতে পারো!
প্রথমেই আলোকরেখাকে আমাদের অনেক ধন্যবাদ লেখাটা প্রকাশ করার জন্য. আমরা এখন পরে এই লেখা নিয়ে আলোচনা করবো . তারপর যথারীতি যার যার অভিমত জানাবো.সুনিকেত চৌধুরী অনেক ভালো থাকবেন পড়ুয়া
ReplyDeleteএতো আলোকিত লেখা যা অন্ধকার দুরভীত করে লেখক বতর্মানকে তুলে ধরেছেন অতীতের গভীরে আবার ভবিষ্যৎকে আওভান | অত্যন্ত চমৎকার ভাষা শব্দের প্রয়োগ ...আমি সাধুবাদ জানাই লেখককে .আরো ভাল লিখুন.
ReplyDeleteআমি খুব একটা কবিতার গভীরতা বুঝিনা তবুও পড়তে ভাল লাগে কবিতা ! কবি সুনিকেতর কবিতা পড়ত ভাললাগে মাঝে মাঝে মাথার উপর দিয়ে যায় ! আজকের লেখাটা পড়ে খুব ভাল লাগলো !!! আমি প্রায় সব কবিদের লেখা পড়ি ইদানিং সুনিকেত চৌধুরীর লেখাই পড়ছি ...শুভেচ্ছা কবি আরো ঘন ঘন যেন লেখা পাই
ReplyDeleteআমি নিজেকে কখনোই বোদ্ধা মনে করিনা প্রকৃতি সহজাত কিছু বোধ আছে এই যা লেখক সুনিকেত চৌধুরীর কবিতা পড়লাম অত্যন্ত নিগুঢ় বলিষ্ঠ বক্তব্য গুনগত মানের কবিতা কবিতা বলছি এই কারন শব্দ ব্যঞ্জন অনুচ্ছদ ও ভাবধারা কবিতার মূল প্রতিপাদ্য আমার ভুল হলে লেখকের কাছে ক্ষমা প্রার্থী আরো ভাল লিখুন শুভেচ্ছা রইল
ReplyDeleteখবর দেব আসার আগে!-এ শুধু সুনিকেত চৌধুরীর লেখনী নয়!এ এক বার্তা ও বিস্মৃত আচার!সেই সব ফেলে আসা ছোটবেলার শ্রুতি। আমার জানা নেই লেখকের বয়স কত ?এসব কি তিঁনি অবলোকন করেছেন? না নিছক কল্পনা ? এ তর্ক থাক!এই লেখাটা আমায় আমার ছেলেবেলায় নিয়ে গেছে। ঠিক এমন ই তো ছিল সে বেলা।কোন জাতি ধর্ম ভেদ ছিল না,মোর একই বৃন্তে ফোটা ফুল। আজ প্রবাসে এই আলোকে সত্যি কি পেয়েছি এই অন্ধকার চারকোণা পৃথিবীতে? লালসার হাতছানি ছাড়া। খুব ভালো লিখেছেন। মঙ্গল কামনা করি
ReplyDelete