মুক্তিযুদ্ধের ও স্বাধীনতার ইতিহাস গাঁথা দ্বিতীয় পর্ব
সানজিদা রুমি---
বাঙালি জনগণ আশা করেছিল এই স্বাধীন নতুন রাষ্ট্রে ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসকদের অত্যাচার, অনাচার, নির্যাতন বঞ্চনা শাসন ও শোষণ থেকে মুক্ত হবে। বাঙালীর প্রত্যাশিত আশা আকাঙ্খা পূরণ হবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। কিন্তু তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীরা আগের মতোই রয়ে গেল বঞ্চিত।এবং ধীরে ধীরে পশ্চিম পাকিস্তানের কলোনি হয়ে উঠলো।কোন পরিবর্তন হলো না রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বা সামাজিক অবস্থার ।হুবাচনিক সমাজে পশ্চিম পাকিস্তানীয় একক সংস্কৃতি ও ভাষা প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র সংকুচিত করা হলো পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকের দ্বারা । তদানীন্তনপূর্ব পাকিস্তানের বাঙালী জাতি শুধু অর্থনৈতিক বঞ্চনার, বিভেদ, বৈষম্য, ষড়যন্ত্র নির্যাতন ও শোষনের শিকার-ই হল না পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদে পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়ন করা হলো নিশ্চিত ।
অর্থনৈতিক নির্যাতনের চেয়ে অনেক বড় উৎপীড়ণ হচ্ছে একটি জাতির ভাষা, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের ওপর নিপীড়ন। আর সেই নিগ্রহ নিপীড়ন শুরু করলো পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাঙ্গালি ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপর।
পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী শুরু করলো বাঙ্গালি ভাষা, সংস্কৃতিও ঐতিহ্যের ওপর নিপীড়ন। পাকিস্তান সরকার, প্রশাসন এবং সামরিক বাহিনীতে পশ্চিম পাকিস্তানীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল ১৯৪৭ সালে করাচীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা সম্মেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাপত্রে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ব্যবহারের সুপারিশসহ প্রচারমাধ্যম ও বিদ্যালয়ে কেবলমাত্র উর্দু ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। ওই সমাবেশে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা এবং পূর্ব পাকিস্তানে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারের প্রবল দাবি উত্থাপন করা হয়।
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে ১৯৪৮
সালের ১১ মার্চ একটি স্মরণীয় দিন। পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশন বাংলাকে তাদের
অনুমোদিত বিষয়তালিকা থেকে বাদ দেয় ও সাথে সাথে মুদ্রা এবং ডাকটিকেট থেকেও বাংলা
অক্ষর বিলুপ্ত করে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমান মালিক উর্দুকে
পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা বানানোর জন্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন।পূর্ব
পাকিস্তানে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ১৯৪৭ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্রদের একটি বিশাল সমাবেশে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার
মর্যাদা দানের আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ছাত্ররা
ঢাকায় মিছিল এবং সমাবেশের আয়োজন করে।গণপরিষদের ভাষা-তালিকা
থেকে বাংলাকে বাদ দেওয়া ছাড়াও পাকিস্তানের মুদ্রা ও ডাকটিকেটে বাংলা ব্যবহার না
করা এবং নৌবাহিনীতে নিয়োগের পরীক্ষা থেকে বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে রাখার
প্রতিবাদস্বরূপ ওইদিন ঢাকা শহরে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। ধর্মঘটিদের দাবি ছিল
বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা এবং পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি ভাষা হিসেবে
ঘোষণা করা। ধর্মঘটের পক্ষে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ এই শ্লোগানসহ মিছিল করে ও বিশ্ববিদ্যালয়
প্রাঙ্গণে বিরাট সভা হয়।
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়, যার আহবায়ক ছিলেন তমদ্দুন
মজলিসের অধ্যাপক নূরুল হক ভূঁইয়া।পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশনে পরিষদ সদস্যদের
উর্দু বা ইংরেজিতে বক্তৃতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।এখানে উল্লেখ্যঃতমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল
আবুল কাসেম।ভারত বিভাগের পরপরই ১৯৪৭ সালের পহেলা সেপ্টেম্বরে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম ঢাকায় তমদ্দুন মজলিস
প্রতিষ্ঠা করেন।প্রথমদিকে সংগঠনটি বেশ সক্রিয় ছিল,বাংলা ভাষা আন্দোলনে সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই সংগঠনের সদস্যগণ পূর্ব পাকিস্তান নবজাগরণ সমাজের ধ্যান ধারণা দ্বারা ব্যাপকভাবে
প্রভাবিত হয়েছিল। দেশবিভাগের পর সংগঠনটি বুঝতে পেরেছিল যে পাকিস্তান সরকার সেই
আদর্শ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল না যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। এই কারণে তমদ্দুন
মজলিস মুসলিম লীগ থেকে আলাদা হয়ে যায়। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বাংলা
ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তুলে তমদ্দুন মজলিস বাংলা ভাষা আন্দোলন শুরু করে।
পূর্ব পাকিস্তানের কংগ্রেস দলের সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এ প্রস্তাবে সংশোধনী এনে বাংলাকেও পরিষদের অন্যতম ভাষা করার দাবি জানান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ৬ কোটি ৯০ লাখ মানুষের মধ্যে ৪ কোটি ৪০ লাখই পূর্ব পাকিস্তানের, যাদের মাতৃভাষা বাংলা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন বিরোধিতা করলে এ দাবি বাতিল হয়ে যায়। এ খবর ঢাকায় পৌঁছলে ছাত্রসমাজ, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিকরা বিক্ষুব্ধ হন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন পরিচালনার জন্য একটি নতুন রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠিত হয়, যার আহবায়ক ছিলেন শামসুল আলম। গণপরিষদের ঘটনার প্রথম প্রতিক্রিয়া শুরু হয় ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ ছাত্রদের উদ্যোগে শহরের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা ক্লাস বর্জন করে। ধর্মঘট ঘোষিত হয় এবং ঐদিন সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিবাদ দিবস ও ধর্মঘট পালন করা হয়। সরকারের প্ররোচনায় পুলিশ মিছিলে লাঠিচার্জ করে এবং অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। ১০ মার্চ ফজলুল হক হলে ১১ মার্চের কর্মসূচী নির্ধারণের জন্য এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১১ মার্চ ভোরে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্ররা বের হয়ে আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণাঙ্গ ধর্মঘট পালিত হয়। সকালে ছাত্রদের একটি দল রমনা ডাকঘরে গেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পূর্ব পাকিস্তানের কংগ্রেস দলের সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এ প্রস্তাবে সংশোধনী এনে বাংলাকেও পরিষদের অন্যতম ভাষা করার দাবি জানান। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ৬ কোটি ৯০ লাখ মানুষের মধ্যে ৪ কোটি ৪০ লাখই পূর্ব পাকিস্তানের, যাদের মাতৃভাষা বাংলা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন বিরোধিতা করলে এ দাবি বাতিল হয়ে যায়। এ খবর ঢাকায় পৌঁছলে ছাত্রসমাজ, বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিকরা বিক্ষুব্ধ হন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন পরিচালনার জন্য একটি নতুন রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠিত হয়, যার আহবায়ক ছিলেন শামসুল আলম। গণপরিষদের ঘটনার প্রথম প্রতিক্রিয়া শুরু হয় ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ ছাত্রদের উদ্যোগে শহরের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা ক্লাস বর্জন করে। ধর্মঘট ঘোষিত হয় এবং ঐদিন সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিবাদ দিবস ও ধর্মঘট পালন করা হয়। সরকারের প্ররোচনায় পুলিশ মিছিলে লাঠিচার্জ করে এবং অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। ১০ মার্চ ফজলুল হক হলে ১১ মার্চের কর্মসূচী নির্ধারণের জন্য এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১১ মার্চ ভোরে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্ররা বের হয়ে আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণাঙ্গ ধর্মঘট পালিত হয়। সকালে ছাত্রদের একটি দল রমনা ডাকঘরে গেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ছাত্র ও রাজনৈতিক
দলের নেতারা সাথে সচিবালয়ের সামনে নবাব
আবদুল গণি রোডে, গণপরিষদ ভবন (ভেঙ্গে পড়া
জগন্নাথ হলের মিলনায়তন), প্রধানমন্ত্রীর
বাসভবন বর্ধমান হাউস (বর্তমান বাংলা একাডেমী), হাইকোর্ট
ও সচিবালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে অফিস বর্জনের জন্যে স্লোগান ও আওভান করে।পুলিশের
লাঠিচার্জতাদেরকে দমাতে পারেনি। পারেনি ভাঙতে তাদের মনবল। ফলে এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা খাদ্যমন্ত্রী
সৈয়দ মোহাম্মদ আফজল ও শিক্ষামন্ত্রী আবদুল হামিদকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করতে
বাধ্য করে। এ বিক্ষোভ দমনের জন্য সরকার সেনাবাহিনী তলব করে। পূর্ব পাকিস্তানের
জেনারের অফিসার কম্যান্ডিং ব্রিগেডিয়ার আইয়ুব খান (পরে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি)
মেজর পীরজাদার অধীনে একদল পদাতিক সৈন্য নিয়োগ করেন। বিকেলে এর প্রতিবাদে সভা
অনুষ্ঠিত হলে পুলিশ সভা পণ্ড করে দেয় এবং বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে।১১ তারিখের
এ ঘটনার পর ১২ থেকে ১৫ মার্চ ধর্মঘট পালন করা হয়। আন্দোলনের তীব্রতার মুখে ১৫
মার্চ খাজা নাজিমুদ্দিন সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। সংগ্রাম
পরিষদের পক্ষে আবুল কাশেম, কামরুদ্দীন
আহমদ, মোহাম্মদ তোয়াহা, সৈয়দ
নজরুল ইসলাম, আবদুর রহমান চৌধুরী
প্রমূখ অংশগ্রহণ করেছিলেন। আলোচনাসাপেক্ষে দুই পক্ষের মধ্যে ৮টি বিষয়ে সমঝোতা
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।এ নমনীয় আচরণের প্রধান কারণ ছিল ১৯ মার্চ জিন্নাহ্'র ঢাকা
আগমন। চলবে........
http://www.alokrekha.com
http://www.alokrekha.com
এখন অনেক রাত আমি আর আমার টেবিল ল্যামপ জেগে আছে স্বাধীনতার মাস তাই অনেক লেখার ফরমাস ব্যস্ততাও অনেক সানজিদা তোমাকে অনেক ধনবাদ তুমি আমার মস্তিকের ভেতর শব্দগুলো জমাট বেধেছিল বিস্বাস কর তোমার লেখাটা পড়ে আমার সব গুলো অলিন্দ যেন খুলে গেল | কত সহজ ভাষায় শব্দের আড়ম্বর ছাড়া সবলিল ভাবে লিখে যাও যেমন করে তুমি কথা বল -তোমার এই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এই নতুন প্রজনন্মকে ধরে রাখবে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় -তুমি এটা বই আকারে প্রকাশ করো আমার বিনীত নিবেদন !খুব ভালো থেকো !ভাল লেখা !তোমাকেও আলোক রেখাকে অনেক! ভালবাস-
ReplyDelete১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয় পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণমূলক আচরণ।এই কথাটাই আসল। সাঞ্জিদা রুমি অনেক ধন্যবাদ এই কথা বোল্ড করে লেখার জন্য ।এখনও যাদের পাকিস্তানী প্রীতি আছে দয়া করে সানজিদা রুমির "মুক্তিযুদ্ধের ও স্বাধীনতার ইতিহাস গাঁথা পর্ব গুলো পরুন।
ReplyDeleteস্বাধীনতার মাসে এই লেখা প্রকাশ করার জন্য সানজিদা রুমি ও আলকরেখাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার এই লেখায় নতুন প্রজনন্মকে ধরে রাখবে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায়।
ReplyDeleteAbdullah Al Mohan এর সাথে সুর মিলিয়ে আমিও বলতে চাই-- এখনও যাদের পাকিস্তানী প্রীতি আছে দয়া করে সানজিদা রুমির "মুক্তিযুদ্ধের ও স্বাধীনতার ইতিহাস গাঁথা পর্ব গুলো পড়ুন।।
ReplyDeleteরুমি আপা কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো মুক্তিযুদ্ধের ও স্বাধীনতার ইতিহাস প্রকাশ করার জন্য।অনেক অজানা কথা জানলাম !দারুন ভাল ! ভাল থেকো!”
ReplyDeleteসানজিদা রুমির এই লেখাটা মুক্তিযুদ্ধের ও স্বাধীনতার দলিল হয়ে থাকবে । এত তথ্য ভিত্তিক ইতিহাস। দুর্লভ ছবি লেখাকে আরও গ্রহণযোগ্য করেছে। অনেক শুভ কামনা।সবার মত আমিও চাই এই লেখাটা বই আকারে প্রকাশ হোক
ReplyDeleteএকটি সুলিখিত দলিল
ReplyDeleteএত বড় একটা দাযিত্ব হাতে নেবার যে সাহসিকতা দেখিছেন তার জন্য সানজিদা রুমীকে সাধুবাদ জানাই,এই গুরুভার ইতিহাস লেখা খুব কষ্টসাধ্য |অনেক গবেষনা ও প্রচুর পড়ে ইতিহাস লিখতে হয়! এতটুকু ভুল তথ্য পুরো ইতিহাসের প্রেক্ষাপট পালটে দিতে পারে গোটা জাতি ৩থা নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে পারে !একজন ভাষা আন্দোলনকারি ও মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে এটুকু বলতে পারি এতাবদ সানজিদার লেখা অতন্ত্য সাবলিল ভাষায় সঠিক তথ্য নির্ভর-নিরপক্ষ !শুভাশিষ রইল সামনের পথ কন্টকহীন সুগম ও সুললিত হোক |
ReplyDeleteএত সুন্দর করে ইতিহাস বর্ণনা যেন কোন গল্প পড়ছি ইতিহাস আমাদের কাছে সবচেয়ে বোরিং লাগে কত ক্লাস যে ফাঁকি দিয়েছি তার ইয়াত্তা নেই কেন এভাবে ছবি দিয়ে গুরগম্ভির ভাষা ব্যবহার না করে এভাবে লেখা হয়না ?সানজিদা রুমিকে অনেক ভালবাসা ...
ReplyDeleteতদানীন্তনপূর্ব পাকিস্তানের বাঙালী জাতি শুধু অর্থনৈতিক বঞ্চনার, বিভেদ, বৈষম্য, ষড়যন্ত্র নির্যাতন ও শোষনের শিকার-ই হল না পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদে পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়ন করা হলো নিশ্চিত ।কথাটা যে সত্যি তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি , রুমি অনেক ধন্যবাদ লেখার জন্য ।এখনও পাকিস্তানী প্রীতি আছে ! তুমি এটা বই আকারে প্রকাশ করো -খুব ভালো থেকো !ভাল লেখা !তোমাকেও আলোক রেখাকে অনেক! ভালবাস!অনেক শুভাশিশ
ReplyDeleteনানান ব্যস্ততায় তোমার লেখা পড়া হয়নি পড়লাম খুব ভাল লিখছো আমার আর্শিবাদ রইল শুধু লক্ষ্যচ্যুত হয়ে যেও না আর সাদেকা খালাকে যে কথা তুমি দিয়েছ তা শীঘ্র শুরু করে দাও সময়ের বিবর্তনে অনেক কিছু হারিয়ে যায় | আমার আর্শিবা'দ রইল
ReplyDelete