অতিপ্রকৃতি
/মেহরাব রহমান
আমি বিজ্ঞানঘড়ির
কাঁটায় চলি না।
হৃদয়ঘড়িতে জীবন
গুনি ।
আমি দিন গুনিনা
পঞ্জিকার পাতায়,
অনুভবের খাতা
উলেট দেখি
পৃথিবী ঘুরছেতো
ঘুরছেই।
কখনও চলে তার
সাথে সূর্যের সঙ্গম ।
যখন দিগন্তে ডুবে
যায় রবি,
দুঃখপ্রজাপতি
উড়ে
তখন পরকীয়া চলে
চাঁদের সাথে ।
শরমে চাঁদনী
লুকায় ;
অসংখ্য তারকা
প্রহরী
পাহারা দেয় অন্ধকার
।
আমি মাস গুনি না,
বছর গুনিনা
সংখ্যাতত্তে ;
রক্তকণিকায় বোধ
করি শীত ।
দারুন গ্রীষ্মে
পোড়ায় খুব ;
দগ্ধ করে বুকের
জমিন ।
বসন্তে জোছনা হাতছানি দিয়ে ডাকে।
আবার শরৎ-হেমন্তে
জেগে উঠি
সমুদ্রনীল আকাশের
তলে ।
আমি কারও ঈর্ষায়,বিদ্রুপে , কটু কথায়
দুঃখ পাই না ;
বন্ধুর চোখে পাঠ করি
আভ্যন্তরীন
মেঘ-বৃষ্টি
যন্ত্রনা -আনন্দ,
আবহাওয়া ।
আমি প্রেম ছিনতাই
করি না।
ভাটার সময় ভাঁটা;
জোয়ারের ব্যকুলতা
শোনার জন্য
মৃত্তিকার বুকে
কান পেতে থাকি ।
এভাবেই, এভাবেই আমি হয়তো মানুষ
প্রকৃতির সাথে
আমার চির-বন্ধন ;
অন্তরঙ্গ
অতিপ্রাকৃতিক সম্পর্ক ;
তাই সভ্যতার
অবক্ষয়ে আমার ভেতর
http://www.alokrekha.com
বহু প্রতিক্ষিত আমার প্রিয় কবি মেহরাব রহমানের কবিতা! বরাবরের মতই দুর্দান্ত বিষয়বস্তু! অত্মপ্রত্যয় সমৃদ্ধ অনবদ্য কবিতা! আলোকরেখার কাছে কৃতজ্ঞ আমাদের প্রিয় কবির কবিতা পড়ার সুযোগ করে 'দেবার জন্যে !
ReplyDeleteসুপ্রিয় রুমি আমি পরিতৃপ্ত আমি সুখী
ReplyDeleteআমার প্রিয় কবি মেহরাব রহমানের কবিতা অতিপ্রকৃতি!স্বভাবগত পরম দুর্দান্ত আধেয় ! স্বীয় গুণ উত্কর্ষ সমৃদ্ধ অনিন্দনীয় অনবদ্য কবিতা! আলোকরেখারকে ধন্যবাদ!! প্রিয় কবির কবিতা জন্যে !”
ReplyDelete