মেহরাব
রহমানের কবিতা মালা
চিত্রশিল্পী : নুরুন নাহার সুপ্তি |
অনুর
ভিতর পরমানু --১
পুন্জপুঞ্জ
মেঘে
জমে
থাকা ঝড়ের
রক্তিম
চিহ্ন আজ
এঁকেছি
তোমার
তৃষ্ণার্ত
ঠোঁটে প্রমত্ত চুম্বন
কঠিন
হৃদয়ে
জেগেছে
জোয়ার
ভীষণ
খরার পর
দারুন
বন্যা
এপ্রিল
২৬ , ২০১৬
চিত্রশিল্পী : নুরুন নাহার সুপ্তি |
অনুর ভিতর পরমাণু --২
যে পাখি অন্তরে থাকে
আমার সাথে খেলে বেড়ায় প্রান্তরে
যে ফুল দেখে কত ভুল মনে পড়ে
সে ফুল ফুটে ঝুল বারান্দায়
যে বহতা নদী এখনো কাঁদায়
এখন সে বন্ধ্যা নদী
চলেনা নিরবধি
অন্তরের নদী
প্রান্তরের পাখি
মাধবীলতার সেই প্রেমময় ফুল
তবে সবইকি ছিল ভুল ?
আমার সাথে খেলে বেড়ায় প্রান্তরে
যে ফুল দেখে কত ভুল মনে পড়ে
সে ফুল ফুটে ঝুল বারান্দায়
যে বহতা নদী এখনো কাঁদায়
এখন সে বন্ধ্যা নদী
চলেনা নিরবধি
অন্তরের নদী
প্রান্তরের পাখি
মাধবীলতার সেই প্রেমময় ফুল
তবে সবইকি ছিল ভুল ?
নভেম্বর ২৫ , ২০১৬
টরন্টো
টরন্টো
চিত্রশিল্পী : সৈয়দ ইকবাল
|
অনুর ভিতর পরমানু--৩
নদী
ও নারী ,
অন্ধকার
কি আলোর ভুবন
কিছুই
হারায়না;
লুকিয়ে
থাকে আড়ালে আবডালে,
কৃষ্ণ
মেঘের গহন অন্তরালে ।
জেগে
ওঠে হঠাৎ উজান ভাটায়।
বদলায়
সব বদলায়।
সংসার
ভেঙে হতে পারে এক
লালনজীবন
বরফ
গলে যদিবা নদী ,বহে নিরবধি।
পাথর
ভেঙে বালি
কখনো
তোলে বালিয়াড়ি ঝড় ।
বুকের
ভেতর গাছ-গাছালি
ভাঙে
কড়কড় মড়মড়।
মড়ার
খুলির নির্যাসে
ফুটে
সুরভিত গোলাপ ।
সম্পর্ক
ভাঙেনা
সম্পর্ক
বদলায়।
সূর্য
ভেঙে পৃথিবী ।
স্বপ্ন
ভেঙে কঠিন বাস্তব ।
সবই
পরিবর্তন, বিবর্তন
আর রূপান্তরের খেলা ।
কিছুই
হারায়না;
লুকিয়ে
থাকে আড়ালে আবডালে,
কৃষ্ণ
মেঘের গহন অন্তরালে ।
২২ ডিসেম্বর,২০১৬
টরন্টো
অনুর
ভিতর পরমানু --৪
সময়ের
গুন টানে অদৃশ্য দেবতা
অজান্তে
আমাদের বদলে দেয় রোজ
হায়
আমিও কতটা অন্য আমি
ভাঙনের
শব্দ শুনি
কালের
যাত্রায়
থাকেনা
রকমারি রঙের
রঙ্গিলা
রঙিন খেলা
স্মৃতির
সিন্দুকে তুলে রাখি সব
১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫
টরন্টো
অনুর
ভিতর পরমানু--৫
জং ধরা দরজায় কে
কড়া নাড়ে বল ?
ভাঙা
ঘর ছাদ ভেঙ্গে
অন্তহীন
বর্ষার বিষাক্ত বৃষ্টির জল ঢোকে
এলোমেলো
বিছানায় আলুথালু বিমর্ষ জোছনা
খসখসে
পাতা যেন প্রেমহীন
কাঁথা
মুড়ি দিয়ে পড়ে থাকে
একদিন
সময় ছিল সম্পন্ন
আজ দামাল দমকা হওয়ায় দৈবাৎ
দহনে
জ্বলে পুড়ে ছারখার
অনড়
প্রেম ভুলে গেছে কথা
বলা
ঝুম
ঝুম লাগাতার বৃষ্টি
কেউ
নেই কোনো
খানে
বৃষ্টির
গল্প শোনাবার
এই ওষ্ঠ মুরুভুমি
একেবারে
ভুলে গেছে আদরের ওম
এখন
মরুদ্যানে খরা
জলহীন
চাষবাস
জলমগ্ন
জংধরা দরজায় কে কড়া নাড়ে
বল ?
-------------------------------------------------------------------
শেষ
ঘুম
বৃক্ষের
শীতঘুম
হিমের
দাপটে বৃক্ষরা মরে যায়
আবার
বসন্তে পাতা নিয়ে
ফুল
নিয়ে ফল নিয়ে
নুতন
যৌবন
মানুষেরা
মরে গেলে
সেই
ঘুম ভাঙে না
রেখে
যায়
স্মৃতির
বিস্তীর্ণ ক্যানভাসে
নীল
দুঃখ
স্বর্ণ
আনন্দ
যমুনা
জোয়ার
মুরুভুমি
খরা
এবং
হয়তো
অবহেলায়
অযত্নে
পড়ে থাকে কবিতার খাতা
ব্র্যান্ডেড
চশমা
আদরের
কলম, গেলাস,চায়ের কাপ
কিংবা
নির্বাচিত পাতা মোড়া বই
.
মাঝির
কিংবা জেলের
নিত্য
সাথী নৌকো
আসবাব
আলমিরায়
কারুকাজ
অলংকার
থরে
থরে সাজানো
শাড়ি
র বাহার
নৈমিত্তিক
জিনিসপত্তর
পল্লবিত
ফুল-ফলে গাছেরা আবার
জাগে
মানুষেরা
একবার মরে গেলে
কেন?
কেন আর ফিরে আসে
না?
১২ ডিসেম্বর, ২০১৫,
টরন্টো
দ্বিপদী
ধ্রুপদ
সভ্যতার
নাকের নোলক কামড়ে দিলো
চিল
ধর্ষিতার
হিমাচল ক্রন্দন; অভ্যন্তরে পুড়ছে আগুন l
১৫/ ০২/ ২০১৭
টরন্টো
http://www.alokrekha.com
আলোকরেখার এই নতুন নতুন চমক আমাদের আকর্ষিত করে। কখনো যুগল বন্দি ,কখনো কবিতা গুচ্ছ,এক কবিকে আরেক কবির পত্র লেখা।এখন আমার প্রিয় কবি মেহরাব রহমানের কবিতা মালা।আমার ধৃষ্টতা নেই তাঁর কবিতার উপর মন্তব্য করার। শুধু বলবো অনেক ভালো লাগছে পড়তে। কবিকে শুভেচ্ছা।
ReplyDelete"মেহরাব রহমানের কবিতা মালা" কবিতা গুলোর বলিষ্ঠ ও অন্তরীণ বার্তা বিশেষত্ব। আমাদের কথা আমাদের ভাব কবি বলেছেন তার কবিতায়। কি অপূর্ব ও সুনিপুন হাতে কবি কবিতার মালা গেঁথেছেন। ভালোবাসা কবি।
ReplyDeleteকবি মেহরাব রহমান! আমরা অপেক্ষায় থাকি আপনার কবিতার জন্য। আজ মেঘ না চাইতেই জল। একেবারে মেহরাব রহমানের কবিতা মালা।এ জন্য আলোকরেখাকে সাধুবাদ জানাই। বরাবর-ই কবির সব কবিতায় মন ও মননের সুগভীর অনুচিন্তন, ভাবা, জ্ঞান,অধ্যাত্বিকতা প্রেরণার অভিব্যক্তি ছায়া দেখতে পাই । অপূর্ব শব্দশৈলী চমৎকার। অপরূপ-বহুবর্ণ ও ভাষার প্রকাশ। উত্কৃষ্ট ও চমৎকার সৃষ্ট কবিতার মালা। অনেক ভালোবাসা কবি।
ReplyDeleteমেহরাব রহমানের কবিতা মালা প্রকাশ করার জন্য আলোকরেখাকে সাধুবাদ জানাই। অনুচিন্তন, ভাবা, জ্ঞান, প্রেরণার অভিব্যক্তি ছায়া দেখতে পাই । সমুন্নত শব্দশৈলী । গভীর ভাবাবেগের উদ্ভাস ! হৃদয়গ্রাহী ও অধ্যাত্বিকতায় সৃষ্ট কবিতার মালা। অনেক ভালোবাসা কবিকে। ভালো থাকবেন।
ReplyDelete