"মা দিবস" আমার
সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত
আজ ক’দিন ধরেই আমার বেশ জ্বর -নিওমনিয়া। শরীরটা খুব খারাপ কোন কিছুতেই
শান্তি নেই- আরাম নেই।হয়তো
ভাবছেন আমি কেন আমার শরীরের সাতকাহন গাইছি? ওই যে বললাম“কোন কিছুতেই শান্তি নেই! আরাম নেই ” -শুধু একটা শব্দ আরামের পরশ বুলায় “মা”। পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বকালের সর্বাধিক উচ্চারিত শব্দের “মা” শব্দটিই
হবে সর্বাধিক উচ্চারিত। মা শব্দটি অতি ছোট্ট ও ক্ষুদ্র কিন্তু বিশাল ও ব্যাপক তার
প্রভাব। বিশ্বাস-আস্থা আর ভালোবাসার অপর নাম মা। মায়ের মমতার তুলনা নাই। কদাচিৎ
কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ছাড়া পৃথিবীর সকল মা ই তার সন্তানদের নিজের জীবনের চেয়েও
বেশী ভালবাসেন
। সন্তানের জন্য তার জীবনটাই উৎসর্গ করে দিতে কুণ্ঠাবোধ করেন না একজন
মা। সন্তান জন্মের প্রসব বেদনা একজন মা ই সহ্য করে। প্রিয় সন্তানের চেহারা দেখে সব
কষ্ট মুহূর্তে ভুলে যায়। ‘ভালোবাসা’ আর ‘মা’ একে অপরের পরিপূরক বা সমার্থক। এটা
সবাইকে একবাক্যে স্বীকার করতে হবে যে, নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রধানতম আশ্রয় কিন্তু মায়ের
ভালোবাসায়।’ ভালোবাসার সত্যিকারের নিদর্শন কিন্তু একজন মা’র কাছেই পাওয়া যাবে।
পৃথিবীতে একজন মার পক্ষেই সম্ভব সর্বাধিক ভালোবাসা দেয়া। মা’র ভালোবাসা সবকিছুকে
ছাপিয়ে…..অনেক দূর এগিয়ে। অনেক অনেক ঘাত-প্রতিঘাতেও কিন্তু একমাত্র মায়ের ভালোবাসা
পাশে থেকে যায়। সম্পর্কের তিক্ততায় বা টানাপোড়েনে যখন আপনার পাশে আপনার প্রিয় বাবা,
প্রিয় ভাই বা বোন,
বন্ধু, সহধর্মিনী অথবা যে কোন সম্পর্কের প্রিয়জন
আপনাকে ছেড়ে চলে যায় তখন কিন্তু এই গর্ভধারিনী মাকেই পাশে পাওয়া যায়। মায়ের
ভালোবাসা হচ্ছে অদ্বিতীয়। মায়ের এই ভালোবাসার সাথে কারো তুলনা হয় না।
মা শব্দটি মনে
আসলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে স্নেহ, আদর-মমতার এক
ছবি। অকৃত্রিম ভালোবাসার এই সম্পদ মা,কখনো ছোট্ট পুকুর – যেখানে দিনরাত সাঁতার কাটে ভালবাসার
নৌকা, আবার কখনো মমতার
শীতল ছায়া। সন্তানের জন্য মা সব পারেন। সহিষ্ণু, নিরলস ও সার্থকভাবে সংসারের হাল ধরার পরও
সন্তানের জন্য মা হয়ে উঠেন জননী থেকে অসাধারণ জননীতে।
আজ মা দিবস অনেকে অনেক কিছু লিখেছেন। অসুস্থতার কারনে লেখার
শক্তি পাচ্ছিলাম না। কিন্তু যখন দেখালাম আমার ছোট বোন মার হাসির মুখের একটা ছবি
পোস্ট করেছে - “Mother's Day sunset treat @ 4 points Sheraton” । মার মাথায় ফুলের মুকুট -মেয়ের হাত ধরে এক তৃপ্ত মা। পড়ন্ত
দিনে হলেও লিখলাম।
আজ মা দিবস।
পশ্চাত্য সংস্কৃতি-বাঙলার নয়।আমরা বলি প্রতিদিন আমাদের"মা দিবস"! তার
জন্য আলাদা করে দিবস পালন করলে মার অপমান করা হয়। আগে আমিও তাই ভাবতাম।পাশ্চাত্য
দেশের মানুষদের "মাকে ভালবাসার"জন্য দিবসের প্রয়োজনকে কিছুটা মেকিও মনে
হত ফালতু। নিজেদের বড্ডবেশী হৃদয়স্পর্শী আর অনুভূতিপ্রবণ মনে করে এই পশ্চাত্য
সংস্কৃতিকে বেশ খাটোই মনে হত। আমার সেই ধারনা কত বড় ভুল ছিল আজ তা অনুধাবন করতে
পারি যখন আমি একজন মা ! নিজেকে খুব সার্থক মনে হয়, আমি যে এই সভ্য শতাব্দীতে জন্মেছি। এই
শতাব্দী ক্ষমতা দিয়েছে এক আঙুলের ছোঁয়ায়
এই রোজকারের মা'দের
ভালোমন্দ জানতে।কোথায়?কোন
মা কেমন আছে ? তাদের
ভালো লাগা মন্দ লাগার গল্প জানায় এই শতাব্দী। এই শতাব্দী আমাকে আজকের এই দিনটিতে
আমি শুধু মা থেকে হই বিশেষ স্বত্বা-সন্তানরা আমায় অনুভব করায় আমি কেবল দেওয়ার জন্য
জন্মাই নি -আমার অনেক কিছু পাবার আছে –যেন আমি কোন রাজ্যের রানী।
মা তো মা-ই ! রোজ মা-কে ভালোবাসি! রোজ মা আছে! রোজ মা তো
আমারই ! "মা তো আছেই-রোজকার মা "--এই নিয়ে এত মাতামাতি এগুলো সব নিগমিত
ব্যবসাহিক সংস্কৃতি (corporate business culture) ! মা-কে কার্ড দিতে হবে কেন ? মা কে উপহার দিতে হবে কেন? মা-কে আলাদা খাওয়াতে হবে কেন? মা-কে নিয়ে সবাই মিলে হৈচৈ করতে হবে কেন?
সে তো আমাদের রোজকারের
মা! আমাদের সন্তানদেরও যে নৈতিক দায়িত্ব কর্তব্য মায়ের মন রক্ষা করে চলা, মায়ের মর্যাদা রক্ষা করে চলা, মায়ের মনে কষ্ট না দেয়া সেটা কী আমাদের মনে থাকে?
সেদিকে আমাদের সবার
লক্ষ্য রাখা উচিত। মা-বাবা যখন বার্ধক্যে এসে উপনীত হয় তখন তাঁরা ছোট শিশুর মতো
অবুঝ হয়ে যান। তাঁরা যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন অসহায় হয়ে পড়েন। মা-বাবা হয়ে পড়েন
ছেলে-মেয়ে আর সন্তান হয়ে যান বাবা-মা। বার্ধক্যে ও অসুস্থতায় তাদের সাথে কি মধুরতম
ব্যবহার করি প্রতিটি সন্তানের?
এ সমস্ত প্রশ্ন যাদের মনে জাগে তাদের প্রতি বিনয়ের সাথে
বলবো ঘটা করে “মা দিবস” পালন করা মায়ের সম্মানটাকে খাটো করার জন্য নয়, প্রতিদিনের মতোই ওই দিনকে আরেকটু গুরুত্ব দিয়ে
শুধুমাত্র মা’র জন্যই ঐদিনকে আরো বেশি সম্মানের আসনে স্মরণ করা। মাকে মুগ্ধতায়
বুঝিয়ে দেয়া এদিন সারাবিশ্ব শুধু তাঁকে নিয়েই বন্দনা করবে। তবুও কেন বছরের ১টা দিন
পহেলা বৈশাখ আমরা সবাই বাঙালি সাজি। কারণ বছরের ঐ দিনটি সবাই মিলেমিশে আনন্দে
খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠি। আবার অন্যদিকে মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা ঈদের দিন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দুর্গা পুজোর দিন,
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা
বুদ্ধ পূর্ণিমা, খ্রীস্টান
ধর্মাবলম্বীরা বড় দিনের মতো উৎসবের দিনগুলোতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আনন্দ খুশিতে
আত্মাহারা হয়ে উঠে।
আমরা অনেক কিছুকে দখলিস্বত্ব ও অধিকারভুক্ত ধরেনি। যেমন
দখলিস্বত্ব ও এখতিয়ার ভুক্ত আমাদের "রোজকার মা"। আমরা মায়ের জন্য আলাদা
কিছু কি কোনদিন ভেবেছি ? মা মানে সর্বংসহা
! মা মানে আমার সব কথা সব ব্যথা সে সইবে। মা মানে বাঁধবে বাড়বে আমাদের খাওয়াবে।
মার আলাদা কোন নাম হয় না। মার নাম মা! মা’ এই শব্দটাকে বিশ্লেষন করলে অযুত বিশেষন
বের হবে। আমরা মা শব্দটাকেই বিশেষন হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। যেমন আপনি আমার
মায়ের মত। বা তিনি আমাকে মায়ের মত আগলে রেখেছেন।মার জন্য দিবস ? এটা আমাদের কাছে বাড়াবাড়ি মনে হয়। আমরা ভারী অহমিকা স্বরে বলি "আমাদের রোজই মা
দিবস"-ফেসবুক অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে এই কথাটা ফলাও করে লিখি "আমাদের রোজই মা দিবস"-- আদৌ তা
কি সত্যি?
দখলিস্বত্ব মা হয়তো আমাদের কাছে রোজই থাকেন। কিন্তু রোজ কি
আমরা তাঁর খবর রাখি ? তাঁর আজ কি করতে
ইচ্ছে করছে ? তাঁর মনের খবর ?
কি খেতে বা কোথায় বেড়াতে
ইচ্ছে করছে?আমরা কি প্রতিদিন
একবার হলেও মা মনে করি? কখনো কি খেয়াল
করি মা কি খেল দুপুরে? কখনো কি আমরা
মাকে একটিবারের জন্যে জড়িয়ে ধরি প্রতিদিন।যে আমাদের কত যতনে আগলে রেখেছে।
আমি হলপ করে বলতে পারি যেহেতু তিঁনি আমাদের প্রতিদিনের মা
তাই আমরা ধরেই নি মায়ের অনেক যত্ন আত্তি করছি ,এই দিবস -টিবস আদিখ্যেতা।
একে বলে মায়ের ভালবাসা….আমরা কি প্রতিদিন একবার হলেও মা
মনে করি? কখনো কি আমরা
খেয়াল করি মা কি খেল দুপুরে? কখনো কি আমরা
মাকে একটিবারের জন্যে জড়িয়ে ধরি প্রতিদিন।যে আমাদের কত যতনে আগলে রেখেছে।মা শব্দটি মনে আসলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে স্নেহ, আদর-মমতার এক ছবি। অকৃত্রিম ভালোবাসার এই সম্পদ
মা, কখনো ছোট্ট পুকুর যেখানে দিনরাত সাঁতার কাটে ভালবাসার নৌকা, আবার কখনো মমতার শীতল ছায়া। সন্তানের জন্য মা সব পারেন।
সহিষ্ণু, নিরলস ও
সার্থকভাবে সংসারের হাল ধরার পরও সন্তানের জন্য মা হয়ে উঠেন জননী থেকে অসাধারণ
জননীতে। বাবা-মাকে তো আমরা প্রাতিদিনই ভালোবাসি, মা তো আমাদের প্রতিদিন প্রিয়। তবুও কেন
শুধুমাত্র একটা দিন ঘটা করে মা দিবস পালন করে আমরা তাঁর সম্মানটাকে খাটো করব?
বিশ্ব মা দিবস। এই দিনকে আরেকটু গুরুত্ব দিয়ে শুধুমাত্র
মা’র জন্যই আরো বেশি সম্মানের আসনে স্মরণ করা। প্রতিটি ক্ষণ,
মুহূর্ত নিজেকে বিলিয়ে
দিয়ে যিনি সন্তানকে বড় করে তোলেন, তাকে পৃথিবীতে
চলার উপযুক্ত করে গড়ে তোলেন যিনি, সেই ‘মা’য়ের কাছে
সন্তানের ঋণ পরিশোধের দিন আজ। মাকে ভক্তি, শ্রদ্ধায়, ভালবাসায় ভরিয়ে
দিয়ে তার দোয়া, আশীর্বাদ নেয়ার
আজই সুযোগ।
সন্তানের জন্য গর্ভধারিণীকে বিশেষভাবে ভালোবাসার কোনো বিশেষ
দিন প্রয়োজন হয় না। দিন ক্ষণ ঠিক করে মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় না।
মায়ের জন্য প্রেম-ভালোবাসা প্রতিটি মুহূর্তের। তার পরও নানা সূত্রে মায়ের অপার
মহিমা তুলে ধরারও একটি মাহেন্দ্রক্ষণ এই ‘মা দিবস’। মাথায় আঁচল ঢাকা সাদাসিধে হাসি
হাসি মুখটা মায়ের। পৃথিবীর কোনো কষ্টই তাকে ছোঁয় না। সব সময় সন্তানের জন্য সব
করতে প্রস্তুত একজন মানুষ। সন্তানকে বুকে টেনে পৃথিবীর সব কষ্ট ভুলিয়ে দেয়ার এক
অদ্ভূত ক্ষমতা তার আঁচলের ছায়ায়। তাই মায়ের স্থান অনন্য।
মা দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো মাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া,
শ্রদ্ধাপ্রদর্শন
করা। মায়ের প্রতি সন্তানের যে ভালোবাসা, তা প্রকাশের সুযোগ হয়ে ওঠে না সিংহভাগ মানুষেরই। মা দিবস সন্তানদের এই সুযোগ করে দেয়। পশ্চিমা বিশ্বে
দিবসটির উৎপত্তি; উদযাপনের ঘটাও
সেখানে অনেক বেশি। বিশ্বের বহু দেশে কেক কেটে মা দিবস পালন করা হয়।নগরের অতি বাস্তবতায় ক্ষিপ্রগতিতে ছুটে চলার ফুটপাথের ধারে
যে রকম আছেন মা। ঠিক তেমিন আছেন ইট পাথরে দালানে। কুঁড়ে ঘরে থাকেন মা। আবার থাকেন
পথের ধারেও। তবুও তিনি মা। সন্তানকে আগলে রাখেন সব কিছু থেকে। দুটো বাহু তার সব
সময় অক্লান্ত। পথের ধারে মায়েরা সন্তানদের আগলে রাখেন যে রকম মমতায়, অন্য খানেও সে রকম। শীতের রাতে নিজে কষ্ট করেন।
সন্তানের জন্য তবুও ওম চাই তার। বর্ষার বৃষ্টিতে নিজে ভিজেন। সন্তানকে রাখেন
সুরক্ষিত।
মাকে ঘিরে সবারই আছে অনেক সুখ-দুঃখ স্মৃতি। কারো মা জীবিত,
আবার কারো মা চলে গেছেন
না ফেরার দেশে। তবুও প্রতিদিনকার প্রতিটি কর্মে মা আছেন জড়িয়ে। দূর প্রবাসে বসে
কিংবা প্রতিদিন সকালে ঘুম ভেঙে মাকে মনে করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ঢের
কষ্টের। মায়ের কোনো ধনী-গরিব নেই। মায়ের কোনো ভেদ নেই। প্রকরণ নেই। একজন মা,
তিনি শুধুই মা। মাতৃহারা
মানুষ জানে কী কষ্ট, কী যন্ত্রণার
অধ্যায়। মা দিবসে মা-কে নিয়ে লেখা হয় বহু কিছু। লেখাগুলো পড়তে ভীষণ কষ্ট হয়।
মাতৃহারা জীবনের স্বাদ সকলকেই পেতে হয়। মা থাকলে অনেকেই তার ব্যাথা বোঝেন না। চলে
গেলেই অনুভব করতে থাকেন তার শূন্যতা।
মাকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানানোর নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই।
মায়ের প্রতি ভালবাসা প্রতিটি মুহূর্তের। তারপরও বিশ্বের সকল মানুষ যাতে একসাথে
মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে সেজন্য আন্তর্জাতিক মা দিবস পালন করা হয়। প্রতিটি
মায়ের মনের কথা যেমন,‘আমার সন্তান যেন
থাকে দুধে-ভাতে’। তেমনি প্রতিটি সন্তানের প্রতিদিনের ভাবনা– ‘জননী আমার তুমি,
পৃথিবী আমার, তোমার চরণ ছুঁয়ে বন্দনা গাই, হাজার বছর পরে যদি আমি আসি ফিরে তোমারই কোলেতে পাই
যেন ঠাঁই, মা গো।’
আধুনিক যুগে সবাই নিজেকে নিয়ে মহাব্যস্ত। কারো কথা ভাবার
জন্য এতটুকু সময় নেই। মা-বাবা যখন বৃদ্ধ হয়ে যায় তাদের মনে করা হয় বোঝা যা কাঁধ
থেকে নামাতে পারলেই মুক্তি সুতরাং আমরা অনেকেই তাদের রেখে আসি বৃদ্ধাশ্রমে।
আমাদের জন্যই মা দিবস পালন বড্ড বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। মা
প্রথম কথা বলা শেখান বলেই মায়ের ভাষা হয় মাতৃভাষা। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা
সহজাত গুণ। এই ভালোবাসার কারণেই সুন্দর সৃষ্টির ধারা প্রবহমান। মা হচ্ছেন
মমতা-নিরাপত্তা-অস্তিত্ব, নিশ্চয়তা ও
আশ্রয়। মা সন্তানের অভিভাবক, পরিচালক, ফিলোসফার, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও বড় বন্ধু। সন্তানের প্রতি
মায়ের এই তীব্র মমতার ব্যাখ্যায় বিজ্ঞান বলে, মায়ের দুধে এক প্রকার রাসায়নিক যৌগিক পদার্থ
আছে-যা সন্তানের দেহে প্রবেশ করলে মা ও সন্তানের মধ্যে চুম্বক প্রীতি ও
সৌহার্দ্যেরে নিবিড় বন্ধন সৃষ্টি হয়। মায়ের দেহে নিউট্রোপেট্রিক রাসায়নিক পদার্থ
থাকায় মায়ের মনের মাঝে সন্তানের জন্য মমতা জন্ম নেয়, মায়ের ভালোবাসার ক্ষমতা বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে
নির্ণয় করা সম্ভব নয়। পৃথিবীতে আসার আগে সন্তান মায়ের গর্ভে তিলে তিলে বড় হয়।
মায়ের দেহ থেকেই খাদ্য গ্রহণ করে। মাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর নির্দিষ্ট কোনো
দিন নাই। আমাদের দেশের রীতি,
সংস্কৃতি একটু অন্যরকম।
হয়তো আমাদের দেশের কিছু কিছু মানুষ মা-কে মা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। আবার অনেকে
মুখ ফুটে কিছু বলতেও পারে না যে,
তার মাকে কতোটা ভালোবাসে।
কিন্তু মায়েরা সন্তানের মনের কথা বোঝেন, আশ্চর্যভাবেই। এই
আধুনিক যুগে মানুষ অনেকটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারপরও বেগময় জীবনে আবেগগুলোকে
হারিয়ে ফেললে চলবে না। জীবনের সকল সম্পর্কগুলো সজীব থাকুক, অটুট থাকুক ভালোবাসা। মা-র খোঁজ নেয়া হোক
প্রতিদিন। সকল মায়েরা ভালো থাকুক। বিনম্র শ্রদ্ধা পৃথিবীর সকল মাকে।
সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com
দারুন লিখেছেন সানজিদা রুমি !মা শব্দটি মনে আসলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে স্নেহ, আদর-মমতার এক ছবি। অকৃত্রিম ভালোবাসার সন্তানের জন্য মা সব পারেন। সহিষ্ণু, নিরলস ও সার্থকভাবে সংসারের হাল ধরার পরও সন্তানের জন্য মা হয়ে উঠেন জননী থেকে অসাধারণ জননীতে। বাবা-মাকে তো আমরা প্রাতিদিনই ভালোবাসি, মা তো আমাদের প্রতিদিনই প্রিয়। তবুও কেন শুধুমাত্র একটা দিন ঘটা করে মা দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে তাকে বিশেষ অনুভব করানো খুব ভালো উদ্দ্যোগ!
ReplyDeleteখুব সুন্দর লেখা ! সানজিদা রুমির "মা দিবস" আমার-লেখাটা আলোকরেখায় প্রকাশ হবার আগে এভাবে কখন ভানিনি। সত্যিই তো ! মা দিবস” পালন করা মায়ের সম্মানটাকে খাটো করার জন্য নয়, প্রতিদিনের মতোই ওই দিনকে আরেকটু গুরুত্ব দিয়ে শুধুমাত্র মা’র জন্যই ঐদিনকে আরো বেশি সম্মানের আসনে স্মরণ করা। মাকে মুগ্ধতায় বুঝিয়ে দেয়া এদিন সারাবিশ্ব শুধু তাঁকে নিয়েই বন্দনা করবে।
ReplyDeleteসানজিদা রুমির "মা দিবস" আমার-লেখাটা খুব সুন্দর ! সত্যিই তো মা কাছে রোজই থাকেন। কিন্তু রোজ কি খবর রাখি ? তাঁর আজ কি করতে ইচ্ছে করছে ? তাঁর মনের খবর ? কি খেতে বা কোথায় বেড়াতে ইচ্ছে করছে? আমরা মাকে একটিবারের জন্যে জড়িয়ে ধরি প্রতিদিন? যে আমাদের কত যতনে আগলে রেখেছে। মা দিবসের উছিলায় একবার হলেও মা মনে করি,খেয়াল করি মা কি খেল দুপুরে। একবারের জন্যে জড়িয়ে ধরি.যে আমাদের কত যতনে আগলে রেখেছে।
ReplyDeleteঅত্যন্ত সুন্দর লিখেছেন সানজিদা রুমির "মা দিবস" আমার- ! শুধুমাত্র একটা দিন ঘটা করে মা দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে তাকে বিশেষ অনুভব করানো খুব ভালো উদ্দ্যোগ ! মা শব্দটি মনে আসলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে স্নেহ, আদর-মমতার এক ছবি। অকৃত্রিম ভালোবাসার সন্তানের জন্য মা সব পারেন। সহিষ্ণু, নিরলস ও সার্থকভাবে সংসারের হাল ধরার পরও সন্তানের জন্য মা হয়ে উঠেন জননী থেকে অসাধারণ জননীতে। বাবা-মাকে তো আমরা প্রাতিদিনই ভালোবাসি, মা তো আমাদের প্রতিদিনই প্রিয়।
ReplyDeleteচমৎকার রচনাশৈলী ও স্বতন্ত্র লেখা সানজিদা রুমির "মা দিবস" আমার-! ভাষা প্রয়োগও চমৎকার। বিশ্ব মা দিবস। এই দিনকে আরেকটু গুরুত্ব দিয়ে শুধুমাত্র মা’র জন্যই আরো বেশি সম্মানের আসনে স্মরণ করা। প্রতিটি ক্ষণ, মুহূর্ত নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে যিনি সন্তানকে বড় করে তোলেন, তাকে পৃথিবীতে চলার উপযুক্ত করে গড়ে তোলেন যিনি, সেই ‘মা’য়ের কাছে সন্তানের ঋণ পরিশোধের দিন আজ। মাকে ভক্তি, শ্রদ্ধায়, ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়ে তার দোয়া, আশীর্বাদ নেয়ার আজই সুযোগ। অনেক শুভেচ্ছা কবি। আপনি ভালো থাকুন আরো লিখুন !
ReplyDeleteভাল লিখেছেন সানজিদা রুমি !কিন্তু এখানে মা দিবসের ব্যাপারে লিখতে গিয়ে উনার পারিবারিক প্রদর্শনী বেশি। উনারা মাকে ৫তারা হোটেলের প্রদর্শন আত্ম অহম নয় কি ? মা শব্দটি মনে আসলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে স্নেহ, আদর-মমতার এক ছবি। ওনার মা বোন ডাক্তার তাও কি প্রদর্শন ? আমার কাছে এই লেখাটি একটি কৃত্রিম জাহির করার প্রয়াস
ReplyDeleteসানজিদা রুমির শুধুমাত্র একটা !আমার মনে হয়েছে উনার বেশি পারিবারিক প্রদর্শন উদ্দ্যোগ। । উনারা মাকে ৫তারা হোটেলে ইটাও দেখাওয়া। এই লেখাটি একটি জাহির করা।
ReplyDeleteআলোকরেখা একটা সংগ্রহশালা। তা অবশ্য ঠিকই। সানজিদা রুমির পারিবারিক সংগ্রহশালা। ভালো লিখেছেন মা দিবস নিয়ে। প্রদর্শনীও ভালোই লেগেছে।
ReplyDeleteঅসাধারণ লেখা সানজিদা রুমির "মা দিবস" আমার-! অপূর্ব ভাষা প্রয়োগও ও রচনাশৈলী চমৎকার। খুব প্রাণের কাছাকাছি লেখা মা দিবস নিয়ে। যারা এই লেখা নিয়ে বিরূপ ও প্রদর্শনী বলে মন্তব্য় করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা ভালো করে কি পড়েছেন? লেখার শিরোনাম পড়েন নেই ? "মা দিবস" আমার-! -সানজিদা রুমি তার মা দিবস -এর কথা লিখেছেন। যা আপনারা জাহির বা প্রদর্শনী বলেছেন সঙ্গত কারণে পারিবারিক ছবি ও কথা এসেছে। এমন লেখা আমরা খুব কম পড়তে পাই। আমি সানজিদা রুমির এই স্বতন্ত্র জন্য অনেক ধন্যবাদ। আলোকরেখায় এমন লেখাই প্রত্যাশিত।
ReplyDeleteস্বতন্ত্র লেখা সানজিদা রুমির "মা দিবস" আমার-! চমৎকার ভাষা । বিশ্ব মা দিবস। এই দিনকে আরেকটু গুরুত্ব দিয়ে শুধুমাত্র মা’র জন্যই আরো বেশি সম্মানের আসনে স্মরণ করা।সন্তানের জন্য গর্ভধারিণীকে বিশেষভাবে ভালোবাসার কোনো বিশেষ দিন প্রয়োজন হয় না। দিন ক্ষণ ঠিক করে মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় না। মায়ের জন্য প্রেম-ভালোবাসা প্রতিটি মুহূর্তের। তার পরও নানা সূত্রে মায়ের অপার মহিমা তুলে ধরারও একটি মাহেন্দ্রক্ষণ এই ‘মা দিবস’। মাথায় আঁচল ঢাকা সাদাসিধে হাসি হাসি মুখটা মায়ের। পৃথিবীর কোনো কষ্টই তাকে ছোঁয় না। সব সময় সন্তানের জন্য সব করতে প্রস্তুত একজন মানুষ। সন্তানকে বুকে টেনে পৃথিবীর সব কষ্ট ভুলিয়ে দেয়ার এক অদ্ভূত ক্ষমতা তার আঁচলের ছায়ায়। তাই মায়ের স্থান অনন্য।
ReplyDeleteখালেদা আপা আমার ডেলিভারি আপনার হাতে হয়েছিল বারডেম হাসপাতালে।সানজিদা রুমি যে আপনার মেয়ে তা জানতাম না। আপা আপনি অনেক ভাগ্য এমন সন্তান আপনার। কি যে সুন্দর লিখেছেন "মা দিবস" আমার ! আমরা সবাই মা কে ভালোবাসি কিন্তু এমন ভাষায় বলতে পারি না। উনি যে আপনাকে কি যে ভালোবাসেন তার লেখার প্রতিটি শব্দে প্রতীয়মান। খালেদা আপা ও সানজিদা রুমি দুজনকেই অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
ReplyDeleteস্বতন্ত্র লেখা সানজিদা রুমির "মা দিবস" আমার-! চমৎকার ভাষা । বিশ্ব মা দিবস। এই দিনকে আরেকটু গুরুত্ব দিয়ে শুধুমাত্র মা’র জন্যই আরো বেশি সম্মানের আসনে স্মরণ করা।সন্তানের জন্য গর্ভধারিণীকে বিশেষভাবে ভালোবাসার কোনো বিশেষ দিন প্রয়োজন হয় না। দিন ক্ষণ ঠিক করে মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় না। মায়ের জন্য প্রেম-ভালোবাসা প্রতিটি মুহূর্তের। তার পরও নানা সূত্রে মায়ের অপার মহিমা তুলে ধরারও একটি মাহেন্দ্রক্ষণ এই ‘মা দিবস’। মাথায় আঁচল ঢাকা সাদাসিধে হাসি হাসি মুখটা মায়ের। পৃথিবীর কোনো কষ্টই তাকে ছোঁয় না। সব সময় সন্তানের জন্য সব করতে প্রস্তুত একজন মানুষ। সন্তানকে বুকে টেনে পৃথিবীর সব কষ্ট ভুলিয়ে দেয়ার এক অদ্ভূত ক্ষমতা তার আঁচলের ছায়ায়। তাই মায়ের স্থান অনন্য।
ReplyDeleteআমি সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি "মা দিবস ! আমার " লেখাটা পড়ার জন্যে- ভালো ও গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য। আপনাদের এই গঠন মূলক ও প্রেরণা মুলুক মন্তব্য আমার লেখাকে উন্নত ও সম্মৃদ্ধ করবে। আশা করি আগামীতে পাঠকের মন জয়ী লেখার চেষ্টা করবো। আবারও আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ভ্যালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। জগতের সকলের জীব সুখী হোক -শান্তি বর্ষিত হোক।
ReplyDeleteখুউব ভালো লাগলো মাকে নিয়ে লেখা। 'মা' তো 'মা' ই । অনেকদিন পর ছবি দেখলাম ডাঃ খালেদা বারীর।
ReplyDeleteআলোকরেখা আমাদের মনে বসত করে। রোজ একবার আলোকরেখায় যাওয়া একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। অত্যন্ত হতাশ হয়ে পুরোনো লেখাগুলো নাড়াচাড়া করি ক্লিক করি। এত সুন্দর একটা দীপ্ত প্রজ্ঞার আলয় বন্ধ হয়ে গেলে খুব দুঃখ পাঠকরা। আশা করবো আলোকরেখা আবার তার পুরোনো অবয়বে ফিরে আসুক।অপেক্ষায় রইলাম।
ReplyDelete