ইদ বানানে উৎসবে কী এসে যায়
রবিশঙ্কর মৈত্রী
ইদের
আগে, ফেসবুকে, ইদ বানান বিতর্কে
ছুটোছুটিহীন বন্ধুদের সময়টা বেশ কাটছে। যাঁরা
সামান্য বোনাসে কেনার আগেই কাটার ভয়ে
গুটিয়ে আছেন তাঁদের কাছে
এই বানান বিতর্ক একেবারেই বেমানান অর্থহীন।
বাড়ির পথে অসহনীয় যানজটে যাঁরা আটকে আছেন, যাঁরা বাড়ি ফেরার টিকেট পাননি, যাঁদের ফসল ডুবে পচে গেছে গভীর জলের নিচে, তাঁদের কাছে ইদের হ্রস্ব-ই দীর্ঘ-ঈ একই, গুরুত্বহীন।
বাড়ির পথে অসহনীয় যানজটে যাঁরা আটকে আছেন, যাঁরা বাড়ি ফেরার টিকেট পাননি, যাঁদের ফসল ডুবে পচে গেছে গভীর জলের নিচে, তাঁদের কাছে ইদের হ্রস্ব-ই দীর্ঘ-ঈ একই, গুরুত্বহীন।
কোনো
ধর্মীয় উৎসবই বানানের উপর নির্ভর করে
না। বাঙালি হিন্দুর সবচেয়ে বড়ো উৎসবের নাম--
সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। এখনো দুর্গাপূজার সময়
হাজার হাজার পূজামণ্ডপের সামনে ভুল বানানে শোভা
পায়—সার্বজনীন শারদীয় দূর্গোৎসব।
সার্বজনীন এবং দূর্গা—এই
দুটি শব্দের ভুল বানানে দুর্গামাকে
অসম্মান করা হয় না।
ভুল বানানে মায়ের প্রতি ভক্তি কমে যায় না।
কিন্তু আমরা যারা ঠিক
বানানটা জানি তাদের একটু
খারাপই লাগে। খারাপ লাগে এই ভেবে
যে--ব্যানারে ফেস্টুনে সাইনবোর্ডে লেখা শব্দ বাক্য
বানান এবং রঙ এবং
ছবিতেই আমাদের রুচি ধরা পড়ে
যায়।
ইদ
বানানে হ্রস্ব-ই লিখলে আমাদের
আবেগ অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, কিন্তু কতো
কতো প্রতিবেশী যখন অর্থাভাবে ইদে
আনন্দ করতে পারেন না—তখন আমরা অনেকেই
চোখ সরিয়ে দায় এড়িয়ে চলতে
পারি ঠিকই। বাংলা একাডেমি যাই লিখতে বলুক—আপনি দীর্ঘ-ঈ
দিয়ে ঈদ লিখে খুশি
থাকুন। আপনার খুশি কমিয়ে দিতে
আমি কিছু লিখতে বসিনি।
আপনি
একটু খেয়াল করলেই বুঝবেন--ফেসবুকের মধ্যেও গোপন ক্যামেরা আছে।
চেষ্টা করেও আমরা সেই
ক্যামেরার সামনে থেকে নিজেকে লুকাতে
পারি না। ফেসবুক আমাদের
গোপন প্রেম হিংসা এবং মূর্খতার ছবি
তুলে প্রচার করে দেয়। এখানে
এসে চোখমুখ খুললেই আমরা শত সহস্র
মানুষের কাছে ধরা পড়ে
যাই। বানান নিয়ে কথা বলতে
গিয়ে এরই মধ্যে ফেসবুকে
অনেকেই তার অন্তরের বিষ
ঢেলে দিয়েছেন। আমরাও তাই বন্ধু চিনে
নিতে সতর্ক হবার সু্যোগ পেয়েছি।
নিয়মের
মধ্যেও দুএকটি অনিয়মসম্মত ব্যতিক্রম থাকতেই পারে। এবং ব্যতিক্রম হিসেবেই
১৯৯৪ সালে স্ববিরোধী কাজ
করেছিল বাংলা একাডেমি।
বাংলা
একাডেমি বাংলা বানান-অভিধানে ঈদ বানানে দীর্ঘ-ঈ ছাপা হয়েছিল।
(প্রথম প্রকাশ জ্যৈষ্ঠ ১৪০১, জুন ১৯৯৪)।
কিন্তু অভিধানে অনুসৃত বানান-নীতিতে লেখা ছিল—
‘‘অ-তৎসম, তদ্ভব, দেশী, বিদেশী, অজ্ঞাতমূল এবং মিশ্র শব্দে
ই এবং উ স্বর
এবং আলি প্রত্যয়ান্ত শব্দে
ই-কার ব্যবহার করা
হয়েছে। সর্বনাম পদরূপে এবং বিশেষণ ও
ক্রিয়া-বিশেষণ পদরূপে কী শব্দ ঈ-কার দিয়ে এবং
অব্যয় পদরূপে কি শব্দ ই-কার দিয়ে লেখা
হয়েছে।’’
এই
নিয়ম যে অভিধানে জারি
করা হয়, সেই অভিধানেই
১৯৯৪ সালে বাংলা একাডেমি
ইদ বানানে দীর্ঘ-ঈ লেখা হয়েছিল।
সম্প্রতি
বাংলা একাডেমির নতুন অভিধানে বিদেশি
শব্দ হিসেবে ইদ বানানে হ্রস্ব-ই লেখা হয়েছে।
বাংলা
ব্যাকরণ ও বানান নিয়ে
বাংলা একাডেমির সকল নিয়ম আমি
মানতে বাধ্য। আমার মাতৃভাষার শৃঙ্খলার
জন্যে একাডেমির নিয়ম মেনে নেওয়াটাই
আমার দায়িত্ব কর্তব্য।
আমরা
জানি, বাংলা একাডেমির বাংলা ব্যাকরণ বানান ও অভিধানের সঙ্গে
যাঁরা যুক্ত আছেন তাঁরা নিবেদিতপ্রাণ
ভাষাপণ্ডিত। একই সঙ্গে বাংলা
একাডেমিকে না-মানার অধিকারও
আমরা রাখি। কিন্তু না-মানার আগে
আমার নিজের জানাটাও যাচাই করে নেওয়া জরুরি।
আমি যদি লেখক কবি
সাংবাদিক হই—বানান নিয়ে
মাথা ঘামানোর সময় কোথা পাব?
সুকুমার সেন, ড. মুহম্মদ
শহীদুল্লাহ, আনিসুজ্জামান, হুমায়ুন আজাদ, নরেন বিশ্বাস বাংলাভাষা
নিয়ে যা লিখেছেন আমার
জন্য তাই যথেষ্ট, বাংলা
বানান উচ্চারণ নিয়ে নিজের মতামত
দাঁড় করানোর মতো প্রজ্ঞা আমার
নেই। আমি কেবল তাঁদেরকে
অনুসরণ করেই আরো একটু
সহজ করে খুব সাধারণ
ভাষায় কিছু বলতে চাই
এবং দরকার হলে যুক্তি ও
ব্যাখ্যা দিতে প্রস্তুত থাকি।
কেউ
কেউ বলতে চান একেকটি
ধর্মের নিজস্ব ভাষা আছে। সংস্কৃত
আরবি পালি ইত্যাদি ভাষাকে
তাই তাঁরা ধর্মীয় ভাষা বলে মানতে
চান।
কিন্তু
খুব সরলভাবেই আমরা বুঝতে পারি--ঈশ্বর আল্লাহ, ভগবানের মাতৃভাষা নেই। ঈশ্বর, আল্লাহ,
ভগবান গাছের ভাষাও বোঝেন, মানুষের ভাষাও বোঝেন। আমরা যখন ঈশ্বরের
কাছে কেঁদে কেঁদে কিছু চাই, তখন
মাতৃভাষা ছাড়া আর সব
ভাষা ভুলে যাই। অতএব
ধর্মীয় ভাষা বলে কোনো
ভাষা নেই।
সংস্কৃতকে
কেউ কেউ বলতে চান
মন্ত্রের ভাষা, ধর্মের ভাষা, প্রার্থনার ভাষা। বাৎসায়ন সংস্কৃত ভাষাতেই কামসূত্র রচনা করেছেন। যৌনতার
সুখরসসমৃদ্ধ রচনা সবচেয়ে বেশি
পাও্য়া যায় সংস্কৃত সাহিত্যে।
বুদ্ধিদীপ্ত সাংকেতিক কামকলাসমৃদ্ধ সংস্কৃত শ্লোকের জন্য কি হিন্দুদের
ধর্মগ্রন্থগুলো অপবিত্র হয়ে গেছে?
সংস্কৃত
এখন মৃতপ্রায় ভাষার নাম। কিন্তু সংস্কৃত
ভাষার অগণিত শব্দ বাংলা হিন্দি
উর্দু অহমিয়া মারাঠি নেপালি-সহ দক্ষিণ এশিয়ার
প্রায় প্রতিটি ভাষায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরবি
কি শুধুই ধর্মীয় ভাষা। ইদ কিংবা ঈদ
কি এখন কেবলই ধর্মীয়
শব্দ?
আমরা
বাঙালি, আমাদের মতো করে আমরা
আরবি ফারসি ইংরেজি উর্দু হিন্দি এবং সংস্কৃত শব্দের
উচ্চারণ করি। একটু খেয়াল
করলেই ধরা পড়ে--ইংরেজদের
সঙ্গে আমরা যখন ইংরেজিতে
কথা বলি তখন আমাদের
কথা বুঝতে তাঁদের কষ্ট হয়। একজন
ইংরেজ যখন বাংলায় কথা
বলেন তখনো তাঁদের কথা
আমরা কান দিয়ে নয়
অন্তর দিয়ে বুঝে নিই।
আমরা
ফ্রান্সের আলেস শহরে বাস
করি। এখানে আমাদের বেশ কজন বন্ধুর
মাতৃভাষা আরবি। ওই বন্ধুরা যখন
নিজেদের মধ্যে কথা বলেন, ঝগড়া
করেন, এমনকি যৌনতা নিয়ে কথা বলেন
তখনো তাঁরা মাতৃভাষা ব্যবহার করেন। আরবি ভাষায় খিস্তি
করলে ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো অপবিত্র হয়ে যায়?
ইদ,
ইমন, ইমান, ইমানদার, ইল্লত, ইশারা, ইসলাম, ইসা, ইস্রাফিল—এগুলো
আরবি শব্দ। আমি জানি না—এই শব্দের কোন
কোন বানানে আরবির প্রতিবর্ণ মেনে দীর্ঘ-ঈ
ব্যবহার করতে হবে।
একই
ভাবে ইলেকট্রনিক, ইলেকশন, ইসিজি এইসব ইংরেজি শব্দের
কোনোটি কি দীর্ঘ-ঈ-কার দাবি করে?
বাংলা
বানানে সহজ শৃঙ্খলা আনার
জন্যে দেশি বিদেশি এবং
তদ্ভব শব্দে দীর্ঘ-ঈ ও দীর্ঘ-ঈ-কার বর্জন
করা হয়েছে। এই সহজ নিয়মটি
না মানলে জেল জরিমানার কিছু
নেই। রাস্তা তৈরি না হলে
ফসলের খেত মাড়িয়ে যে
যেমন খুশি চলতেই পারে।
কিন্তু রাস্তা তৈরি হবার পর
ফসলভরা খেত মাড়িয়ে গেলে
ভারী অন্যায় হয়।
বাংলাভাষার
সুশৃঙ্খল পথ সবে তৈরি
হয়েছে, এখনো যাঁরা ইচ্ছেমতো
চলতে চান, চলুন। আরবি,
ফারসি, ফরাসি, ইংরেজি বানান ইচ্ছেমতো ভুলভাল বানানে লিখলে আমরা অশিক্ষিত বলে
চিহ্নিত হই। কিন্তু বাংলায়
ইচ্ছেমতো যা খুশি লিখুন
বলুন—কেউ কিচ্ছু বলবে
না। আমরা এখনো বাসে
ট্রেনে সহযাত্রীদের শুনিয়ে চিৎকার করে মোবাইল ফোনে
কথা বলি—কোনো যাত্রী
বিরক্ত হলেও অসভ্য মানুষের
তাতে কী এসে যায়?
ফেসবুকে
চেনাজানা রুচিবান কবি লেখকদের কেউ
কেউ লিখেছেন—সংস্কৃতও বিদেশি শব্দ। আমাদের পূর্ব পূর্ব মাতাপিতাও তো ভিনদেশি ছিলেন,
একদা তাঁরা ছিলেন অন্য ধর্মের মানুষ।
তাঁরা কি তবে বিদেশি?
আমরা কি বিদেশি?
উক্তি,
উগ্র, উচিত, উচ্চ, উচ্ছল, উচ্ছেদ, উজ্জ্বল, উৎকণ্ঠা, উদীচী, উদীয়মান, উদ্দীপনা, ঊরু, ঊর্ধ্ব, ঊর্মি,
ঊষর—এগুলো তৎসম শব্দ। বাংলাভাষায়
কমবেশি ষাট হাজার তৎসম
শব্দ আছে। এই সকল
শব্দে হ্রস্ব-ই, দীর্ঘ-ঈ,
হ্রস্ব-উ, দীর্ঘ-ঊ,
ন, ণ, শ, ষ,
স ব্যবহারে নিয়ম মানতে হয়।
তৎসম শব্দকে বিদেশি বলে চিহ্নিত করলে
আমাদের নিজস্ব বর্ণমালার অস্তিত্বও বিপন্ন হয়।
স্বরবর্ণ
ব্যঞ্জনবর্ণ আমরা নি্যেছি সংস্কৃত
থেকে। কিন্তু আমাদের লিপি দেবনাগরী নয়,
বাংলা। দেবনাগরী সংস্কৃত হিন্দি এবং নেপালি ভাষার
বর্ণলিপি। আমরা কি আজ
বাংলাভাষার বর্ণমালা থেকে সকল সংস্কৃত
বর্ণ বাদ দিতে পারব?
হিন্দি
থেকে মুক্ত হবার জন্য উর্দু
ভাষার জন্ম হয়েছিল। কিন্তু
উর্দু ভাষা আরবি হরফ
গ্রহণ করলেও সংস্কৃত ও হিন্দি শব্দ
বর্জন করতে পারেনি। ভারত
পাকিস্তানের শত্রুতা যতোই থাকুক, হিন্দু
মুসলমানে যতোই বিদ্বেষ ঘন
হোক—আজও হিন্দি উর্দু
ভাষায় গলায় গলায় পিরিতি।
যে
ভাষার জন্য আমাদের এতো
প্রেম, এতো রক্ত, এতো
ত্যাগ—সেই ভাষাকে একটু
মমতা দি্যে জানতে মানতে সমস্যা কোথায়? যাকে ভালোবাসি তাকে
কি আমরা ইচ্ছেমতো ব্যবহার
করতে পারি? যাকে আমরা ভালোবাসি—তাকে মানতে হয়,
জানতে হয়। ভালোবাসার মানুষের
সঙ্গে যেমন জেনেবুঝে মেনে
চলতে হয়, তেমনি ভাষাকেও।
মানুষের
প্রকৃত পরিচয় তার মন থেকে
উৎসারিত হয়। যার মন
যেমন, সে মানুষ তেমন।
ভাষাও তাই। যার ভাষায়
যতোটা অন্তররস থাকে, উপলব্ধি জ্ঞান অভিজ্ঞতার গভীরতা থাকে—তার ভাষা
ততো সুন্দর হয়। মনের আশ্রয়
শরীর, ভাষার আশ্রয় তার ধ্বনি অক্ষর
শব্দ ও নিয়মসম্মত ব্যাকরণ।
নিয়ম না মানলে শরীর
ধ্বংস হয়ে যায়, ভাষাও
তাই।
আসুন
আমরা নিয়ম মেনে সুস্থ
সুন্দর থাকার চেষ্টা করি, মনকে লালন
পালন করি। আসুন আমরা
আমাদের মাতৃভাষাকে ভাসিয়ে না দিয়ে জাগিয়ে
রাখি, তাকে আরো উচ্চতার
পথে নিয়ে যেতে নিবেদিত
হই।
রবিশঙ্কর
মৈত্রী
২৩শে
জুন, আলেস, ফ্রান্স
http://www.alokrekha.com
এতো সুন্দর বর্ণনাময় ও প্রকৃত বাস্তবতথ্যমূলক লেখা। রবিশঙ্কর মৈত্রীর লেখা আলোকরেখায় পড়তে পেরে খুব ভালো লাগছে। ওনার সাথে আমি ফেস বুকে যুক্ত নই ,খুব খুশি হলাম আলোকরেখায় ওনার লেখা পেয়ে। আশা করবো ওনার লেখা নিয়মিত পাবো। অনেক শুভেচ্ছা লেখক রবিশঙ্কর মৈত্রীকে।
ReplyDeleteসত্যিতো ইদ বানানে উৎসবে কী এসে যায় ? এতে আনন্দ ভক্তি কিছুই কমে না। খুব প্রশংসনীয়, সুন্দর বস্তুনিষ্ঠ ও চমৎকার লেখা। রবিশঙ্কর মৈত্রীর লেখা আলোকরেখায় পড়তে পেরে খুব ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভেচ্ছা !
ReplyDeleteচারিদিকে যখন ই আর ঈ নিয়ে মাতামাতি তখন রবিশঙ্কর মৈত্রীর ইদ বানানে উৎসবে কী এসে যায় ? এই লেখাটা খুব সময়পোযোগী প্রশংসনীয়, সুন্দর বস্তুনিষ্ঠ । কোন বানানে আনন্দ ভক্তি কিছুই যায় আসে না । আসলে অনুভুতিই সব। অনেক ধন্যবাদ লেখক রবিশঙ্কর মৈত্রী। আলোকরেখায় রবিশঙ্কর মৈত্রীর লেখা পেয়ে বিশেষ আনন্দবোধ হচ্ছে । আশা করি এর পর থেকে নিয়মিত রবিশঙ্কর মৈত্রী'র লেখা পাবো। অনেক অনেক ঈদের শুভেচ্ছা !
ReplyDeleteব্যাকরণ সহ বিস্তারিত রবিশঙ্কর মৈত্রী'র লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমরা হুজুগে অনেক কথা বলে ফেলি। গভীরে যাই না। কান চিলে নিয়ে গেছে বলে চিলের পিছে দৌড়াই। আদৌ কান আছে কি না দেখি না। রবিশঙ্কর মৈত্রীর ইদ বানানে উৎসবে কী এসে যায় ? এই লেখাটা খুব সময়পোযোগী প্রশংসনীয়, সুন্দর বস্তুনিষ্ঠ । আর এ কোথাও সত্যি ই কার বা ঈ কারে আনন্দভক্তি কিছুই কি কমে ? অনেক ধন্যবাদ লেখক রবিশঙ্কর মৈত্রী। আলোকরেখায় রবিশঙ্কর মৈত্রীর লেখা পেয়ে বিশেষ আনন্দবোধ হচ্ছে । আশা করি এর পর থেকে নিয়মিত লেখা পাবো।
ReplyDeleteবিষয়টা তাই নয় দাদা
ReplyDeleteআপনার পৈতৃক নাম বদলে দিলে আপনার কী ভালো লাগবে ?
তেমনি এই ঈদ শব্দটির পিতা গণমানুষ
অনেক আদরের এই শব্দটি প্রচলিত হয়ে আসছে
দীর্ঘ সময় ধরে
অভিধান বা কোনও একাডেমি শব্দ তৈরী করেনি
সিংহভাগ মানুষ যে শব্দ ব্যবহার করে তাই অভিধানে স্থান পায়
এই পরিবর্তন যেমন অপমান করেছে গণমানুষের রায়কে তেমনি অপমানিত করেছে জাতীয় কবি
নজরুল ইসলামকেও
তিনি তার অনেক লেখায় ঈদ শব্দটি ব্যবহার করেছেন
এই প্রচলিত শব্দটি বদলাবার এতোকি জুরুরি
হয়ে পড়লো ?