ভালোবাসার কোলাজ
মেহরাব রহমান
অনাদর প্রার্থনা চাওনা সোনা ?
ও আমার রাজেশ্বরী তোমাকে
চমৎকার চমকিয়া
এক অলীক
চিকচিক বালুচর
মরীচিকা তুমি ।
আমি এক জাদুকর ;
শিরোনাম রাজন ।
আমি এক পোড় খাওয়া বালিয়াড়ি ঝড়।
এক জংধরা বাঁশিওয়ালা আমি।
আবার বাজাবো সেই ডাকাতিয়া বাঁশি ।
এমনকি আগুন হাওয়ায়;
ডাকবো তোমাকে
মনরাঙানিয়া নুতন নামে ।
ছুঁয়ে দেব তোমার
কারু কাজ বুকের জমিন।
খরগোশ ভীরু হৃদয় থেকে
টুপটাপ জোসনা ঝরবে প্রতিদিন ।
মায়াজালে ঘেরা ঘুমজাগরণ ¯ স্বপ্ন ঘরে
বৈঠা বিহীন চাঁদেরতরণি বেয়ে
আসবো সেদিন;
অভিসারের নীল বাতি
জ্বালাবে যেদিন ।
জানি আমি
জানে আমার অন্তর্যামী।
তুষের আগুনে পুড়ে তাসের ঘর।
এক নদী
দুইধারে দুইপাখি।
উৎসের সন্ধানে
আনন্দপুরের অনন্যা পাখি
শিষ দেয় কাকভোরে ।
প্রেয়সীকে খুঁজতে খুঁজতে
রাতের জোনাকি আসে দিবালোকে
ঝাঁজালো রোদ্দুরে ।
ভালোবাসার উগ্র কাম জাগে ।
নাসিকাঅগ্রে কাঁপে নীলঘাম ।
নাকের নোলক দোলে
যেনবা অলৌকিক দেয়ালঘড়ির
সোনালী পেন্ডুলাম ।
লালনীল উল্টানো পাথর ঘুমায় ;
নিরাকার অর্থবহ
অন্ধকারের সফেদ বিছানায়।
সম্মোহনী সুর শোনা যায়।
ঐযে রবিশংকরের সিতার বাজে
বিমূর্ত সংসারে ।
চিত্রকর আঁকেন
নিঃশব্দ চুম্বন
ফোলা ফোলা রক্তাভ ওষ্টদ্বয়ে,
পবিত্র পায়ের পদ্ম পাতায় ।
আহ! সুবুজ পত্রাবলী এবং
শৈল্পিক আঙুলের বিন্যাস ।
আরাধনা চাওনা ?
পূজার অর্ঘ্য চাওনা?
দেব দেব বেশ দেব
দেউলিয়া হবো
চুমু দেব
নীলয় গভীরে ।
যখন নেমে আসে
মিশমিশে অচেনা অন্ধকার,
কষ্টের নীল দংশন ছোবল দেয়
জাদুকরী দর্পনে,
দেখে নিও যখন তখন
স্বপ্ন, অনুরাগ, আকাঙ্ক্ষা ।
দেখ তুমি অভিমানী রাজেশ্বরী,
এক রাজসিক রাজন এঁকেছে
কত কত ছবি।
তার অবিন্যস্ত অভ্যন্তরে
রক্ষরণ রক্ত রং দিয়ে,
কেবল মাত্র তোমার জন্যে
অগ্নিপ্রেম ভালোবাসার কোলাজ ।
জুলাই ৭, ২০১৭ টরন্টো
পাদটীকাঃ
কবিতায় ব্যবহৃত চিত্রকর্মের চিত্রশিল্পী: নুরুন নাহার সুপ্তি
আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ
http://www.alokrekha.com
এত সুন্দর প্রেমের কবিতা উপহার দেবার জন্য কবি মেহরাব রহমানকে অনেক ধন্যবাদ ।কি অনবদ্য প্রেমের বহিঃপ্রকাশ । প্রতিটি শব্দ যেন প্রেমও উপহার আর আদরের আস্বাদন। খুব ভাল লাগলো পড়তে ।এই কবিতাটা কবি মেহরাব রহমানর অন্য কবিতার মাঝে অনন্য।
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
Deleteমহূয়া আপনাদের ভালোলাগা আমার আনন্দ
Deleteকাবপ্রেমিকদের প্রশংসা আমার মাথার মুকুট
আর কোনো পুরস্কার আমি চাইনা
দোয়া করবেন যেন আরও ভালো কিছু লিখতে পারি
আলোকরেখা আমার মতো ক্ষুদ্র কবিকে বৃহৎ সুযোগ করে দিয়েছে
আমি কৃতজ্ঞ
আমি ধন্য
কি দারুন প্রেমের কবিতা । কবি এই কবিতায় প্রেমের উপাখ্যান বর্ণনা করা হয়েছে ।কবি মেহরাব রহমান তার রাজেশ্বরীকে আদর প্রেম,কখনো বিম্বিত বিদ্যুৎস্বপ্ন, অনুরাগ, আকাঙ্ক্ষা - কবি তার অভিমানী রাজেশ্বরী,আর রাজন এঁকেছে কত কত ছবি। তার অবিন্যস্ত অভ্যন্তরে রক্ষরণ রক্ত রং দিয়ে -প্রেমিক কি এমন হয় ? কে এমন ভাগ্যবতী কবি ? এমন করে ভালবাসা ? এ যেন প্রশ্নপুরী ! সাধু কবি !
ReplyDeleteমিতা হক
Deleteআমি জানিনা আপনিকি আমার সেই প্রিয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী কিনা ? আমার অন্তর্লোকে কতপ্রেম জমে আছে, কত বিরহ আমাকে কাঁদায়
আর তার প্রতিফলন ঘটে কবিতায়
আমি যখন সাতক্ষীরায় থাকি তখন প্রথম মিতা হকের গান আমাকে আপ্লুত করে আমি মনে মনে তাঁর বন্দনা করি
সেই রকম চিত্রকল্প জমে আছে আমার গহন
গহীনে
হয়তো তার নির্যাস থেকেই এই কবিতা
আপনার প্রশংসা প্রশংসা আমার হৃদয় অলংকার
আমি শিল্পী মনে করি না নিজেকে । রবিন্দ্রনাথকে ধারন করি অন্তরে।তাঁর গান গাওয়ার চেষ্টা করি ।জানি না হয় কি না। আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই আমার উদ্দেশে লেখার জন্য ।জা সাধারনত আমারা মান্যবর কবির কাছ থেকে পাই না ,অনেক অভিনন্দন ! আরও ভাল লেখেন ! আমি কিন্তু কবিতা পড়তে ভিশন ভালবাসি
Deleteএমন কবিতা বহুদিন পর পরলাম । কবি মেহরাব রাহমানের কবিতায় সাধারণত একটু আধ্যাত্মিক ও ভাব গম্ভীর লেখা পাই । এই কবিতায় আমরা কবির আরেক রূপ দেখতে পাই । এখানে তিনি একজন সম্পূর্ণ প্রেমিক পুরুষ ! শব্দে বর্ণে দারুন রচনা শৈলী। অনেক ভালবাসা -প্রেমের কবিকে !
ReplyDeleteআরিফ হাসান
Deleteআপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা
আমার অনেক রোমান্টিক কবিতা আছে
আপনার জন্য আগামীতে পোস্ট করবো
কবি মেহরাব রাহমানের অনবদ্য অনুরঁজিত ভাব প্রশংসনীয়ও প্রেমের একটি অপূর্ব কবিতা! রাজন- প্রিয়া রাজেশ্বরীকে আদরের যে উপমা ব্যবহার করেছেন সতি তা কল্পনাতীত।এই প্রেম কবির আত্ম উপলব্ধি !এই প্রেম তাঁর সর্বোপরি তৃপ্তি ! কবিকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই ।
ReplyDeleteআলোকরেখায় প্রকাশিত কবিতার মধ্যে মেহরাব রহমান প্রেমের এই কবিতা
ReplyDeleteবিশেষত্বের দাবিদার। কবি মেহরাব রহমান শুধু ছন্দবদ্ধ শব্দ ও সুসম যোগ্য সদৃশ গুণসম্পন্ন বাক্য প্রয়োগে ভাল কবিতা লেখেন না ।দৃঢ় বিষয় বস্তু আর সুনির্দিষ্ট জোরাল বার্তা পাই কবি কবিতায় বিদ্যমান । সত্যি কবি কবিতাি প্রশংসার যোগ্য । ভালোবাসার কোলাজ কবিতাটি একেবারে ভিন্ন মাত্রার অনন্য। এ যেন বিস্নু-প্রিয়ার প্রেম কাহিনী। কবিকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই ।
কি নিবিড় প্রেমালিঙ্গন কি কোমলত্ব আবার ঝাঁজালো রোদ্দুর রবিশংকরের সিতার বিমূর্ত সংসারে চিত্রকরের মত চুম্বন রক্তাভ ওষ্টদ্বয়ে পায়ের পদ্ম পাতায়। এ যেন কৃষ্ণের প্রেম লীলা অভিমানী শ্রী রাধিকার জন্য। কবি জানতে চাই বাস্তব জীবনে কেন প্রেমিক এমন করে আদর করতে পারে ? কেন এ শুধু কবির কল্পনায় প্রসুত ?
ReplyDeleteসুপ্রিয় মল্লিকা সেন গুপ্ত,
Deleteআপনার প্রশ্নের জবাবে বলতে হয়
আমি রক্তাভ চুমু খাই আমার প্রেয়সীর
পদ্মপায়ের অপূর্ব পদ্মপাতায়
কখনো মূর্ত কখনো বিমূর্ত
কখনো লৌকিক কখনো অলৌকিক
সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা
অভিমানী রাই বিনোদিনীর কৃষ্ণের প্রেমাদর নিবিড় প্রেমালিঙ্গন অনাদর প্রার্থনা নয় আদরের কোমলত্ব। বিম্বিত বিদ্যুৎ ঝাঁজালো রোদ্দুরে তপ্ত দেহ,সেই বিমূর্ত সংসারে রবিশংকরের সিতার বাজে- টুপটাপ জোসনা ঝরে প্রতিদিন । শুধু ওষ্ঠে নয় পায়ের পাতায় চিত্রকর আঁকে চুম্বন।মায়াজালে ঘেরা ঘুমে বা জাগরণে স্বপ্ন ঘরে
ReplyDeleteবৈঠা বিহীন চাঁদের তরণি বেয়ে অভিসারের আসবে নীল বাতি জ্বলবে যেদিন আপন দর্পনে স্বপ্ন, অনুরাগ, আকাঙ্ক্ষায় ভরে উঠবে তাবত প্রেমে অভিমানী রাজেশ্বরী,। এক রাজসিক রাজন এঁকেছে কত কত ছবি। তার অবিন্যস্ত অভ্যন্তরেরক্ষরণ রক্ত রং দিয়ে ! বর ভাগ্য করে এসেছে রাজেশ্বরী। এই প্রথম কাউকে হিংসা হচ্ছে তবুও প্রার্থনা করি অভিমানী রাজেশ্বরী এমনি ভাবেই থেক তুমি তোমার রাজনের ভাল্বাসায় আদরে অন্তরে বিমূর্ত আদরে।সত্যি কবি মেহরাব রহমানের এই কবিতা প্রশংসার যোগ্য । ভালোবাসার কোলাজ কবিতাটি একেবারে ভিন্ন মাত্রার প্রেমে অনন্য অনবদ্য।
রুমি তোমার ভালোলাগা আমার অনেক বড়ো পাওনা
Deleteআমি সুখী
আমি আনন্দিত
আলোকরেখায় আমি অনেক অনেক লিখতে চাই
This comment has been removed by the author.
ReplyDelete