'ভিনদেশি বাবা'
নীপা লায়লা
এসেছি ওয়াশিংটনডিসিতে।National Air and Space Museum দেখতে।মিউজিয়াম খুলবে সকাল ১০:০০টায় আর আমরা চলে এসেছি
সকাল ৯:০০টার আগেই তাই অন্যান্য ভিজিটরদের সাথে আমরাও মিউজিয়াম এর সামনের সিঁড়িতে হাত পা এলিয়ে বসে আছি।
যেমন চড়া রোদ তেমন প্রচণ্ড গরম।মোটামুটি অসহ্য অবস্থা! ইচ্ছে করছিলো ঘরে ফেরত চলে যাই এমন সময় এক শেতাঙ্গ ফ্যামিলি এসে আমাদের দুই সিঁড়ি নিচে বসেছে।ফ্যামিলি মানে স্বামী-স্ত্রী আর ৭/৮ বছরের চাঁন্দের মতন দুই মেয়ে।দেখে মনে হচ্ছে ওরা যমজ।
একেবারেই আইডেন্টিটিক্যাল টুইন্স!নানান কিসিমের লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে সিঁড়ি সহ আশেপাশের সবটুকু জায়গা।সবাই অধীর আগ্রহে মিউজিয়াম এর ভেতরে যাওয়ার অপেক্ষায়।আমার ফিজিসিস্ট মাস্টার সাহেব গরমে অস্থির যেমন হয়ে আছেন তারচেয়ে হাজার গুণ বেশী অস্থির হয়ে আছেন মিউজিয়াম এর ভেতরে যাবার জন্য।সবার চোখ মিউজিয়ামের দরজার দিকে, কেবলমাত্র আমার মুগ্ধ দুই চোখ নিচের সিঁড়িতে বসা শেতাঙ্গ ফ্যামিলির দিকে।নাদুসনুদুস মা-টি তার নিজের মোবাইল ফোনে খুব দ্রুত গতিতে স্ক্রলিং করে যাচ্ছে আর ছিপছিপে রাজপুত্রের মতন বাবাটি পালা করে তার দুই রাজকন্যার হাতে পায়ে মুখে যত্ন করে সানস্ক্রিন মাখিয়ে দিচ্ছে আর আদর করে মাঝেমাঝে ঠাণ্ডা পানির বোতল ধরে রাজকন্যাদের মুখে পানি ঢেলে দিচ্ছে। আই রিপিট! বাবা তার মেয়েদের গায়ে সানস্ক্রিন মাখিয়ে দিচ্ছে,মা নয়! মা ব্যস্ত ফেইসবুকিং নিয়ে!
সকাল ৯:০০টার আগেই তাই অন্যান্য ভিজিটরদের সাথে আমরাও মিউজিয়াম এর সামনের সিঁড়িতে হাত পা এলিয়ে বসে আছি।
যেমন চড়া রোদ তেমন প্রচণ্ড গরম।মোটামুটি অসহ্য অবস্থা! ইচ্ছে করছিলো ঘরে ফেরত চলে যাই এমন সময় এক শেতাঙ্গ ফ্যামিলি এসে আমাদের দুই সিঁড়ি নিচে বসেছে।ফ্যামিলি মানে স্বামী-স্ত্রী আর ৭/৮ বছরের চাঁন্দের মতন দুই মেয়ে।দেখে মনে হচ্ছে ওরা যমজ।
একেবারেই আইডেন্টিটিক্যাল টুইন্স!নানান কিসিমের লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে সিঁড়ি সহ আশেপাশের সবটুকু জায়গা।সবাই অধীর আগ্রহে মিউজিয়াম এর ভেতরে যাওয়ার অপেক্ষায়।আমার ফিজিসিস্ট মাস্টার সাহেব গরমে অস্থির যেমন হয়ে আছেন তারচেয়ে হাজার গুণ বেশী অস্থির হয়ে আছেন মিউজিয়াম এর ভেতরে যাবার জন্য।সবার চোখ মিউজিয়ামের দরজার দিকে, কেবলমাত্র আমার মুগ্ধ দুই চোখ নিচের সিঁড়িতে বসা শেতাঙ্গ ফ্যামিলির দিকে।নাদুসনুদুস মা-টি তার নিজের মোবাইল ফোনে খুব দ্রুত গতিতে স্ক্রলিং করে যাচ্ছে আর ছিপছিপে রাজপুত্রের মতন বাবাটি পালা করে তার দুই রাজকন্যার হাতে পায়ে মুখে যত্ন করে সানস্ক্রিন মাখিয়ে দিচ্ছে আর আদর করে মাঝেমাঝে ঠাণ্ডা পানির বোতল ধরে রাজকন্যাদের মুখে পানি ঢেলে দিচ্ছে। আই রিপিট! বাবা তার মেয়েদের গায়ে সানস্ক্রিন মাখিয়ে দিচ্ছে,মা নয়! মা ব্যস্ত ফেইসবুকিং নিয়ে!
সব পুরুষ যেমন খারাপ পুরুষ নয় তেমনি সব জন্মদাতাই কিন্তু খারাপ বাবা নয়।
ওয়াশিংটন, ডিস্ট্রিক্ট অফ কলোম্বিয়া
১৪ ই জুলাই '১৭
নীপা লায়লার'ভিনদেশি বাবা' খুব সুন্দর লেখা ! বাবারা সাধারনত ততটা যত্নশীল হয় না !লেখক খুব সুন্দর করে একজন অনন্য বাবাকে চিত্রিত করেছেন। নীপা লায়লার লেখার ভক্ত আমি বরাবরই । আলক রেখায় তার লেখা ভিন্নধর্মী ।শুভেচ্ছা লেখাক কে !
ReplyDelete