আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও বাংলা কবিতা ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    বাংলা কবিতা


    বাংলা কবিতা
    কবিতার বৈশিষ্ঠ্য- "অভিধা" বারো "ব্যঞ্জনা" ইলয়া কবিতা হঙর পুরাণ, রামায়ন, মহাভারত, ইলিয়াড, ওডেসী হাবি লেঙসেতা ব্যঞ্জনালো বা ইশারালো কুনো কুনোগয় এতারে রূপকউ বুলতারা কবির অন্তরর, বারাদের টেইপাঙ এহানর, জগতর নানান অভিজ্ঞতা আয়া কবির মনহানরে আঘাত দিয়া ইণ্দ্রিয় চেতনারে হজাক করের,আবেগর থংচিলহান আঙয়া প্রাকৃতজগতে আয়া উবা অরগা নুয়া রূপ আহান ধরিয়া
    কবিতা বাংলা ভাষায় সাহিত্যর আদিমতম রূপহান চর্যাপদ বাংলা কবিতার আদিমতম রূপর নিদর্শনহান বুলিয়া মাততারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গিরকে বাংল কবিতারে বিশ্বর মিমাঙে পরিচিত করাদেসেবাংলা কবিতা এর উৎপত্তি হয়েছিলো মূলত পালি এবং প্রাকৃত সংস্কৃতি এবং সামাজিক রীতি থেকে এটি বৈদিক ধর্মীয় ধর্মানুষ্ঠান এবং বৌদ্ধ ধর্ম জৈন ধর্ম এর রীতিনীতির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং পরস্পর বিরোধি ছিলো তবে আধুনিক বাংলার সংস্কৃত ভাষা ভাষার উপর ভিত্তি করেই তৈরী হয় নি

    চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম কাব্য তথা সাহিত্য নিদর্শন নব্য ভারতীয় আর্যভাষারও প্রাচীনতম রচনা এটি খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ চর্যাপদের ২৪ জন পদকর্তা হচ্ছেন লুই পা, কুক্কুরীপা, বিরুআপা, গুণ্ডরীপা, চাটিলপা, ভুসুক পা, কাহ্নপাদ, কাম্বলাম্বরপা, ডোম্বীপা, শান্তিপা ,মহিত্তাপা, বীণাপা, সরহপা, শবর পা, আজদেবপা, ঢেণ্ঢণপা, দারিকপা, ভাদেপা, তাড়কপা, কঙ্কণপা , জঅনন্দিপা, ধামপা, তান্তীপা, লাড়ীডোম্বীপা

    বাংলা সাহিত্যের ১২০০-১৩৫০ খ্রি. পর্যন্ত সময়কেঅন্ধকার যুগহিসেবে চিহ্নিত এই সময় রচিত হয় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন যার রচয়িতা বডুচন্ডিদাশ এছাড়া বৈষ্ণব পদাবালী সাহিত্যের কবিগণ হলেন বিদ্যাপতি, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস, যশোরাজ খান , চাঁদকাজী, রামচন্দ বসু, বলরাম দাস, নরহরি দাস, বৃন্দাবন দাস, বংশীবদন, বাসুদেব, অনন্ত দাস, লোচন দাস, শেখ কবির, সৈয়দ সুলতান, হরহরি সরকার, ফতেহ পরমানন্দ, ঘনশ্যাম দাশ, গয়াস খান, আলাওল, দীন চন্ডীদাস, চন্দ্রশেখর, হরিদাস, শিবরাম, করম আলী, পীর মুহম্মদ, হীরামনি, ভবানন্দ প্রমুখ কবিমধ্যযুগের কাব্যধারা মনসামঙ্গলের কবিগণ, চন্ডীমঙ্গলের কবিগণ, ধর্মমঙ্গলের কবিগণ, কালিকামঙ্গলের কবিগণ নানাভাবে বাংলা কবিতায় অবদান রেখেছেন মঙ্গল কাব্যের বিখ্যাত কবিগণ হচ্ছেন কানাহরি দত্ত, নারায়ন দেব, বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপলাই, মাধব আচার্য, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, ঘনরাম চক্রবর্তী, শ্রীশ্যাম পন্ডিত, ভরতচন্দ্র রায় গুনাকর, ক্ষেমানন্দ, কেতকা দাস ক্ষেমানন্দ, দ্বিজ মাধব, আদি রূপরাম, মানিক রাম, ময়ূর ভট্ট, খেলারাম, রূপরাম, সীতারাম দাস, শ্যামপন্ডিত, দ্বিজ বংশী দাস, দ্বিজ প্রভারাম বৈষ্ণবপদাবলি ধারার কবি : বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস, দ্বিজ চন্ডীদাস, দীন চন্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস মহাকাব্য: অনুবাদ কবিতার খ্যাতিমার কবিরা হলো: সংস্কৃত রামায়ণ মহাভারত, মহাকাব্যদুটির শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কবি হচ্ছেন যথাক্রমে কৃত্তিবাস ওঝা কাশীরাম দাস অন্যান্য অনুবাদক হচ্ছেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর, শ্রীকর নন্দী, চন্দ্রাবতী , অদ্ভুতাচার্য, ভবানীদাস প্রমুখ রোমান্টিক কাব্য: (অনুবাদ) বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগে মুসলমান রচিত শ্রেষ্ঠ কাব্যধারা হচ্ছে রোমান্সমূলক কাব্য ইউসুফ-জুলেখা - শাহ মুহম্মদ সগীর, পদ্মাবতী - আলাওলের, মধুমালতী- মুহাম্মদ কবীর সতীময়না-লোরচন্দ্রানী- দৌলত কাজীর লায়লী-মজনু : দৌলত উজির বাহরাম খা জীবনীকাব্য,শাক্তপদাবলি, দোভাষী পুঁথি সাহিত্যের উল্লেখ যোগ্য কবিরা হলো: বৃন্দাবন দাস, কৃষ্ণদাস কবিরাজ , রামপ্রসাদ, দাশু রায়, সৈয়দ হামজা , ফকির গরীবুল্লাহ প্রমুখ১৮০০- বর্তমান, চলমান মধ্য আধুনিক যুগের মধ্যে যিনি সেতুবন্ধন তৈরি করেন তিনি হলেন যুগ সন্ধি ক্ষণের কবি: ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত (১৮১২-১৮৫৯) মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩) মধ্যযুগীয় পয়ারমাত্রার ভেঙে কবি প্রবেশ করেন মুক্ত ছন্দেরচনা করেন সনেট লাভ করেন, আধুনিক কবিতার জনকের খ্যাতি ভোরের পাখি : ইউরোপীয় ভাবধারার রোমান্টিক গীতি কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী (১৮৩৫-১৮৯৪) মহিরুহ বৃক্ষের ন্যায় বাংলা সাহিত্যে প্রবেশ করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(১৮৬১-১৯৪১) মহাকাব্য ব্যতিত সাহিক্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে তিনি খ্যাতির স্তম্বটি প্রতিষ্ঠা করেননি রবীন্দ্রানুসারী ভাবধারার অন্যান্য কবিরা হলো: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত , যতীন্দ্রমোহন বাগচী বিশ শতকের শুরুতে কবিতায় পঞ্চপুরুষ রবীন্দ্রবিরোধিতার করেন, তারা হলো : মোহিতলাল মজুমদার, কাজী নজরুল ইসলাম যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত আধুনিক কবিতার স্বর্ণযুগ: রবীন্দ্র ভাব ধারার বাইরে এসে দশক প্রথার চলু করেন তিরিশের পঞ্চপান্ডব কবি: অমিয় চক্রবর্তী (১৯০১-৮৭), জীবননান্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪), বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-৭৪), বিষ্ণু দে (১৯০৯-৮২), সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-৬০)

    সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com

    1 comments:

    1. ধন্যবাদ
      সানজিদা রুমি
      অনেক জ্ঞান অর্জন করলাম

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ