২৫ শে মার্চের স্মৃতি।
হাসান মীর।
১৯৭১' এর ২৫ শে মার্চ আমি থাকতাম ঢাকার নয়াপল্টন এলাকায় ইসমাইলিয়া শিয়াদের জামাতখানার পাশে একটা মেসে। এর আগে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে আমরা অর্থাৎ তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের শিল্প দপ্তরের বেশ কিছু কর্মকর্তা - কর্মচারী করাচি থেকে ঢাকায় বদলি হয়ে এসেছিলাম।
আমাদের অফিস ছিল পুরানা পল্টনে HBFC বিল্ডিয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। মেসেও থাকতাম করাচি থেকে বদলি হয়ে আসা আমরা চারজন। কেউ ক্লার্ক, কেউ স্টেনো । মার্চে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে অফিসে তেমন কাজকর্ম হতো না। কেউ গল্প- গুজব করে সময় কাটাতো ( তখন খবরের চেয়ে গুজবই ছিল বেশি) , কেউ ব্যক্তিগত নানা কাজে ব্যস্ত থাকতো আবার কেউবা অলিখিত ছুটি ভেবে গ্রামের বাড়ি চলে গিয়েছিল। বস্তুতপক্ষে ২৫ শে মার্চে মেসের বাসিন্দা ছিলাম আমি একাই। মেসের বাবুর্চিও চলে গিয়েছিল। বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে একটা ঝুপড়ির দোকান ছিল। চা- বিস্কিট-পরোটা ছাড়াও ওরা রিক্সাওয়ালা- মজুর শ্রেণীর দু-চার জনের জন্যে ভাত-তরকারিও রান্না করতো। আমার নাস্তা-খাওয়া চলতো সেখানেই।
আমাদের অফিস ছিল পুরানা পল্টনে HBFC বিল্ডিয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। মেসেও থাকতাম করাচি থেকে বদলি হয়ে আসা আমরা চারজন। কেউ ক্লার্ক, কেউ স্টেনো । মার্চে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে অফিসে তেমন কাজকর্ম হতো না। কেউ গল্প- গুজব করে সময় কাটাতো ( তখন খবরের চেয়ে গুজবই ছিল বেশি) , কেউ ব্যক্তিগত নানা কাজে ব্যস্ত থাকতো আবার কেউবা অলিখিত ছুটি ভেবে গ্রামের বাড়ি চলে গিয়েছিল। বস্তুতপক্ষে ২৫ শে মার্চে মেসের বাসিন্দা ছিলাম আমি একাই। মেসের বাবুর্চিও চলে গিয়েছিল। বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে একটা ঝুপড়ির দোকান ছিল। চা- বিস্কিট-পরোটা ছাড়াও ওরা রিক্সাওয়ালা- মজুর শ্রেণীর দু-চার জনের জন্যে ভাত-তরকারিও রান্না করতো। আমার নাস্তা-খাওয়া চলতো সেখানেই।
২৫ শে মার্চ গোটা দুপুর ঘুমিয়ে কাটাবার পর বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে বায়তুল মোকাররম পেরিয়ে স্টেডিয়ামের দিকে গেলাম। লাউডস্পিকারে গরম গরম বক্তৃতা ভেসে আসছিল। স্টেডিয়ামের গেটের কাছে আর খানিকটা ভেতরে দুটি পৃথক জায়গায় সভা হচ্ছিল। যতদূর মনে পড়ে একটা সভা ছিল কাজী জাফর আহমদ আর রাশেদ খান মেননদের আর অন্যটি তোয়াহা সাহেবের সাম্যবাদী দলের। স্বাভাবিক অবস্থায় এদের পক্ষে প্রকাশ্যে জনসভা করা সম্ভব হতো না কিন্তু তখন তো জয়- বাংলার শাসন চলছে, পাকিস্তানি আইন- কানুনের কেউ তোয়াক্কা করে না। জনসভায় উভয় পক্ষের তেজোদৃপ্ত ও জ্বালাময়ী বক্তৃতা শুনে উজ্জীবিত হলাম। রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সামনে দিয়ে হেঁটে শান্তিনগরে হাই ভাইদের বাড়িতে এলাম। সিনে- সাপ্তাহিক চিত্রালী পত্রিকার তৎকালীন সহকারী সম্পাদক এটিএম হাইয়ের কথা আগেও অনেকবার ফেসবুকের পাতায় লিখেছি। বাড়িটা ছিল হাবিবুল্লাহ বাহার আর কবি গোলাম মোস্তফা সাহেবদের বাড়ির পেছন দিকের সরু রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে কাছেই। হাই ভাইদের বাড়ির অন্যদিকে খানিকটা পতিত্ জমি, তারপর নয়াপল্টনের বড় রাস্তা এবং পলওয়েল মার্কেট। পলওয়েলের পাশে জোনাকি সিনেমা। সিনেমা হলের পাশেই গাজী ভবন, হাই ভাইয়ের শ্বশুর গাজী শামসুদ্দিন সাহেবের বাড়ি। এই বর্ণনা অবশ্যই ৪৭ বছর আগেকার।
হাই ভাই বাড়িতেই ছিলেন। তার কাছে স্টেডিয়ামের বক্তৃতার কথা বললাম। তিনি বললেন - আজকের রাতটা দেখেন কি হয়। শুধু গরম গরম বক্তৃতায় কি আর দেশ স্বাধীন হয় -। এরমধ্যে দুই যুবক এসে হাই ভাইয়ের কাছে চাঁদা চাইলো - দুলাভাই, আজ রাতেই কিছু একটা ঘটবে মনে হয়। আমরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিচ্ছি - সারা রাত জাগতে হবে। হাই সাহেব ওদের টাকা দিলেন কিন্তু বললেন - দ্যাখো, রাস্তায় কাঠের গুড়ি ফেলে আর্মির ট্যাংক আর ট্রাক আটকানো যায় কি-না। কথায় কথায় রাত দশটা বাজলো। হেনা ভাবী বললেন- মেস তো বন্ধ, এখানেই খেয়ে যান। হাই ভাই দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ, বললেন - আলোচনার নামে কালক্ষেপণ তো অনেক হলো কিন্তু এহিয়া খানের মতলব ভালো না। এদের বাড়ির পাশেই আওয়ামী লীগ নেতা গাজী গোলাম মোস্তফার বাড়ি ( সম্পর্কে হাই সাহেবের চাচা শ্বশুর) , হয়তো কোনো তথ্য পেয়ে থাকবেন। রাতের খাওয়া সেরে জোনাকি হলের উল্টো দিকের মসজিদটার পাশের রাস্তা দিয়ে (এই রাস্তার পাশেই কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ বেগমদের বাড়ি) জনশূন্য মেস বাড়িটায় ফিরে এলাম। চারিদিকে নিস্তব্ধ, দু একটি কুকুরের ডাক ছাড়া কোনো শব্দ নেই। বিছানায় শুয়ে অলস চিন্তা করি যুদ্ধ একটা হবেই । আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ আর ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নিশ্চয়ই প্রস্তুতি আছে, কিন্তু শুধু রাস্তায় ব্যারিকেড কিংবা পাঁচ- দশটা থ্রি- নট-থ্রি রাইফেল দিয়ে তো কাজ হবে না। রাত বারোটার দিকে গুলির আওয়াজ শুনতে পেলাম। অনেক বছর আগে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা EPR' এ ট্রেনিং নেয়ার সময় রাইফেল - এলএমজি' র গুলি ছুঁড়েছি কিন্তু এত রকমের বিচিত্র শব্দের সঙ্গে পরিচয় নেই। তাহলে কি যুদ্ধের সিনেমায় যেমন কামান রকেট আর ট্যাংকের গোলার শব্দ শুনি, সেই রকম যুদ্ধ হচ্ছে ? আমার মাথায় কিছু এলো না। আমি সেই শব্দ শুনতে শুনতে এক সময় ঘুমিয়ে গেলাম।
খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো। আজ ২৬ শে মার্চ শুক্রবার (?)। দূরে কোথাও ফজরের আজানের ধ্বনি শুনলাম। একটা কুকুর ডাকছিল আর্তস্বরে। দরজা খুলে বাইরে এলাম। তখনো অন্ধকার কাটেনি, রাস্তা জনশূন্য । ঘরে ফিরে হাতমুখ ধুলাম। আরও কিছুক্ষণ বসে থেকে দরজায় তালা দিয়ে হাই সাহেবদের বাড়ির উদ্দেশ্যে পথে বেরুলাম। আমার গায়ে হ্যান্ডলুমের কাপড়ের সাদা পাঞ্জাবি, পরনে লুঙ্গি আর পায়ে স্পঞ্জের স্যান্ডেল। ঢাকায় আপনজন বা আত্নীয় বলতে কেউ নেই, যে টুকু জানাচেনা হাই ভাইদের সাথেই। রাতে ওই বাড়িতে খেয়ে এলাম, এখন একটু খোঁজ নিতে হয়। তাছাড়া রাতে কী ঘটলো, এখনই বা অবস্থা কী, ওই বাড়ি না গেলে জানতেও পারছি না। আমি পলওয়েল মার্কেটের পাশের খালি মাঠের মধ্যে দিয়ে হাই ভাইদের বাড়ি যেতে ডানদিকে পুলিশ হসপিটালের কাছে একটা আর্মি ট্রাক থেকে ব্রাস্ট ফায়ারের শব্দ শুনলাম কিন্তু তখনও বিপদের ভয়াবহতা সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিলনা। বরং পাশের একটা বাড়ির ছাদে একজন লোককে হামাগুড়ি দিয়ে গিয়ে জয়বাংলা আর কালো পতাকা নামাতে দেখে তাকে ভীরু বলে মনে মনে উপহাস করলাম।
হাই ভাইদের বাড়ির দরজায় বেশ কয়েকবার ধাক্কাধাক্কি করার পর ভেতর থেকে আওয়াজ এলো - কে? পরিচয় দিলাম। কাজের মেয়েটি দরজা খুলে দিল। ঘরের দরজায় তিথি কিংবা তুহিনকে (হাই সাহেবের বড় দুই মেয়ে আর ছেলে, অন্য দুটির নাম তমাল আর তানি) দেখলাম। হেনা ভাবী বেরিয়ে এসে আমাকে দেখে অবাক হলেন - এই অবস্থায় আপনি পথে বেরিয়েছেন? সারারাত কী কাণ্ড ঘটলো কিছু টের পেয়েছেন? আমি আসলেই কিছু টের পাইনি কেবল গোলাগুলির শব্দ ছাড়া। আর লড়াইটা যে হয়েছে নিতান্তই একতরফা, সেটাও ছিল ধারণার বাইরে (মুর্খের স্বর্গে বাস বলতে যা বোঝায় !)। ঘরে ঢুকে দেখি হাই সাহেব বিমর্ষ হয়ে বসে আছেন। ভাবীর মুখে শুনলাম বাড়ির ওপর দিয়ে যখন আগুনের গোলার মতো রকেট ছুটছিল (পাশেই রাজারবাগ পুলিশ লাইন) তখন এক পর্যায়ে তিনি বাচ্চাদের নিয়ে খাটের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন, অথচ আমি ঘুমিয়ে রাত পার করলাম! এরমধ্যে সাতটা বাজলো। আমি বললাম রেডিওটা আনেন, খবর শুনি। রেডিওতে একটা দেশাত্মবোধক গানের কিছু আংশ বারবার শোনানো হলো, কিন্ত রাতে এহিয়া খান ঢাকা ছেড়ে গেছেন এছাড়া আর কোনো খবর হলো কিনা মনে নেই। ভাবী বললেন - নাস্তা তৈরি হচ্ছে, খেয়ে আমরা ওই বাড়ি (ভাবীর বাবার বাড়ি, গাজীভিলা) চলে যাবো এখানে থাকা মোটেই নিরাপদ না। আমি ভাবলাম এই ফাঁকে একটু ঘুরে দেখে আসি। রাজারবাগ পুলিশ লাইনের দিকে যেতেই পাশের এক বাড়ির জানালা দিয়ে অচেনা একজন বলে উঠলো - এই মিয়া, কই যান? মইরবেন নাকি? গলির ফাঁক দিয়ে দেখি একটা বড় ট্রাক পুলিশ লাইনের ভেতর থেকে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে বের হচ্ছে, ওপরে সৈনিকের হেলমেট দেখা যায়, পাশেই বড় সাইজের একটা চাঁদ- তারা মার্কা পতাকা। ভয় পেয়ে পিছু হটে এলাম। পথে রাইফেলের গুলির দুটি খোসা পড়ে থাকতে দেখে কুড়িয়ে পকেটে নিলাম। নাস্তায় পরোটা আর ডিমের ওমলেট। ভাবলাম এতেই দিনটা পার হয়ে যাবে। এদের জিনিষপত্র গোছানো হয়েছে। তানির বয়স তখন তিন কিংবা চার। আমি ওকে কোলে নিলাম। সবার হাতেই ব্যাগপত্র । দরজায় তালা লাগিয়ে আমরা পথে বেরুলাম। সবাই গাজী ভবনে উঠলো। আমি রাস্তা পেরিয়ে মেসের পথ ধরেছি। একজন বললো - মার্শাল ল জারি হয়েছে (নাকি কারফিউ ?) তাড়াতাড়ি বাড়ি যান। কখন মিলিটারি নামে ঠিক নাই। আমি মেসে ফিরে রেডিওতে সামরিক আইনের ঘোষণা শুনলাম।
ছবি : প্রথম দুটি গণহত্যার নমুনা আর তৃতীয়টি জয়বাংলার জয়যাত্রা। ছবি সংগৃহীত
http://www.alokrekha.com
অনিন্দ্য এক লেখা । হাসান মীরের ২৫ শে মার্চের স্মৃতি। নিয়ে গেল সেই ভয়াল ৭১-এর ২৫ শে মার্চ-এ ।কত কষ্টের অনুভূতি কত ভয়াবহ সেই দিনগুলি।জীবনের এমন গভীর ভাবনা, প্রতিফলন ও তার অভিব্যক্তির প্রকাশ। অপূর্ব ও শব্দচয়ন ও রচনা শৈলী মিলিয়ে অনবদ্য ও অনিন্দ্য এক লেখা ।খুব ভালো। অনেক ভালোবাসা লেখক।
ReplyDeleteসুন্দর এক লেখা ।আমরা ৭১ এর ২৫ শে মার্চ ও তার তান্ডব ভহাবহ প্রলয় দেখিনি। হাসান মীরের ২৫ শে মার্চের স্মৃতি। লেখার মত অন্যান্যঃ স্মৃতিচারণ পড়ে আমরা জানতে পারি কত কষ্টের কত ভয়াবহ ছিল সেই দিনগুলি।যারা সেই দিনগুলি প্রতক্ষ্য করেছে তাদের উচিত আমাদের প্রজন্মের জন্য এসব লিপিবদ্ধ করা। অনেক অনেক ধন্যবাদ হাসান মীর
ReplyDeleteহাসান মীরের "২৫ শে মার্চের স্মৃতি। " খুব ভাল লাগলো। স্মৃতির মনিকোঠায় গাঁথা আজো সেই দিনটি লেখকের কাছে স্পষ্ট।আমাদের সাথে এই স্মৃতিটুকু ভাগাভাগি করার জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ। আলোকরেখার কাছে বিনীত অনুরোধ এই ধরণের আরো লেখা প্রকাশ জন্য ও আমাদের জ্ঞানের পরিসীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে। অনেক ভালো বাসা লেখক ও আলোকরেখাকে
ReplyDeleteহাসান মীরের "২৫ শে মার্চের স্মৃতি। " খুব ভাল লাগলো। অনেক ভালো বাসা লেখক ও আলোকরেখাকে এই ধরণের লেখা প্রকাশ করার জন্য। শুধু আমার মন একটু দ্বিধাগ্রস্থ যে লেখক হাসান মীর লিখেছেন " আমি বললাম রেডিওটা আনেন, খবর শুনি। রেডিওতে একটা দেশাত্মবোধক গানের কিছু আংশ বারবার শোনানো হলো," ২৬ সে মার্চ অলরেডি ক্র্যাক ডাউন হয়ে গেছে -তখন রেডিও স্টেশন ও পাক সেনাদের দখলে। সেখান থেকে দেশাত্মবোধক গানের কিছু আংশ বারবার শোনানো সম্ভবপর নয়। লেখক যদি একটু পরিষ্কার করে দেন যে সেদিন কি রেডিও স্টেশন আমাদের দখলে ছিল ? তবে বিশেষ উপকৃত হতাম। ভালো থাকবেন।
ReplyDeleteলেখক হাসান মীরের একজন সম্মানিত পাঠক জানতে চেয়েছিলেন তার প্রতি উত্তরে তিনি লিখেছেন "আমি লিখেছি স্মৃতি থেকে, হাতে কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। তবে যতদূর জানি, ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনারা যখন শাহবাগে অবস্থিত বেতার ভবনের কর্তৃত্ব গ্রহণ করে তখন ইনসাফ আলী নামে বেতারের প্রকৌশল বিভাগের একজন অবাঙালি টেকনিক্যাল অপারেটর আপৎকালীন বা ইমার্জেন্সি ডিউটিতে কন্ট্রোল রুমে ছিলেন। সকালে আর কোনো কর্মচারী বা কর্মকর্তা না আসায় তাকে দিয়েই স্টেশন ওপেন করা হয়।সম্ভবত ওই সময় ' পলাশ ঢাকা কোকিল ডাকা আমার এ দেশ ভাইরে ' এই দেশাত্মবোধক গানটির কিছু অংশ বাজানো হয়। ১৯৬৫ সালে ভারত- পাকিস্তান যুদ্ধের পর লেখা গানটি একসময় জনপ্রিয় হয়েছিল। এরপর সকাল সাতটার খবর প্রচারিত হয় করাচি থেকে এবং ঢাকা কেন্দ্র তা রীলে করে। পরে কয়েকজন বাঙালি অফিসারকে তাদের বাড়ি থেকে ধরে এনে কাজ করানো হয়। ওই সময় রেডিওর বাঙালি কর্মকর্তাদের কয়েকজন এখনও জীবিত আছেন, যেমন মি. নূরুন্নবী, কাজী মাহমুদুর রহমান - এরা হয়তো বিস্তারিত জানাতে পারবেন।"
Delete