Imperfect but still lovable….
ঋতু মীর
দেয়ালে টাঙ্গানো রবীন্দ্রনাথের মাটির তৈরি মুখটা অসাবধানে পড়ে মুহূর্তে দুই টুকরা হয়ে যায়। নীরব কষ্টে শূন্য দেয়ালে নির্নিমেষ চেয়ে থাকি। দেয়ালের পেরেক ঠোকা শূন্য গর্তটা একটা দুষ্ট ক্ষতের জ্বালা তৈরি করে।
পছন্দের প্রিয় জিনিষটা এভাবে ভেঙ্গে যাওয়ায় মিঠুর মুখটাও পাংশু দেখায়। কে কাকে কি বলবো বুঝে পাইনা। নির্বাসিত এক দ্বীপের নীরবতায় ঘরটা গুমোট লাগে।
ভাঙ্গা দুই খণ্ড কুড়িয়ে যত্ন করে তুলে রাখি। শান্তিনিকেতনের একটা ছোট্ট দোকানে এই মুখ দেখে মুগ্ধ হয়ে কিনেছিলাম। সেই কবে থেকেই তা আমার ঘরের দেয়ালে। আনমনে, অবসরে, চকিতে চেয়ে দেখা রবীন্দ্রনাথ! তীব্র অবসন্নতায় ঘরের চারপাশে তাকিয়ে থাকি। কত কি যে চোখে পড়ে! ফেলতে পারিনি, অথচ রেখে দেয়ারও কোন যুক্তি নেই । বোনের স্মৃতি জড়ানো মুক্তার ব্রেসলেট! কালো রোগা হাতে ঢলঢলে, অথচ কি অদ্ভুত দ্যুতি ছড়ানো! আমাকে অনেকবার দিতে চেয়েছে, নেইনি-ধুর! মুক্তায় আমাকে মোটেই যায়না, তোমার হাতেই সুন্দর! সেদিন হাতে দিতেই কেমন ধুম করে ছিঁড়ে ঘরময় ছড়িয়ে গেল, এক, দুই করে টুপটাপ-যেন প্রাণের উপর দিয়ে ধসমস করে গড়িয়ে যাওয়া! আর জোড়া হারানো পুরানো ধাঁচের নক্সায় ব্রোঞ্জ টাচে অক্সিডাইস কানের দুলটা! কি সস্তা আর সুন্দর ! সে কি দামাদামি গাউসিয়া মার্কেট ফেরিওয়ালার সাথে। কয়টা লাগবো, নেন না-মাত্র দুইশ টাকা ! আমি মজা লুটে ঝপ করে বলি একশো! সাদরে দিয়ে দেয়। আমার দেশের ফুটপাথ ছাড়া এমন কি আর কোথাও মেলে! অস্ট্রেলিয়া থেকে কেনা সেই হলুদ রঙ ইলেকট্রিক কেটলি ব্যবহারের শুরুতেই অসাবধানে কেমন জ্বলে অকেজো হয়ে যায়। এমন কচকচে সর্ষে হলুদ কেটলি যেন আমার ছাড়া পৃথিবীর আর কারোও ছিলনা। মনে পড়ে, প্রবাসে পাড়ি দেয়ার আগে বাঁধাছাঁদায় সংসারের কি ফেলে যাব আর কি নিয়ে আসবো তাই ভেবে কেমন দিশেহারা সময় গেছে। প্রাণহীন সব জিনিষ অথচ কি প্রাণ জড়ানো! জীবন থেমে যাওয়ার মত কিছু নয় তবুও কি মূল্যবান এই স্মৃতি, এই অনুভূতি-ফেলতে পারিনা, ফেলা যায়না!
ভাঙ্গা দুই খণ্ড কুড়িয়ে যত্ন করে তুলে রাখি। শান্তিনিকেতনের একটা ছোট্ট দোকানে এই মুখ দেখে মুগ্ধ হয়ে কিনেছিলাম। সেই কবে থেকেই তা আমার ঘরের দেয়ালে। আনমনে, অবসরে, চকিতে চেয়ে দেখা রবীন্দ্রনাথ! তীব্র অবসন্নতায় ঘরের চারপাশে তাকিয়ে থাকি। কত কি যে চোখে পড়ে! ফেলতে পারিনি, অথচ রেখে দেয়ারও কোন যুক্তি নেই । বোনের স্মৃতি জড়ানো মুক্তার ব্রেসলেট! কালো রোগা হাতে ঢলঢলে, অথচ কি অদ্ভুত দ্যুতি ছড়ানো! আমাকে অনেকবার দিতে চেয়েছে, নেইনি-ধুর! মুক্তায় আমাকে মোটেই যায়না, তোমার হাতেই সুন্দর! সেদিন হাতে দিতেই কেমন ধুম করে ছিঁড়ে ঘরময় ছড়িয়ে গেল, এক, দুই করে টুপটাপ-যেন প্রাণের উপর দিয়ে ধসমস করে গড়িয়ে যাওয়া! আর জোড়া হারানো পুরানো ধাঁচের নক্সায় ব্রোঞ্জ টাচে অক্সিডাইস কানের দুলটা! কি সস্তা আর সুন্দর ! সে কি দামাদামি গাউসিয়া মার্কেট ফেরিওয়ালার সাথে। কয়টা লাগবো, নেন না-মাত্র দুইশ টাকা ! আমি মজা লুটে ঝপ করে বলি একশো! সাদরে দিয়ে দেয়। আমার দেশের ফুটপাথ ছাড়া এমন কি আর কোথাও মেলে! অস্ট্রেলিয়া থেকে কেনা সেই হলুদ রঙ ইলেকট্রিক কেটলি ব্যবহারের শুরুতেই অসাবধানে কেমন জ্বলে অকেজো হয়ে যায়। এমন কচকচে সর্ষে হলুদ কেটলি যেন আমার ছাড়া পৃথিবীর আর কারোও ছিলনা। মনে পড়ে, প্রবাসে পাড়ি দেয়ার আগে বাঁধাছাঁদায় সংসারের কি ফেলে যাব আর কি নিয়ে আসবো তাই ভেবে কেমন দিশেহারা সময় গেছে। প্রাণহীন সব জিনিষ অথচ কি প্রাণ জড়ানো! জীবন থেমে যাওয়ার মত কিছু নয় তবুও কি মূল্যবান এই স্মৃতি, এই অনুভূতি-ফেলতে পারিনা, ফেলা যায়না!
১
আমি অতিমাত্রায় ঘরমুখী। ঘর আমার নিরাপদ স্বর্গ, আমার নিজস্ব এক জগত। স্বঘোষিত সম্রাজ্ঞীর অর্বাচীন আনন্দে আমি ঘরের এধার ওধার ঘুরি ফিরি। মনের মাধুরীতে তা সাজাই, বদলে ফেলি, পরিবর্তন আনি। একছত্র আধিপত্যের ব্যাখাহীন সুখ নিজের একান্ত সময়কে ক্লান্তিহীন টেনে নিয়ে যায়। আমি একইসাথে কল্পনাপ্রবণ এবং পরম বাস্তববাদী। এই দুইয়ের ভারসাম্যে আমার কোন গোঁজামিল নেই। শুধু ঘরকে কেন্দ্র করে আমার কল্পনার ঘোড়াটা মাঝে মাঝেই বল্গাহীন ছোটে । অনেক উঁচুতে আকাশের ঠিকানায় থাকা নয়, মাটির কাছাকাছি ছোট্ট কোন বাসস্থান। কোলাহল থেকে অনেক দূরে নির্বাসিত কোন দ্বীপ নয় মোটেই , শুধু ইচ্ছামত নীরব নির্জনতায় হাঁপ ছাড়ার একটু অবকাশ। ইচ্ছে হলেই যাওয়া যায় এমন একচিলতে উঠান, কৃষ্ণচূড়া অথবা জারুল গাছ, শাখায় ঝুলন্ত দোলনা। মসৃণ, পেলব, ধোঁয়া, মোছা আর পায়ে পায়ে এদিক ওদিক নির্বিঘ্নে হাটার মত বাধাহীন প্রশস্ত মেঝে, ছাই সাদায় মেশা সমুদ্র ভাসা পাথর রঙ দেয়াল। দেয়ালে হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষের ছবি, আনিন্দ্য সুন্দর ভাস্কর্য, শৈল্পিক কোন পেইন্টিং কিংবা মিষ্টি শব্দে সময় জানান দেয়া পুরনো মডেলের পেন্ডুলাম ঘড়ি। দক্ষিণ ভারতীয় কারুকাজে নজর কাড়া ছোট্ট টেবিলে স্মৃতি জড়ানো শৌখিন জিনিষ, উত্তরাধিকার, পরম্পরায় পাওয়া দুর্লভ সব তৈজসপত্র। গাড় মেহগনি রঙ আসবাবে লুকানো আভিজাত্য, আয়েশি আরাম, উষ্ণ আতিথেয়তা, আপ্যায়নে মুখোমুখি, কাছাকাছি বসে গল্প করার মত এক ছিমছাম গৃহকোণ, ধবধবে সাদা বিছানায় অতিথির যাত্রার ক্লান্তি হরণের মত স্বস্তি - এটাই কল্পনা! এটুকুই স্বপ্ন ! আমার কল্পনার মন আকাশ ছোঁয়, বাস্তববোধ তার লাগাম টেনে ধরে। কল্পনার কিছু বাস্তবের সাথে মিলে যায়, কিছুটা মেলেনা। যতটুকু যেভাবে মেলে সেগুলোই শরীর মন ছুঁয়ে থাকে, পরম যত্নে তাই আগলে রাখি দিনের পর দিন।
২
আমার পছন্দ ভাললাগা এক অদ্ভুত নিয়ম ধরে চলে। যে কোন কিছু হুটহাট কেনা বা পছন্দ করা আমার ধাতে নেই । সবচেয়ে ঝামেলা হয় উপহার নির্বাচন এবং কেনায়। সামর্থ্য এবং পছন্দের ‘থটফুলনেস’ উপহারটি খুঁজে পাওয়া এবং কেনা সাধ্যের নাগালে থাকেনা প্রায়শই। আমার পছন্দের একমাত্র রঙ সাদা। আমার শিক্ষার্থী বলে সাদায় রঙ কোথায়? এই শিশু প্রশ্নে আমি চমৎকৃত হই, উত্তর দেইনা। শখে শাড়ী পরা মানেই সাদা জমিনে চিকন পাড় মায়ের শাড়ি, ব্লাউজটাও যেন সাদাতেই ভাল। বিয়ের পর এই নিয়ে কত কথা হয়েছে! কালো মেয়ে সাদা পরলে আরও কালো দেখায়না কি! মায়ের পছন্দও ছিল সাদাতেই। খালা, ফুপুদের কাছে গল্প শুনতাম-দুপুরে গোসল সেরে রঙিন পাড় সাদা শাড়ির পরিপাটি মা নাকি আমাদের আর কোলে নিতে চাইতোনা। সফেদ সাদা বিছানায় সাদা শাড়ীর মাকে জড়িয়ে ধরে এসব প্রশ্নে উৎপাত করতে কতই না আনন্দ ছিল! এখন কিছু কিনতে গেলে শরীর মন দুইই বিগড়ে যায়। যা যেমন খুঁজি তা পাইনা, যা পাই তা ছুঁয়েও দেখতে ইচ্ছা করেনা। আবার যা কেনার সামর্থ্য নেই তা চোখে দেখার বিষয়টাও প্রশ্রয় দেইনা। অনেক সময় বিক্রেতা বিক্রি করতে না পারার ক্ষোভে বলে ফেলে- সাদা চাইলেন তাইতো দেখালাম! আমি অনাগ্রহ আর বরাবরের মত পছন্দ
করতে না পারার বিষণ্ণতায় তাকিয়ে থাকি- সাদা কোথায়! এতো প্রায় চোখে না পড়া একরত্তি সাদা, জমিনে রঙচঙে নক্সা, আঁচলের টেক্সচারে চোখ ধাঁধানো আলগা চকচকে ভাব, আর বেখাপ্পা
চওড়া ঝলমলে জরির পাড়টা অজগরের মত শাড়ীটার মেঘ শুভ্রতাকে কেমন গিলে খেয়েছে! এই শাড়ীতে নেই কাশফুল, নেই আজিমপুরের বাসার ভেতরের উঠানে গাছ ঝাঁপানো সেই গন্ধরাজ সাদা, নেই বাইরের বাগানে সারি ধরে ফুটে থাকা মাতাল গন্ধ লিলি বা কামিনী সাদা। খুঁতখুঁতে মনটাকে প্রবোধ দেই- নেই! কোথাও মেলেনা, ফিরে পাওয়া যায়না সাদা শাড়ীর মা, মায়ের বিকল্প সেই মায়াবতী বোন, আজিমপুর গলির পলেস্তারা খসা পুরনো দোতলা বাড়ি, উত্তর দক্ষিণের বিশাল চওড়া বারান্দা, নিম পাতার ভেজা সোঁদা গন্ধ, ছাঁদের রেলিঙ ছুঁয়ে বগেনভেলিয়া, জানালায় আদরে লেপটে থাকা স্বর্ণচাঁপা অথবা আত্মার নিগুরতম অভিব্যক্তি, আনন্দ, বেদনায় মিশে থাকা দেয়ালের সেই রবীন্দ্রনাথ!
৩
পাঠ শুরুর আগে ব্রেইন স্টরমিং করি- Imperfect but still lovable…। এমন কিছু যা এখন ঠিক আগের মত নেই, কিন্তু এখনও আছে, ফেলতে পারোনি এবং এখনও ভালোবাসো। যথার্থ উদাহরণে শিখন
সবসময়েই অর্থবোধক এবং স্থায়ী হয়।
কবিগুরুর ভাঙ্গা মূর্তি মুখের ছবি দেখাই , ব্যাখা করি। অপাপবিদ্ধ মুখ কৌতূহলে ঝুঁকে পড়ে, দেখে। আড়চোখে লেসন প্ল্যানটা দেখে নেই। বাহ! লার্নিং ‘এক্সপেকটেশন’ এবং ‘আউটকাম’ এক সমান্তরালেই চলেছে! শুনছে, বলছে, ঝুকে পরে লিখছে অথবা আঁকছে । হাত ভাঙ্গা পুতুল, চাকা বিহিন গাড়ি, চলতে না পারা রোবট, ছিঁড়ে যাওয়া বই কোনটাই ফেলতে পারেনি । অজানা মমতায় বাসার কোথাও ফেলে রেখেছে, ভুলেও গেছে হয়তো।
সহজ থেকে জটিল, মূর্ত থেকে বিমূর্তের ধারনায় পৌঁছে দিতে থাকি একতাল কাঁদার মত মনগুলোকে। টিচিং এর সেই বেদবাক্য স্মরন করি- learning must be differentiated to be effective! আমার জহুরী চোখ ঘুরপাক খায় ক্লাসময়- অনেকগুলো মুখ,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে বা একসাথে। শেখার ধরণ বা স্টাইলে, জ্ঞানের লেভেল বা ধাপের ভিন্নতায়, গ্রহণ ক্ষমতায়, আগ্রহের মাত্রায় কেউ কারও মত নয়, সবাই সতন্ত্র এক সত্ত্বা।
কেউ বলায় অপারগ তাই লিখছে, লিখতে পারছেনা শুনছে, অথবা বলা, শোনা, লেখা কোনটাই করছেনা বা পারছেনা, শুধু আঁকছে। বিস্ময়ে আলোকিত আমার চোখ, সার্থক পাঠদানের তৃপ্তিতে মনটা ভরপুর। মনে মনে আবারও বলি- learning must be
differentiated... । এবার র্যাপ-আপ, উপসংহার পর্ব। গভীর ক্লান্তি আর কষ্টের এক নিঃশ্বাস গলার কাছে আটকে থাকে-এমন অনেক কিছু ! ফেলতে পারিনা! ফেলা যায়না! কিছু সম্পর্কের মতো-গোপন বা প্রকাশ্য, পূরানো বা নতুন, বিছিন্ন, যোগাযোগহীন, নিরুত্তাপ এবং আছোঁয়া। জীবনের নিস্তরঙ্গ নদীতে যা হটাত ঢেউ তোলে, স্মৃতির দুরন্ত ছায়া ফেলে, কষ্ট দেয়, ভাবায়, কাঁদায়- তবু থাকে, আছে, মনের গভীরে, নিঃশব্দে। প্রচণ্ড এক অন্যমনস্কতায় লেসন রিপিট করি- শোনো ! লিখো ! মন থেকে একটা ছবিও আঁকতে পারো এবার-Something imperfect but still
lovable...!
http://www.alokrekha.com
দারুন অনবদ্য লেখা বরাবরের মতই! অপূর্ব ভাব ! অনন্য উপমা! শব্দের মুক্তা মালা!আবাহন মনের কথা যা আমারা ভাবি প্রায়শ কিন্তু বলার বা লেখার ক্ষমতা নেই ! আমাদের বহু প্রিয় কিছু আছে যা সম্পূর্ণ নয় তবুও ভাল লাগার ভালবাসার। এই কথাটা দারুণভাবে লেখক….
ReplyDeleteঋতু মীর তার Imperfect but still lovable লেখায় অংকিত করেছেন ,
অনেক সুন্দর লেখা ! শুভেচ্ছা রইল!
দারুণভাবে লেখক ঋতু মীর তার Imperfect but still lovable লেখায় কলমের তুলি দিয়ে এঁকেছেন আমাদের মনের কথা। এই লেখাটা মার কথা মনে করিয়ে দিল। আজ মা নেই কিন্তু তাঁর স্মৃতিতে সে উজ্জ্বল। মা পুরোনো ভাঙা জিনিস আঁকড়ে রাখতেন , আমরা বলতাম কেন এই ধরে রাখা তার উত্তর ছিল স্মৃতিঘেরা ,মার প্রতিটি ভাঙ্গা ,বিক্ষত ত্রুটিপূর্ণ প্রতিটি জিনিস ছিল মূল্যবান স্মৃতিময়। ঋতু মীরের লেখাটা আমাকে সেই পুরোনো দিনে নিয়ে গেল। অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক সুন্দর লেখা ! শুভেচ্ছা রইল!
ReplyDeleteলেখক ঋতু মীর তার Imperfect but still lovable অনেক সুন্দর লেখা ! মনের কথাগুলো শব্দ মালয় গ্রথিত হতে এক অনন্য মাত্রা দান করেছে।দারুণভাবে অনুরঞ্জিত হয়েছে "প্রাণহীন সব জিনিষ অথচ কি প্রাণ জড়ানো! জীবন থেমে যাওয়ার মত কিছু নয় তবুও কি মূল্যবান এই স্মৃতি, এই অনুভূতি-ফেলতে পারিনা, ফেলা যায়না!"-এমন কথা অনুভূতিতে বসবাস অহর্নিশি। কিন্তু লেখকের মত বলা হয়ে ওঠে না। ঘুমানোর আগে কোন ভাল লেখা আমাদের বিশেষ আলোচনার বিষয়বস্তু সাধিত হয়। আজকের এই Imperfect but still lovable লেখাটা অনবদ্য ও আমাদের আজকের আলোচিত। লেখকের লেখার গুনাগুন ছাড়া তাঁর লেখার বিষয়বস্তু অত্যান্ত হৃহয়গ্রাহী। অনেক ভাল লেখা যা আলোচনা ও পড়ার সুযোগ দেবার জন্য ধন্যবাদ। আলোকরেখাকে বিশেষ ধন্যবাদ এমন গুণী একজন লেখকের সাথে পরিচিত করিয়ে দেবার জন্য। শুভেচ্ছা রইল!
ReplyDeleteFor those who didn't know.
ReplyDeletePoet Rabindranath's Noble Prize Gold Medal was stolen from a Kolkata Museum by a Baul Singer named Pradip Bouri in 2004.