মৃত্যুর বিমূর্ত রূপ
মেহরাব রহমান
এক অদ্ভুত সন্ধ্যায় হাঁটু অবধি
বিষাক্ত জল ভেঙে চলেছি
ক্রমশঃ নিভে আসা বৈকালিক আলো থেকে
ভয়ার্ত অন্ধকারের দিকে
অন্তহীন এই চলা
একটু দূরে
ইঞ্জিনের জাহাজ
মানবহীন পালাচ্ছে কোথায় ?
আজ ভোরে ঘুম ভাঙে
এরকম দুঃস্বপ্নে I
তবেকি মৃত্যুর এটাই বিমূর্ত রূপ ?
আমি মৃত্যুদিন গুনছি ক্যালেন্ডারে
শুক্র,শনি, রবি,..............আবার সেই শনি
কোথাও যাবোনা আর
সব পচে গেছে
হিংসায়, অতলান্ত ঈর্ষায়, ঘৃনায় মত্ত পৃথ্বী
এমনকি ঘুনপোকা বন্ধুত্বে, ভালোবাসায় l
মেকি পৃথিবীর
গনজনতার কাছে আর যাবোনা l
নষ্ট, ভন্ড ;
সব পচে গেছে
আমি কোথাও যাবোনা আর l
ঘর থেকে ঘরে
এরপর অন্য ঘরে.....................
অজানা কোন পারাপারে?http://www.alokrekha.com
বিনষ্ট পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য। মৃত্যুর বিমূর্ত রূপ ডাক দেয় হৃদয়ের অতলান্তিকে।মেহরাব রহমানের "মৃত্যুর বিমূর্ত রূপ" কবিতার সেই ডাক প্রতিফলিত হয়েছে । অপূর্ব লেখা।
ReplyDeleteমেহরাব রহমানের "মৃত্যুর বিমূর্ত রূপ" কবিতার বিষয়বস্তু অনবদ্য। এই নষ্ট হয়ে যাওয়া পচে যাওয়া "হিংসায়, অতলান্ত ঈর্ষায়, ঘৃনায় মত্ত পৃথ্বী এমনকি ঘুনপোকা বন্ধুত্বে, ভালোবাসায় "lমেকি পৃথিবীর দিনমানের থেকে মৃত্যুর অপরূপ রূপ কবি ফুটিয়ে তুলেছেন।
ReplyDeleteকবি মেহরাব রহমানের লেখা কবিতা আমাদের ভাবতে বাধ্য করে জীবনের নানাদিক ,সে প্রেমের হোক -অনুর ভেতর পরমাণু না দুঃস্বপ্নের লেখা হোক না কেন। তার প্রতি কবিতা আমাদের বারবার প্রাণে বিবেকে আঘাত করে। মেহরাব রহমানের "মৃত্যুর বিমূর্ত রূপ" কবিতা উত্কৃষ্ট চমৎকার জীবন বোধের প্রকাশ।অপূর্ব বিষয় বস্তু,ভাষাভাব ও শব্দচয়ন ও রচনা শৈলী মিলিয়ে অনবদ্য ও অনিন্দ্য এক কবিতা।
ReplyDeleteমৃত্যুর বিমূর্ত রূপ
ReplyDeleteমেহরাব রহমান
মৃত্যু বোধের চমৎকার প্রকাশ।অপূর্ব বিষয় বস্তু,ভাষাভাব ও শব্দচয়ন ও রচনা শৈলী মিলিয়ে অনবদ্য ও অনিন্দ্য এক কবিতা।
কবিকে জানাই হাজার অভিনন্দন আর
প্রানঢালা শুভেচ্ছা ,আলোকরেখাকে ধন্যবাদ
মৃত্যুর বিমূর্ত রূপ
ReplyDeleteমেহরাব রহমান
কবিতাটা পড়ে খুব ভাল লাগলো। দারুন কবিতা ও তার অভিব্যক্তি।
উত্কৃষ্ট চমৎকার,
অপূর্ব বিষয় বস্তু, অনিন্দ্য এক কবিতা।”
অপূর্ব শব্দশৈলী
অপরূপ-বহুবর্ণ ও ভাষার প্রকাশ।
”কবিকে অনেক অভনন্দন আর শুভেচ্ছা ”
আমি কোথাও যাবোনা আর l
ReplyDeleteঘর থেকে ঘরে
এরপর অন্য ঘরে.....................
অজানা কোন পারাপারে? অসাধারণ অভিব্যাক্তি! খুব কষ্টের এই সত্য- মৃত্যু!!মহান সেই ঘুম! হিংসায়, অতলান্ত ঈর্ষায়-ঘুণপোকা বন্ধুত্বে, ভালবাসায় ! কোথাও যাবনা আর...!! ভিতরের অভিমান আহত এই উচ্চারণ মিলে যায় মনের কথায়। বিষণ্ণ হয়ে ওঠে মন । মৃত্যু !! বিমূর্তই থাকনা! ধন্যবাদ !! কবি মেহরাব রহমান!
মৃত্যুর বিমূর্ত রূপ
ReplyDeleteমেহরাব রহমান
ঘর থেকে ঘরে
এরপর অন্য ঘরে...........
অজানা কোন পারাপারে?
কি গভীর ভাব।
বহুবার কবিতাটা পড়ালাম।
কবি যেন আমাদের হৃদয়ের কথাই বলছেন। ..........
চমত্কার প্রকাশ।
কবিকে অনেক অভিনন্দন আর সাধুবাদ ”
আলোকরেখাকে অনেক ধন্যবাদ
মেহরাব রহমানের "মৃত্যুর বিমূর্ত রূপ" কবিতা উত্কৃষ্ট চমৎকার জীবন বোধের প্রকাশ। গনজনতার কাছে আর যাবোনা l
ReplyDeleteনষ্ট , ভন্ড ;
সব পচে গেছে
আমি কোথাও যাবোনা আর l
ঘর থেকে ঘরে
এরপর অন্য ঘরে.....................অজানা কোন পারাপারে? দারুন কবিতা ও অভিব্যক্তি। উত্কৃষ্ট চমৎকার জীবন বোধের প্রকাশ।অপূর্ব বিষয় বস্তু,ভাষাভাব ও শব্দচয়ন ও রচনা শৈলী মিলিয়ে অনবদ্য ও অনিন্দ্য এক কবিতা।
মৃত্যুর বিমূর্ত রূপ
ReplyDeleteমেহরাব রহমান
মৃত্যু আমাদের নিত্যক্ষনের সঙ্গী।
কবি দারুন ভাবে তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন ।
উত্কৃষ্ট চমৎকার জীবন আর মৃত্যু বোধের প্রকাশ।
অপূর্ব বিষয় বস্তু,ভাষাভাব ও শব্দচয়ন ও রচনা শৈলী মিলিয়ে অনবদ্য।
কবিকে অনেক শুভেচ্ছা ।
কবি মেহরাব রহমানের "মৃত্যুর বিমূর্ত রূপ"
ReplyDelete"সব পচে গেছে
আমি কোথাও যাবোনা আর l
ঘর থেকে ঘরে
এরপর অন্য ঘরে.....................
অজানা কোন পারাপারে?"
অনবদ্য শব্দ চয়ন,অনিন্দ্য সুন্দর শৈল্পিক বুনন হৃদয় আন্দোলিত করে ।
" মৃত্যুর বিমূর্ত রূপ" এমন এক কবিতা যা সবাইকে ভাবিয়ে তোলে ।
মৃত্যু বিষয়টি কবি তার লেখনীতে ফুটিয়ে তুলেছেন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা কবিকে
ও আলোকরেখারকে অনেক ধন্যবাদ এমন একজন গুণী কবির
সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য
আলোকরেখায় তো আমরা জীবনের জয়গান গাইছিলাম ! হঠাৎ করে মৃত্যুকে নিয়ে উঠে পড়ে লাগলেন কেন সেটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না ! আর পাঠকদের মন্তব্য এতো একঘেঁয়ে আর গতানুগতিক! সেইসাথে মন্তবব্যের ভেতর কবিতার অংশ জুড়ে দিয়ে মন্তব্যকে অহেতুক বড় করা ! আলোকরেখা তার নান্দনিকতা হারাতে বসেছে বলে আশংকা হচ্ছে !
ReplyDeleteকিছু মানুষ থাকে নেতিবাচক। তারা সব কিছুতেই মন্দ দেখে। মৃত্য জীবনের অংশ তাই মৃত্যুর কথা আসতেই পারে। তাছাড়া কবি মেহরাব রহমানের "মৃত্যুর বিমূর্ত রূপ" দারুন মার্গের কবিতা। আর মন্তব্যের ব্যাপারে যিনি লিখেছেন (নামহীন ) আর সাথে আমি সহমত পোষণ করিনা। আলোকরেখা আমাদের সবার প্রিয়। এখানে আমরা জ্ঞানের ও প্রজ্ঞার অন্বেষণ করি। ভালো লাগলে প্রশংসা করি মন্দ লাগলেও বলি। আমার মনে হয় মন্তব্য ব্যক্তিগত ব্যাপার যার যেমন খুশি মন্তব্য করবে ,এখানে কার ভালো লাগলো কি না আসে যায় না। আর তাতে আলোকরেখার গুনগত মান বা তার নান্দনিকতা নষ্ট হওয়ার প্রশ্ন কিভাবে উঠে ?
Deleteচমৎকার রচনাশৈলী ও স্বতন্ত্র ভাব ও ভাষা প্রয়োগে চমৎকার একটা কবিতা ।কাব্যিক ছন্দোবদ্ধ দারুন কবিতা। অনেক শুভেচ্ছা কবি। আপনি ভালো থাকুন আরো লিখুন !
ReplyDeleteআমি ঈশ্বরের করণিক
ReplyDeleteতিনি দেন আমি লিখি
যে গুরু দায়িত্ব তিনি দেন তা প্রকাশ করতে
আমার ভেতর খুব রক্তক্ষরণ হয়
এক ধরণের প্রসব বেদনা বলা যায়
শব্দের, ছন্দের নানা কৌশল অবলম্বন
করতে হয়
প্রকাশ করতে পারলে
আমি আনন্দে আত্মহারা
আমি কৃতজ্ঞ তাঁর কাছে
আর আমার এই ভাবনা যখন
আমার পাঠক উপলব্ধি করে
প্রশংসা করেন তখন আমি অবনত
তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ হই
আমি সকল সুমন্তব্যকারি পাঠকদের কাছে
আমার অন্তহীন কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি
মন্তব্য এবং গঠনমূলক সমালোচনা এই দুইয়ের পার্থক্যটা বিশাল। কোন একটা লেখা বা কবিতা পড়ার পর পাঠকের মন্তব্য আসে তাঁর তাৎক্ষনিক আবেগ, ভালোলাগা, উচ্ছ্বাস আর উপভোগের আনন্দ থেকে। সেই মন্তব্য সুচিন্তিত না হলেও একজন লেখক/কবি/সৃজনশীল মানুষের কাছে তার মুল্য অপরিসীম । পাঠকের স্বতঃস্ফূর্ত মন্ত্যব্য বা প্রশংসা সাময়িক হলেও একজন লেখককে/কবিকে নিঃসন্দেহে সৃষ্টিশীলতায় এগিয়ে নিতে পারে বহুদূর। ব্যাক্তিক আক্রমণ বর্জিত ইতিবাচক সু-মন্তব্য সেটা যে বিষয়েই হোক তা পাওয়া মানুষের স্বাভাবিক প্রত্যাশা। গঠনমুলক সমালোচনার বিষয়টা এক্ষেত্রে হয়তো একটু ভিন্ন। সুচিন্তিত গঠনমূলক সমালোচনা লেখককে উপকৃতই করে এবং সম্পূর্ণ ব্যাপারটা হয়তো এভাবেই নান্দনিক হয়ে ওঠে। শেষে- পাঠে আমার অনাবিল আনন্দ! আর লেখালেখির মত সৃষ্টির আনন্দে এই ক্ষুদ্র জীবন উদ্বেলিত প্রায়শ। পাঠকের মন্তব্য সেই ক্ষুদ্রতায় অনায়াস এক বিশাল প্রাপ্তি, এক পূর্ণতা! ধন্যবাদ আলোকরেখা! সুপ্রিয় পাঠক!‘আমারে তুমি অশেষ করেছো …!’
ReplyDelete