আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও পাহাড় চূড়ায় ................সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    পাহাড় চূড়ায় ................সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়




     পাহাড় চূড়ায়
    ................সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    অনেকদিন থেকেই আমার একটা পাহাড় কেনার শখ।
    ... কিন্তু পাহাড় কে বিক্রি করে তা জানি না।
    ... যদি তার দেখা পেতাম,
    দামের জন্য আটকাতো না।
    আমার নিজস্ব একটা নদী আছে,
    সেটা দিয়ে দিতাম পাহাড়টার বদলে।
    কে না জানে, পাহাড়ের চেয়ে নদীর দামই বেশী।
    পাহাড় স্থানু, নদী বহমান।
    তবু আমি নদীর বদলে পাহাড়টাই
    কিনতাম।
    কারণ, আমি ঠকতে চাই।

    নদীটাও অবশ্য কিনেছিলামি একটা দ্বীপের বদলে।
    ছেলেবেলায় আমার বেশ ছোট্টোখাট্টো,
    ছিমছাম একটা দ্বীপ ছিল।
    সেখানে অসংখ্য প্রজাপতি।
    শৈশবে দ্বীপটি ছিল আমার বড় প্রিয়।
    আমার যৌবনে দ্বীপটি আমার
    কাছে মাপে ছোট লাগলো। প্রবহমান ছিপছিপে তন্বী নদীটি বেশ পছন্দ হল আমার।
    বন্ধুরা বললো, ঐটুকু
    একটা দ্বীপের বিনিময়ে এতবড়
    একটা নদী পেয়েছিস?
    খুব জিতেছিস তো মাইরি!
    তখন জয়ের আনন্দে আমি বিহ্বল হতাম।
    তখন সত্যিই আমি ভালবাসতাম নদীটিকে।
    নদী আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর দিত।
    যেমন, বলো তো, আজ
    সন্ধেবেলা বৃষ্টি হবে কিনা?
    সে বলতো, আজ এখানে দক্ষিণ গরম হাওয়া।
    শুধু একটি ছোট্ট দ্বীপে বৃষ্টি,
    সে কী প্রবল বৃষ্টি, যেন একটা উৎসব!
    আমি সেই দ্বীপে আর যেতে পারি না,
    সে জানতো! সবাই জানে।
    শৈশবে আর ফেরা যায় না।

    এখন আমি একটা পাহাড় কিনতে চাই।
    সেই পাহাড়ের পায়ের
    কাছে থাকবে গহন অরণ্য, আমি সেই অরণ্য পার হয়ে যাব, তারপর শুধু রুক্ষ
    কঠিন পাহাড়।
    একেবারে চূড়ায়, মাথার
    খুব কাছে আকাশ, নিচে বিপুলা পৃথিবী,
    চরাচরে তীব্র নির্জনতা।
    আমার কন্ঠস্বর সেখানে কেউ
    শুনতে পাবে না।
    আমি শুধু দশ দিককে উদ্দেশ্য করে বলবো,
    প্রত্যেক মানুষই অহঙ্কারী, এখানে আমি একা-
    এখানে আমার কোন অহঙ্কার নেই।
    এখানে জয়ী হবার বদলে ক্ষমা চাইতে ভালো লাগে।
    হে দশ দিক, আমি কোন দোষ করিনি।
    আমাকে ক্ষমা করো।

     http://www.alokrekha.com

    0 comments:

    Post a Comment

    অনেক অনেক ধন্যবাদ