প্রিয়
সুরঞ্জনা,
ইতি,
আমি
তোমাকে এই চিঠিটা পাঠালাম
তোমার চিঠি পড়ার পর। আমি আশা করছি তুমি এটা ভালো করে পড়বে। যদি ভালো লাগে, যদি আবারো কাঁদো, যদি একজন নারী হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে,একজন মানবী হিসেবে আমার আঁকা সুরঞ্জনা তোমার হৃদয়ে আল্তো করে ছোয়া দিয়ে তোমার ধমনীতে এই কথাটা গুঞ্জরিত
করে দেয় যে "সত্যম শিবম সুন্দরম!" তাহলে মনে করে নিও তোমার ওই চিঠিটা একবার
নতুন করে লেখা দরকার!
সুরঞ্জনা!
একটা কথা বলি শোন! তুমি কি জানো যে
তুমি ভালো না থাকলে আকাশের
মেঘগুলো থেমে থাকে, বাতাসটা অস্থির হয়! ফুলেরা হাসতে গিয়ে থম্কে দাঁড়ায়! আর জোনাকিরা মুখ
লুকিয়ে ঘাপটি মেরে বসে থাকে! বলে, ওই মেয়েটার হাসি
আগে চাই! তা-না হলে
বাজবেনা বাঁশী - আজ আমাদের ধর্মঘট!
ধর্মতলা
আর কালীঘাটের যত মাস্তান প্রেমিক
সভায় ডেকেছি আজ সন্ধ্যাবেলাযা ! ঘোষণা দেয়া
হবে, দাবী জানানো হবে প্রতি মহল্লায়, পোস্টার লাগানো হবে, দেয়া হবে স্লোগানঃ ভালোবাসার দাম কমিয়ে ভালোবাসার বেপারীদের পথে বসানো চলবে না! চলবে না! যদি কেউ চিতায় শান্তি খোঁজে নির্বাসনে পাঠানো হবে চিতার জন্যে জমানো যত কাঠ-খড়ি
! উচ্চারিত মন্ত্রকে করে দেয়া হবে গতিহীন - ঝড়ের কাছে পাঠানো হবে বার্তা - ঘটে যাবে প্রলয় কান্ড!
ইতি,
- সুনিকেত
চৌধুরী।
http://www.alokrekha.com
এই চিঠিতে কোন ভাষার আড়ম্ভর নেই। নেই শব্দের খেলা। সাবলীল প্রাণের কথা। অথচ দারুন বলিষ্ঠ এক চিঠি সুরঞ্জনাকে। সুরঞ্জনার জন্য লেখকের যে দরদ ও অনুপ্রেরণা তা প্রতীয়মান। অনেক সুন্দর চিঠিখানা। খুব ভালো লাগলো এই উৎসাহপূর্ন চিঠি পড়ে। অনেক শুভেচ্ছা।
ReplyDelete