আজ আরার তুমি এলে আমার বারান্দায়। তপ্ত দুটি দেহ মন এই খরতাপে।প্রতিবার তুমি আসো প্রাণে দখিনা বাতাস লাগে প্রাণে।রবি
ঠাকুর এ জনমের প্রেম দেখেছিল জন্ম জন্মান্তরে।তাই বুঝি তাঁর লেখায় সব লেখা
আছে-সকল কিছু আছে দায়ের করা নথিভুক্ত।"একটুকু
ছোঁওয়া লাগে,একটুকু
কথা শুনি যে টুকু কাছেতে আসে ক্ষণিকের ফাঁকে
ফাঁকে-চকিত মনের কোণে স্বপনের ছবি আঁকে- যেটুকু যায় যে দূরে ভাবনা কাঁপায় সুরে,তাই নিয়ে যায়
বেলা নূপুরের তাল গুনি”।
তবু আজও ভাবি কেন তুমি আসো?কেন অস্থির
করে তোলো আমার স্থির স্থবির জীবন?কেন সব
এলোমেলো করে দাও তোমার প্রেমের দোলায় ?এ-কি তোমার নিষ্ঠুর লীলা খেলা ? তারচেয়ে বেশ
থাকি,তোমায় ছেড়ে - না ভুল বললাম তোমায় না দেখে। তুমি তো আমার ছায়া আমি তোমার কেয়া।
তুমি আছো তাই আমি আছি। তোমায় ভেবে মাঝে মাঝে একাকীত্বে ডুবে থাকতে ভালো-ই
লাগে।তার মানে তোমার থেকে দূরে থাকতে নয় ! কেন
মনে থাকে না সেই সচেতন শপথ ?
তুমি আবার আজ বললে "অন্যের জন্য আমরা সভয় ভয় থাকব ? মন যদি উড়ে
যেতে চায় ! যাক না ! মন কবে সোজা পথে চলেছে ?
মনের কি ভয় নিখিলের ? আকাশে
তারারা-মেঘের ঘনঘটা- আধার কুয়াশা সাথী হয়-হোক না ! পথের ঠিকানা ছাড়িয়ে সীমানা
পেরিয়ে মনের আলোয় চিনে নেব পথ আমরা দুজন মিলে।
নইলে কেমনে সইবো এই একাকী রাত অসহায় হাল স্থিতি -এই না পাওয়ার জ্বালা তোমার আমার দুজনের।আরো! আরো! অনেক কিছু বলার আছে ! তবে কেন বলছি না চিৎকার করে ! এভাবে কত আর নীরব থাকবো ? সহ্য করবো দুজনে ? চল ! সমাজের সব নিয়ম নিষিদ্ধ করি ভেঙে ফেলি দুজনার মাঝে শক্ত দেয়াল। কেন নিজেরা জ্বলবো তুষের আগুনে প্রতিনিয়ত ? এই পৃবিথীকে জানিয়ে দি। হ্যা ! আমরা ভালোবাসি ! এখনও ! ভালোবাসি আমরা ! সেই দিন ! সেই রাত ! সেই মধুর মিলন সেই বাসর রাত । ধ্রুব তারার মত সত্য এখনও! আমাদের প্রেম উপাখ্যান ! এক পরম্পরা ! দূরদূরান্তে এই প্রেমের গল্প লোকের মুখে গুঞ্জনে।আমি এর জন্য অবশ্য তোমার চোখ দায়ী ! সেখানে আমার প্রতিচ্ছবি!তোমার মনের কথা ওই চোখ- দুটোতেই ঝলকে বেরিয়ে আসে তা অন্য কারো চোখ এড়ানো দায়। তোমার নিঃশ্বাসে আমার প্রশ্বাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে ! জগৎময় ! তোমার ছোঁয়া- তোমার হৃদয়-স্পন্দন তোমার বাহু বন্ধন বসন্তের সবটুকু রঙ !
নইলে কেমনে সইবো এই একাকী রাত অসহায় হাল স্থিতি -এই না পাওয়ার জ্বালা তোমার আমার দুজনের।আরো! আরো! অনেক কিছু বলার আছে ! তবে কেন বলছি না চিৎকার করে ! এভাবে কত আর নীরব থাকবো ? সহ্য করবো দুজনে ? চল ! সমাজের সব নিয়ম নিষিদ্ধ করি ভেঙে ফেলি দুজনার মাঝে শক্ত দেয়াল। কেন নিজেরা জ্বলবো তুষের আগুনে প্রতিনিয়ত ? এই পৃবিথীকে জানিয়ে দি। হ্যা ! আমরা ভালোবাসি ! এখনও ! ভালোবাসি আমরা ! সেই দিন ! সেই রাত ! সেই মধুর মিলন সেই বাসর রাত । ধ্রুব তারার মত সত্য এখনও! আমাদের প্রেম উপাখ্যান ! এক পরম্পরা ! দূরদূরান্তে এই প্রেমের গল্প লোকের মুখে গুঞ্জনে।আমি এর জন্য অবশ্য তোমার চোখ দায়ী ! সেখানে আমার প্রতিচ্ছবি!তোমার মনের কথা ওই চোখ- দুটোতেই ঝলকে বেরিয়ে আসে তা অন্য কারো চোখ এড়ানো দায়। তোমার নিঃশ্বাসে আমার প্রশ্বাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে ! জগৎময় ! তোমার ছোঁয়া- তোমার হৃদয়-স্পন্দন তোমার বাহু বন্ধন বসন্তের সবটুকু রঙ !
লজ্জায় অধর কাঁপে চোখ বুঝে আসে
তোমার অপলক তাকিয়ে দেখা। তুমি প্রায় বোলো " তুমি কাছে থাকে পৃথিবী বদলে যায়।
তোমার কথা গাজালের ভাষা ! তোমার স্বর ঠুমরির সুর ! তোমার চোখ যেন ঝিলের অবগাহন !
তোমার হাসি চাঁদের জোৎস্না ! তারকরাশি তোমার কাকনের মনি-মুক্তো !বাতাসে ফুলের সৌরভ
তোমার গায়ের গন্ধ !বৃষ্টির রিমঝিম ছন্দ তোমার চুড়ির খনখন! আকাশ যেন তোমার আঁচল।
বৃষ্টির টিপ্ টিপ্ শব্দ যেন কানে কানে কিছু বলছো । আমি বৃষ্টিকে শুধাই - সত্যি করে
বোলো কি কথা সে বলেছে আজ ? মেঘ বৃষ্টি
উত্তর দেয় - সে খেপা নাচে ময়ূরের সাথে
অঝোর ধারায় - তুমি কাছে এলে ”। । "
শুধু তুমি
নয় গো ! আমিও চাই তোমায় -আমায় যেমন করে চাও তুমি। তুমি আমায় সম্পূর্ণ করেছো !
করেছো পরিণত ! আত্মার সাথী! এক দেহ! এক মন ! তুমি কাযা আমি তার ছায়া !
কিন্তু
তুমি কি বোঝো না। আমি চলে যাওয়ার পর আমি থাকি একটা পরিত্যক্ত। কি অসহ্য দোহন
জ্বালা তোমার প্রেমে সিক্ত শীতল বিছানা। তুমি কি জানো না "প্রতি অঙ্গ কাঁদে
তব প্রতি অঙ্গ তরে ? আমার নয়ন পানে তোমার নয়ন ধায়
-তৃষিত অধর মরিতে চায় তোমার অধরে প্রাণের মিলনে- দেহের মিলন -পরিতৃপ্ত আচ্ছন্ন দেহ মুরছে পড়ে দেহের পরে। সর্বাঙ্গ
ঢালিয়া আকুল অন্তরে দেহের রহস্য নিয়ে লিখি প্রতিবার অমর প্রেমের কবিতা তোমার দেহের সায়রে। কি ভীষণ
দর্শন হৃদয় লুকানো আছে তাইতো মগন আমার এ দেহমন চির রাত্রিদিন বিলীন চিরদিন-পূর্ণতার তীরে বসি কাঁদি -!হৃদয়ের ভরে পরান আজি
কাঁদিছে।
তোর আমার এই যে প্রেম-নিয়তির বিধান !তুমি আছো
তাই আমি আছি !তুমি নেই আমি নেই কোথাও।ওগো আমাকে এত ভালোবাসার জন ! তোমার মাঝেই
আমার অস্তিত্ব!আমার মাঝে তোমার ! হে ঈশ্বর! তুমিই বোলো এখন আমরা দুজনে কেমনে থাকি
বিচ্ছিন্ন খণ্ডিত থাকি।
ওগো বন্ধু,
তুমি কি শুনতে চাও পাও না ? জাগে
না অন্তরীক্ষে হৃদয়স্পন্দন চক্রে পিষ্ট আধারের বক্ষ-ফাটা তারার ক্রন্দন। সেই
ধাবমান কাল ফেলে তার জাল জড়িয়ে নিল দ্রুতরথে
দু’সাহসী প্রেমের পথে। অজস্র মৃত্যুরে পেরিয়ে এলাম আজ এই প্রেমের শিখর চুড়ায়। রথের চঞ্চল বেগ হাওয়ায়
উড়ায় আমাদের নাম । দূর থেকে দেখে বোঝা যাবে না সে প্রেম-জ্যোতি, নামহারা
স্বপ্নে মুরতি। সে তো স্বপ্ন নয়। সে আমাদের প্রেম। সবচেয়ে সত্য সে মৃত্যুঞ্জয় ! তাই
আরমা রেখে যাবো অপরিবর্তন অর্ঘ্য তাদের উদ্দেশ্যে। পরিবর্তনের স্রোতে যদিবা যাই
ভেসে কালের যাত্রায়।
হে বন্ধু
ভয় নেই তোমার – কোনদিন আমি বলব না
“হে বন্ধু বিদায়”। আমি আছি থাকব চির’টা কাল জন্ম থেকে জন্মান্তর। কোনদিন যদি কর্মহীন অবকাশে বসন্ত বাতাসে যে রাত্রে ঝরা
বকুলের গন্ধে মাতবে আকাশ যেন সে আমার
নিঃশ্বাস । অতীতের তীর হতে যদি কান্নায়
ভরে বুক- সেইক্ষণে খুজে দেখো,
আমি আছি তোমার প্রাণের প্রানে,
বিস্মৃতি প্রাদোষে।
হে প্রিও
আমাদের হয় নি কোন ক্ষতি। মর্তের
মৃত্তিকা দিয়ে প্রেমের যে অমৃতমুরতি সৃষ্টি
করেছি তার আরতি হবে রোজ সন্ধ্যা বেলা । তৃষার্ত আবেগবেগে সে পূজার ব্যাঘাত হবে না প্রত্যহে
অন্যের ম্লান স্পর্শ লেগে-কোন ভন-রসে হবে
না ভ্রষ্ট্র তার কোন ফুল নৈবদ্যের থালে । সে যে আমাদের প্রানের ধন, যা আমাদের
প্রেমের পুন্যে ভিজে। আমাদের স্মৃতিটুকু
দিয়ে স্বপ্নবিষ্ট তোমার বচন। ভার তার না রহিবে, না রহিবে দায়। আমার লাগি করিয় না শোক- আমার রয়েছে কর্ম
রয়েছে বিশ্বলোক। মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই শুন্যেরে করিব পূর্ণো, এই ব্রত বহিব
সদাই। উ’কন্ঠ আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে সে ধন্য করিবে আমাকে। “
শুক্লপখক হতে আনি রজনী গন্ধার
বৃন্তখানি যে পারে সাজাতে অর্ঘ্যথালা কৃষ্ণপক্ষ রাতে সে আমারে দেখিবারে পায় অসীম
ক্ষমায় ভালমন্দ মিলায়ে সকলি, এবার
পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি। “তোমারে যা দিয়েছিনু তার পেয়েছ নিশেষ অধিকার। হেথা
মোর তিলে তিলে দান,করূন
মুহূর্তগুলি গন্ডুষ ভরিয়া করে পান হৃদয়-অঞ্জলি হতে মম, ওগো নিরূপম হে
ঐশ্বর্যবান তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারই দান, গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়”।
সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com
Sanjida Rumi its wonderful to see the woman in you so blessed with evergreen youth. You remain the women I met over 30 years ago and failed to change being who you are. Bless you and your heart which has the passion and admiration for Bangla being so far away from your soil. Keep up the work that you are doing. Love you always.
ReplyDelete