আমার কিছু
লেখার ছিল যেই না আমি কলম ধরলাম সেই লেখাগুলো তলিয়ে গেল! মাথার ভেতর অনেকগুলো শব্দ
একসাথে কখনো দলা পাকানো বা কখনো বিছিন্ন। বাক্য গঠন করতে গেলেই ওগুলো আরও এলোমেলো
হয়। সঠিক শব্দগুলো হারিয়ে যায় সময়ে শব্দ তলায়। কিছুই আর হয় না লেখা। মস্তিস্কের
আগল খুলে চেনা পথের বাইরে বেরুই তবু কি ছাই লিখতে পাই? এখন এই উন্নত
প্রযুক্তির যুগে সব কিছু এক মূহুর্তে সাগর পেরোয়। এখন যন্ত্রগুলো এপার থেকে আমার
লেখা সবার পারে পৌছিয়ে দেয়। তবু আমার কিছুই হয় না লেখা। শব্দ খেলায় কেবল ফাঁকি-
কথার পিঠে কথা সাজাই আমি কেবল লিখতে থাকি। ক্লান্ত কলম আমার শব্দে কথায়
ভারাক্রান্ত।
কত রকম লেখা-কথা বলা-বলতে বলতে লিখতে বসে পৌছে গেছি এ কোন প্রান্ত। বুকে অনেক কথা ছিলো কেমন করে কথা দিয়ে সেই আঙুল বুলাই বলতে হলে নতুন কথা চেনা পথের বাইরে চলো অন্ধকারে যায়না দেখা তবু তুমি হাতড়ে চলো । খোলো মন রে আমার কিছু কথা ছিলো আমার কিছু কথা ছিলো আমার কিছু কথা ছিলো এ বুঝতে হলে কথার মানে মন কেমন করে লিখব? তাহলে আমার কথা কে বুঝবে বলো?
কত রকম লেখা-কথা বলা-বলতে বলতে লিখতে বসে পৌছে গেছি এ কোন প্রান্ত। বুকে অনেক কথা ছিলো কেমন করে কথা দিয়ে সেই আঙুল বুলাই বলতে হলে নতুন কথা চেনা পথের বাইরে চলো অন্ধকারে যায়না দেখা তবু তুমি হাতড়ে চলো । খোলো মন রে আমার কিছু কথা ছিলো আমার কিছু কথা ছিলো আমার কিছু কথা ছিলো এ বুঝতে হলে কথার মানে মন কেমন করে লিখব? তাহলে আমার কথা কে বুঝবে বলো?
মিছে চেষ্টায়
লিখে যাই।জানি,সে লেখাগুলো কি শুধু দলা পাকানো শব্দের
বিন্যাস। তাই দিয়েই একখানা “কবিতা”র বই প্রকাশ করলাম। নিয়ম জানি না ছন্দ নেই জানা
দাঁড়ি কমা স্তবক কিছুই জানি না।সংসার সমুদ্র নিয়ে এক খানা কবিতার বই । এই কবিতায়
আমি কেবল আমার জীবন যুদ্ধের কথা লিখছি।যে মেয়েটি অতি অল্প বয়সেই সংসার সমুদ্রে
ঝাঁপ দিয়েছিল। নীল সাগরের অতল তল থেকে মনি মুক্তো তুলে আনতে সুদীর্ঘ দু'যুগ পার করেছে। মায়েটি হাঙ্গর আর অক্টোপাসের সাথে জলের
জমিনে খেলেছে মরণ-যুদ্ধ খেলা -নিঃসঙ্কোচ ভয় দ্বিধাহীন চিত্তে শুধু কুড়িয়েই এনেছে ।
সবাই তা দুহাত ভরে নিয়েছে। গড়েছে কত শত অলঙ্কার! কখনও এক কড়িও দাম পাইনি বা কেউ
ভাবে নি কোথা থেকে এলো এ মানিক রতন? আধিকারভুক্ত পসারী-
স্বার্থপরের মত! মেয়েটি উজাড় করে সবটুকু ঢেলে দিয়েছে।একটিও রত্ন জমা রাখেনি নিজের
জন্য।
আজ সে নিঃস্ব!
সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। রুদ্ধ করেছে দ্বার এই বলে – “সাগরের অতলে কত বিসাক্ত
প্রাণী ওকে দংশন করেছে। ওর প্রতিটি নিঃশ্বাসে রক্ত কণায় কণায় বিষ দূর থাক”। মেয়েটি
এতসব বোঝেনা।নিস্পলক চোখে তাকিয়ে থাকে
ভাবে-এত্তোসব তো ওদের জন্যই করা ,ঘেন্নায় মন। তবুও মেয়েটি জানে- সংসারের প্রয়োজনে ও আবার
ঝাঁপ দেবে মনি-মুক্তোর খোঁজে--কারণ মেয়েটি যে সংসার নামের অথৈ সাগরের ডুবুরী।
সংসারের মহা সমুদ্রে সাঁতার কাটা, ডুবে যাওয়া আবার ভেসে
ওঠার কথাই ছিল অই বইটায়। এমন কোন কবিতার গুন ছিল না সে বইয়ে। না জানা ছিল দাঁড়ি
কমা যতি চিহ্ন না নিয়ন ছন্দ বদ্ধ শব্দ। তবুও কেন শেরে বাঙলা স্বর্ণ পদক-এ ভূষিত
হল। জানলাম না তবুও নিজেকে বেশ কবি কবি ভাবতে শুরু করলাম। প্রায় ফেসবুকে লেখালেখি
শুরু করে দি।বন্ধুরা ভালবেসে প্রশংসা বরষায়,বেশ ভালই
লাগে।তাই আবার আর এক কবিতা লেখা শুরু করলাম। কেবল সেই শব্দ খেলায় কেবল ফাঁকি- কথার
পিঠে কথা সাজাই কিছুই হয় না। গদ্য লেখা শুরু করলাম তাও যেন শুস্ক মাটি ।মূর্তি
গরতে চাই এঁটেল মাটি ,সে আমার কই?
তাই আবার সত্য
জীবনের কাহিনী লিখলাম দুই খণ্ডে। জীবনের সাথে এসেছে যুদ্ধ বিগ্রহ ধর্মের অধর্ম
হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা দেশ ভাগ বাস্তুভিটা হীন পৃথিবীর ইতিহারে সর্ব বৃহৎ
উদবাস্তু। ১৯১৭ সালের বই মেলা । আমার এই বই দুটো প্রকাশের স্বপ্নে বিভর।না হোক
লেখনি গুন- লোকে জানবে জীবনের কথা ।বুঝবে ধর্মের অধর্ম –“অনিমেখা”
ছোট্ট একটা লেখা কিন্তু কি দুর্দান্ত শক্তিময়। আমরা অনেক সময় অথবা কথা বলতে চাই অথবা লিখতে যাই ,শব্দ হারিয়ে ফেলি। এই কথাগুলো কি সুন্দর অভিব্যক্তি ও অনবদ্যভাবে ধারণ করেছেন তার লেখায় ,সানজিদা রুমিকে অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
ReplyDeleteলেখক যা লেখে তা হয়তো সে পুরোপুরি বোঝে না কিন্তু তার পাঠক সেটা বোঝে. জীবনের মাঝবিকেলে দাঁড়িয়ে অনেক অভিমানী কথা বলা হলো আপনার কিন্তু আপনি যে সংসার সমুদ্রে সবার কত প্রিয় সেটা বুঝেও বুঝলেন না. সত্যিকারের পৃথিবীতে একজন নারীর মধ্যে বাস করেন একাধারে একজন জননী, প্রেমিকা, আর এক ভীষণ বিপ্লবী- যার ভূষণের ভাষা যেমনি প্রসাধনের, তেমনি শুভসাধনেরও. লেখক হুমায়ুন আজাদ বলতেন নারীরা হৃদয়ে রোমান্টিক, মস্তিষ্কে মেধাবী; তারা অগ্নি ও অশ্রু র সমন্বয়. আপনিও তাই. তাই বলবো লিখে যান, যা মনে আসে আপনার. নিয়ম আর ফর্মুলায় না ফেলে মনের কথা লিখে যান, নিশ্চই সেটা পাঠকের মন ছুঁয়ে যাবে. অনেক ভালোবাসায়.
ReplyDelete