স্বাধীনতার
কড়চা
মেহরাব
রহমান
শোন
ছেলেরা শোন মেয়েরা
বাংলাদেশের
ইতিহাস
শেখ
মুজিবের স্বপ্ন চাষ।
জানতে
হবে, ইতিহাসের সোনার খাতায়
সোনার
রঙে লিখতে হবে
সোনার
দেশের মানচিত্রের স্রষ্টা কে?
এই
তো এবার সময় এল, শুভ সময়
জানতে
হবে মুজিবকে?
এই
ছেলেরা এই মেয়েরা
জান
কি তোমরা মার্চ কী?
তোমরা
জান ৭ কী ?
৭ইমার্চ
স্বাধীনতার অপর নাম
বঙ্গসেনার
মহানায়ক
শেখ
মুজিব
লক্ষ
তারার শ্রেষ্ঠ তারা
শেখ
মুজিব
৭ই
মার্চ ইতিহাসের মোড় ঘুরল
বজ্রনিনাদ
কন্ঠে তাঁর ঝড় উঠল
সংগ্রাম,
সংগ্রাম, “এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের
সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
হঠাৎ
এল দৈত্য দানো
রব
উঠল হানো হানো
ধরো,
ধরো, মারো মারো
বাঙালি
সব খতম করো।
এরা
কারা? এরা কে?
জংলি
সেনা হানাদার
পাকবাহিনী
দখলদার।
এদের
দখল বনের পাখি
এদের
দখল মাঠের ধান
এদের
দখল মুক্তি গান
এদের
দখল মায়ের কোল
এদের
দখল বাংলা বোল।
দৈত্যরাজের
গুপ্তচর
ইয়াহিয়া
খাঁর অনুচর
ঝোপ
বুঝে সব মারল কোপ
গর্জে
উঠল হাজার তোপ।
একাত্তরের
২৬শে মার্চ
ভয়ংকর
২৬শে মার্চ
রক্তনদীর
বাংলাদেশ
সর্বনাশের
নাই যে শেষ।
দৈত্যরাজের
বন্দিশালায়
নাপাম
বোমার অগ্নি জ্বালায়
শেখ
মুজিবের বুক পুড়ে
প্রাণের
দেশ কত যে দূরে?
সেনাপতির
মুক্তি ডাক
বজ্রকণ্ঠে
তুমুল হাঁক
আকাশ
ফুঁড়ে
হৃদয়
ছিঁড়ে
ছড়িয়ে
পড়ে সবার মাঝে
মুক্তিসেনা
ঝাঁপিয়ে পড়ে রণসাজে।
পাকিস্তানি
সৈন্যদল গেরিলাদের মার খায়
ভয়
পেয়ে সব পালিয়ে যায়।
সেদিন
ছিল ষোলো
ডিসেম্বরের
ষোলো।
বিজয়টাকে
ছিনিয়ে নিল মুক্তিসেনার দল
চারিদিকে
জয়জয়কার উঠল কোলাহল
সেই
আমাদের বিজয় দিন
রক্তে
রঙে ফুল রঙিন।
শত্রু
খাঁচায় রাখে আটকে
কার
সাধ্য মুজিবকে?
একদিন
এক স্বর্ণ ভোরে
সোনার
ছেলে ফিরল ঘরে।
মহাখুশি
দেশের লোক
জয়
জয় জয়বাংলা উঠল শ্লোক।
ফিরে
পেল বন্ধু পিতা মুজিবকে।
লাল
সুবজের পতাকাটার স্রষ্টাকে
গড়েছিল
সে দেশটাকে
হায়নার
দল ঘিরে ছিল মুজিবকে।
হঠাৎ
কখন সর্বনাশা মেঘ ডাকল
মধ্যিরাতে
ঘুম ভাঙল।
মুজিব
বাগানে ঘুমিয়ে যখন
বাংলা
সুরের স্বপ্নে মগন
জুঁই
চামেলি গোলাপ ছিল সবখানে
বন্য
ষাঁড়, খুনির দল ঢুকে পড়ল
সেইখানে
রক্তে
জোয়ার বান ডোবাল
মুজিব
গাছের ফুলগুলো।
তখন
ছিল ’৭৫-এর আগস্ট
মাস
সেদিন
ছিল ১৫ তারিখ, বাঙালির
সর্বনাশ।
দিকে
দিকে রব উঠল হায়!
হায়!
ইতিহাসের
পাতা থেকে
মুজিব
কি আর মোছা যায়?
ঐ
আকাশে চোখ তুলে চাও―শেখ মুজিব
নদ-নদী আর সাগরজলে―শেখ মুজিব
মানচিত্রের
বর্ণিল রং―শেখ মুজিব
পতাকার
লাল সূর্য―শেখ মুজিব।
শোন
ছেলেরা
শোন
মেয়েরা
চারদিকে
সেই একই ধ্বনি
সোনার
দেশ বাংলাদেশ
মুজিব
নামের নেইকো শেষ, নেইকো শেষ।
মুজিব
মানে বাংলাদেশ
মুজিব
মানে বাংলাদেশ
মুজিব
মানেই বাংলাদেশ।
http://www.alokrekha.com
"স্বাধীনতার কড়চা"য় কবি মেহরাব রহমান ছড়ার আদলে জাতির পিতার যে ইতিহাস তুলে ধরেছেন তা সত্যি প্রশংসনীয়। আমাদের নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস তুলে ধারা আমাদেরই দায়িত্ব। কিবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।
ReplyDeleteনির্দ্বিধা মন্তব্যের জন্য অন্তহীন কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা
Delete"স্বাধীনতার কড়চা" ছড়া কবিতার কবি মেহরাব রহমান দেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে তুলে ধরেছেন তা অনবদ্য। শেখ মুজিবের স্বপ্ন চাষ।
ReplyDeleteজানতে হবে, ইতিহাসের সোনার খাতায়
সোনার রঙে লিখতে হবে
সোনার দেশের মানচিত্রের স্রষ্টা কে? এই পংতিগুলোর মাঝেই আমাদের দেশের স্রষ্টার পরিচয় দিয়েছেন তা অনবদ্য।
অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানবেন
Delete"স্বাধীনতার কড়চা" ছড়ায় কবি মেহরাব রহমান দেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কিভাবে দেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে সমগ্র দেশবাসীকে একত্রিত করেছিলেন তা অংকিত করেছেন। এমন গভীর ভাবনা, প্রতিফলন ও তার অভিব্যক্তির প্রকাশ।যেমন বিষয় বস্তু, তেমনি চমৎকার ভাষাভাব অপূর্ব ও শব্দচয়ন ও রচনা শৈলী মিলিয়ে অনবদ্য ও অনিন্দ্য। বড্ডো ভালো। অনেক ভালোবাসা কবি।
ReplyDeleteআপনার জন্য অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো
Delete"স্বাধীনতার কড়চা" ছড়ায় কবি মেহরাব রহমান দেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে নিয়ে যে ছবি চিত্রিত করছে তা অনন্য। বিষয় বস্তু, তেমনি চমৎকার ভাষাভাব অপূর্ব ও শব্দচয়ন ও রচনা শৈলী মিলিয়ে অনবদ্য ও অনিন্দ্য। বড্ডো ভালো। অনেক ভালোবাসা কবি ও আলোকরেখাকে ধন্যবাদ ।
ReplyDeleteআপনার সুমন্তব্যর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
Deleteস্বাধীনতার কড়চা" ছড়ায় কবি মেহরাব রহমান দেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দেশের জন্য তাঁর অবদান বিস্তারিত অংকন করেছেন তা অনন্য। বিষয় বস্তু, তেমনি চমৎকার ভাষাভাব অপূর্ব ও শব্দচয়ন ও রচনা শৈলী মিলিয়ে অনবদ্য ও অনিন্দ্য।
ReplyDelete"স্বাধীনতার কড়চা" ছড়ায় কবি মেহরাব রহমান দেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দেশের জন্য তাঁর অবদানের বিস্তারিত পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে তুলে ধরেছেন তা নিজ গুনে এক ইতিহাস রচিত হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রস্তাব করি এই ছড়াটি পাঠ্য সূচিতে রাখা হলে আমাদের শিশুদের আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাবমূর্তি সুস্পষ্ট হবে। তাছাড়া এই ছড়ার বিষয় বস্তু, ভাষাভাব অপূর্ব ও শব্দচয়ন ও রচনা শৈলী মিলিয়ে অনবদ্য ও অনিন্দ্য। খুব ভালো। অনেক ভালোবাসা কবি
ReplyDeleteসুপ্রিয় পাবলো
Deleteআপনার মন্তব্যে আমি খুব উৎসাহিত বোধ করছি; কৃতজ্ঞতা l
আমিও পাঠ্য করার পক্ষেই
কিন্তু আমি প্রবাসে থাকি কী ভাবে সম্ভব
আমার জানা নাই আপনারা কেউ উদ্যোগ হয়তো সম্ভব l
যাই এরকম আপনার ইতিবাচক ভাবনার জন্য ধন্যবাদ l