বরেণ্য
সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক
মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোর
৪টায় আফতাব নগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তার ছেলে সামির আহমেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর।
আহমেদ
ইমতিয়াজ বুলবুল (১ জানুয়ারি ১৯৫৬
- ২২ জানুয়ারি ২০১৯) বাংলাদেশের একজন সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব যিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন। ১৯৭০-এর দশকের শেষ
লগ্ন থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সঙ্গীত শিল্পে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে
তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
সঙ্গীতে
অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কার-সহ অন্যান্য অসংখ্য
পুরস্কারে ভূষিত হন।
ইমতিয়াজ
বুলবুল ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায়
জন্মগ্রহণ করেন। তার
পিতার নাম ওয়াফিজ আহমেদ ও মাতার নাম
ইফাদ আরা নাজিমুন নেসা। ঢাকার আজিমপুরের ওয়েস্টটেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন এবং শিক্ষাজীবনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন
ইমতিয়াজ
বুলবুল ছাত্রজীবনে মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত অবস্থায় মাত্র ১৫ বছর বয়সে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন।[৩][২] এসময়
তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ২ নাম্বার সেক্টরে
মেজর আবু তাহের মোহাম্মদ হায়দারের অধীনে যুদ্ধ করেন।[৩] ১৯৭১ সালের
২৫শে মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অপারেশন সার্চলাইটের পর বুলবুল ও
তার বন্ধুরা মিলে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনতাই করে ছোট একটি মুক্তিযোদ্ধা দল গঠন করেন
যাদের ঘাঁটি ছিল ঢাকার জিঞ্জিরায়।[২] জুলাইয়ে বুলবুল
ও তার বন্ধু সরোয়ার মিলে নিউ মার্কেটের ১ নাম্বার প্রবেশমুখের
কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লরিতে গ্রেনেড হামলা করেন।[১] অগস্টে ভারতের
আগরতলায় কিছুদিন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ঢাকায় ফিরে ‘ওয়াই (ইয়াং) প্লাটুন’ নামে একটি গেরিলা দল গঠন করেন।
অক্টোবরে
পুনরায় ভারত যাওয়ার সময় বুলবুলসহ চারজন কুমিল্লা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাঝামাঝি তন্তর চেকপোস্টে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে আটক হন।[৩] আটক হওয়ার
পর প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে ও পরে এ
অঞ্চলের শান্তি কমিটির প্রধান কার্যালয়ে নির্যাতনের শিকার হন।[১] পরবর্তীতে বয়সে
ছোট হওয়ায় তিনি মুক্তি পান কিন্তু ঢাকায় তার নিজ বাসা থেকে পুনরায় গ্রেফতার হন ও জাতীয়
সংসদের মানিক মিয়া এভিনিউ'র এমপি হোস্টেলে
নির্যাতনের শিকার হন।[৩] সেখান থেকে
তাকে রমনা থানায় স্থানান্তর করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ
বিজয়ী হওয়ার পর মুক্তিবাহিনী রমনা
থানা থেকে আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন।[৩] পরবর্তীতে তাকে
পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসা প্রদান করা হয়।[৩]
যুদ্ধাপরাধের
সাক্ষী
২০১২
সালের আগস্টে ইমতিয়াজ বুলবুল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে
অপরাধের অভিযোগে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করেন।[৪][২] পরবর্তীতে
২০১৩ সালের ৯ মার্চ রাতে
ঢাকার কুড়িল উড়ালসেতুর পাশ থেকে পুলিশ বুলবুলের ছোট ভাই আহমেদ মিরাজের লাশ উদ্ধার করে।[১] তার ভাইয়ের
মৃত্যুর পর তিনি সরকারের
কাছে তার নিরাপত্তা বৃদ্ধির আবেদন করেন এবং এটাও উল্লেখ করেন যে সাক্ষ্য দেওয়ার
পর তিনি বেশ কিছু হত্যার হুমকি পেয়েছেন।[৪]
সঙ্গীত
জীবন
আহমেদ
ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৬ সাল থেকে সাল থেকে নিয়মিত গান করেন।[৫] ১৯৭৮ সালে
মেঘ বিজলি বাদল ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন।[৬] ১৯৮৪ সালে
বেলাল আহমেদের পরিচালিত নয়নের আলো চলচ্চিত্রের গীত রচনা ও সঙ্গীত পরিচালনা
করেন তিনি। সেই চলচ্চিত্রের তার লেখা ‘আমার সারাদেহ খেয়োগো মাটি’,
‘আমার বাবার মুখে’,
‘আমার বুকের মধ্যেখানে’,
‘আমি তোমার দুটি চোখের দুটি তারা হয়ে’ গানগুলো জনপ্রিয়তা পায়।
তিনি
স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। তিনি সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আব্দুল হাদি, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, জেমস, খান আসিফুর রহমান আগুন, কনক চাঁপা-সহ বাংলাদেশী প্রায়
সকল জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন।[৬] বুলবুল সঙ্গীত
প্রতিভা অন্বেষণে বাংলাদেশের রিয়েলিটি অনুষ্ঠান ক্লোজআপ ওয়ানের তিন মৌসুমে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সুরারোপিত
চলচ্চিত্র
আহমেদ
ইমতিয়াজ বুলবুল তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।[৯] নিচে বুলবুলের
সঙ্গীত পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য কিছু চলচ্চিত্রের নাম দেয়া হলোঃ
নয়নের
আলো
মরনের
পরে
সহযাত্রী
মায়ের
অধিকার
চাওয়া
থেকে পাওয়া
বিয়ের
ফুল
তেজি
চন্দন
দ্বীপের রাজকন্যা
সৎ
ভাই
দায়ী
কে
দাঙ্গা
আম্মাজান
আব্বাজান
মুক্তি
চাই
প্রেমের
তাজমহল
প্রেমের
জ্বালা
অন্ধ
প্রেম
বর্তমান
মিনিস্টার
ইতিহাস
জ্যোতি
মায়ের
সম্মান
অন্যায়ের
প্রতিবাদ
অশান্ত
আগুন
কষ্ট
রাঙ্গা
বউ
প্রাণের
চেয়ে প্রিয়
পরেনা
চোখের পলক
তোমাকে
চাই
লুটতরাজ
অবুঝ
হৃদয়
মহৎ
তুমি
বড় ভাগ্যবতী
হিংসা
যন্ত্রণা
লাভ
স্টোরি
ভয়
ভুলনা
আমায়
জ্বলন্ত
বিস্ফোরণ
তাণ্ডব
লীলা
সমাজ
কে বদলে দাও
জবর
দখল
ধর
ফায়ার
আজ
গায়ে হলুদ
লাভ
ইন থাইল্যান্ড
লোভ
লালসা
অন্ধকার
কাল
নাগিনীর প্রেম
দেশ
প্রেমিক (বিখ্যাত সুরকার আজাদ রহমানের সাথে যৌথ)
জখম
আন্দোলন
ছেলে
কার
বাঘিনী
কন্যা
ক্রিমিনাল
বন্ধন
মন
মানে না
মন
ক্রোধ
লুটপাট
নারীর
মন
সিপাহি
পাগলি
দুনিয়া
জীবন
ধারা
ক্ষত
বিক্ষত
বলনা
ভালবাসি
সাথি
তুমি কার
সতিপুত্র
আবদুল্লাহ
আমার
জান
হুলিয়া
প্রেম
কেন কাঁদায়
অনেক
দিনের আশা
নিষিদ্ধ
নারী
ফুল
নেব না অশ্রু নেব
আনন্দ
অশ্রু
অন্ধ
ভালবাসা
অবুঝ
দুটি মন
শাসন
মহড়া
সাক্ষী-প্রমাণ
লক্ষ্মীর
সংসার
মা
যখন বিচারক
তুমি
আমারি
আত্ম-অহংকার
আমার
অন্তরে তুমি
বিক্ষোভ
পানজা
সুখের
ঘরে দুঃখের আগুন
কিলার
কাটা
রাইফেল
সাবধান
মহা
মিলন
কাজের
মেয়ে
ধাওয়া
দুই
নয়নের আলো
বিদ্রোহ
চারিদিকে
বিদ্রোহী
সন্তান
আমার
স্বপ্ন তুমি
ভালোবাসি
তোমাকে
মাতৃভূমি
নরক
বাঁধা
না
বলোনা
জন্মশত্রু
জন্ম
ভালবাসার
শত্রু
কপাল
ভালোবাসা
ভালোবাসা
কাবিননামা
কঠিন
প্রেম
এরই
নাম ভালোবাসা
ছোট
বোন
মা
আমার স্বর্গ
মা
আমার বেহেশত
অবুঝ
শিশু
সন্তান
আমার অহংকার
মিয়া
বাড়ির চাকর
অঙ্ক
গুরুভাই
মাটির
ঠিকানা
আমার
পৃথিবী তুমি (যৌথ)
রাজা
সূর্য খাঁ (যৌথ)
সুরারোপিত
গান
অসংখ্য
গানে সুর করেছেন বুলবুল যার অধিকাংশ গানই তাঁর নিজের রচিত। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গান হলোঃ
গান শিল্পী গানের
ধরন/genre এ্যালবাম/ছবির নাম
সব
কটা জানালা খুলে দাও না সাবিনা
ইয়াসমিন দেশাত্মবোধক ও
মাঝি নাও ছাইড়া দে
ও
মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি
পাল উড়াইয়া দে সাবিনা ইয়াসমিন দেশাত্মবোধক ও
মাঝি নাও ছাইড়া দে
সেই
রেল লাইনের ধারে সাবিনা
ইয়াসমিন দেশাত্মবোধক ও
মাঝি নাও ছাইড়া দে
সুন্দর
সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য সাবিনা
ইয়াসমিন দেশাত্মবোধক ও
মাঝি নাও ছাইড়া দে
ও
আমার আট কোটি ফুল
দেখ গো মালি সাবিনা ইয়াসমিন দেশাত্মবোধক ও
মাঝি নাও ছাইড়া দে
মাগো
আর তোমাকে ঘুম পাড়ানি মাসি হতে দেব না সাবিনা
ইয়াসমিন দেশাত্মবোধক ও
মাঝি নাও ছাইড়া দে
একতারা
লাগেনা আমার দোতারাও লাগে না সাবিনা
ইয়াসমিন দেশাত্মবোধক ও
মাঝি নাও ছাইড়া দে
আমার
সারাদেহ খেয়ো গো মাটি এন্ড্রু কিশোর চলচ্চিত্র নয়নের
আলো
আমার
বুকের মধ্যেখানে এন্ড্রু
কিশোর ও সামিনা চৌধুরী চলচ্চিত্র নয়নের
আলো
আমার
বাবার মুখে প্রথম যেদিন এন্ড্রু
কিশোর চলচ্চিত্র নয়নের
আলো
আমি
তোমারি প্রেমও ভিখারি সৈয়দ
আবদুল হাদী চলচ্চিত্র চন্দন
দ্বীপের রাজকন্যা
ও
আমার মন কান্দে, ও
আমার প্রাণ কান্দে সাবিনা
ইয়াসমিন চলচ্চিত্র চন্দন
দ্বীপের রাজকন্যা
আইলো
দারুণ ফাগুনরে রুনা
লায়লা চলচ্চিত্র চন্দন
দ্বীপের রাজকন্যা
আমার
একদিকে পৃথিবী একদিকে ভালোবাসা এন্ড্রু
কিশোর ও রুনা লায়লা চলচ্চিত্র আত্ম-অহংকার
আমি
তোমার দুটি চোখে দুটি তারা হয়ে থাকবো সামিনা
চৌধুরী চলচ্চিত্র নয়নের
আলো
আমার
গরুর গাড়িতে বৌ সাজিয়ে এন্ড্রু কিশোর ও সামিনা চৌধুরী চলচ্চিত্র আঁখি
মিলন
পৃথিবীর
যত সুখ আমি তোমারই ছোঁয়াতে যেন পেয়েছি এন্ড্রু
কিশোর ও সাবিনা ইয়াসমিন চলচ্চিত্র সহযাত্রী
তোমায়
দেখলে মনে হয়, হাজার বছর আগেও বুঝি ছিল পরিচয় এন্ড্রু
কিশোর চলচ্চিত্র বিয়ের
ফুল
ঐ
চাঁদ মুখে যেন লাগে না গ্রহণ এন্ড্রু কিশোর চলচ্চিত্র বিয়ের
ফুল
কত
মানুষ ভবের বাজারে কনক
চাঁপা চলচ্চিত্র লাভস্টোরি
তুই
ছাড়া কে আছে আমার
জগৎ সংসারে *** চলচ্চিত্র মায়ের
অধিকার
বাজারে
যাচাই করে দেখিনি তো দাম কনক চাঁপা চলচ্চিত্র তোমাকে
চাই
আম্মাজান
আম্মাজান আইয়ুব
বাচ্চু চলচ্চিত্র আম্মাজান
স্বামী
আর স্ত্রী বানায় যে জন মিস্ত্রি আইয়ুব
বাচ্চু চলচ্চিত্র আম্মাজান
আমার
জানের জান আমার আব্বাজান বিপ্লব চলচ্চিত্র আব্বাজান
ঈশ্বর
আল্লাহ বিধাতা জানে মনির
খান ও কনক চাঁপা চলচ্চিত্র আব্বাজান
এই
বুকে বইছে যমুনা মনির
খান চলচ্চিত্র প্রেমের
তাজমহল
সাগরের
মতই গভীর, আকাশের মতই অসীম এন্ড্রু
কিশোর ও কনক চাঁপা চলচ্চিত্র প্রেমের
জ্বালা
আমি
জীবন্ত একটা লাশ কুমার
বিশ্বজিৎ চলচ্চিত্র ইতিহাস
প্রেম
কখনো মধুর, কখনো সে বেদনা বিধুর এন্ড্রু
কিশোর ও খালিদ হাসান
মিলু চলচ্চিত্র মহৎ
আমার
সুখেরও কলসি ভাইঙ্গা গেসে লাগবে না আর জোড়া খালিদ
হাসান মিলু চলচ্চিত্র জ্যোতি
পৃথিবীর
জন্ম যেদিন থেকে, তোমার আমার প্রেম সেদিন থেকে **** চলচ্চিত্র জ্যোতি
পড়ে
না চখের পলক এন্ড্রু
কিশোর চলচ্চিত্র প্রাণের
চেয়ে প্রিয়
যে
প্রেম স্বর্গ থেকে এসে খালিদ হাসান মিলু ও কনক চাঁপা চলচ্চিত্র প্রাণের
চেয়ে প্রিয়
কী
আমার পরিচয়, ঠিকানা কী জানি না এন্ড্রু
কিশোর চলচ্চিত্র প্রাণের
চেয়ে প্রিয়
অনন্ত
প্রেম তুমি দাও আমাকে আইয়ুব
বাচ্চু ও কনক চাঁপা চলচ্চিত্র লুটতরাজ
তুমি
আমার জীবন, আমি তোমার জীবন এন্ড্রু
কিশোর ও রুনা লায়লা চলচ্চিত্র অবুঝ
হৃদয়
তোমার
আমার প্রেম এক জনমের নয় আইয়ুব
বাচ্চু ও কনক চাঁপা চলচ্চিত্র আম্মাজান
তুমি
হাজার ফুলের মাঝে একটি গোলাপ এন্ড্রু
কিশোর চলচ্চিত্র মন
মানে না
জীবনে
বসন্ত এসেছে, ফুলে ফুলে ভরে গেছে মন খালিদ
হাসান মিলু চলচ্চিত্র নারীর
মন
ঘুমিয়ে
থাকো গো স্বজনী এন্ড্রু কিশোর চলচ্চিত্র নারীর
মন
আমার
হৃদয় একটা আয়না এন্ড্রু
কিশোর ও কনক চাঁপা চলচ্চিত্র ফুল
নেব না অশ্রু নেব
বিধি
তুমি বলে দাও আমি কার এন্ড্রু
কিশোর, কনক চাঁপা, বিপ্লব চলচ্চিত্র ফুল
নেব না অশ্রু নেব
এই
তুমি সেই তুমি যাকে আমি চাই আসিফ
ও কনক চাঁপা চলচ্চিত্র বাঁধা
তুমি
মোর জীবনের ভাবনা, হৃদয়ে সুখের দোলা এন্ড্রু
কিশোর ও কনক চাঁপা/সালমা জাহান চলচ্চিত্র আনন্দ
অশ্রু
তুমি
আমার এমনই একজন, যারে এক জনমে ভালবেসে
ভরবে না এ মন কনক
চাঁপা চলচ্চিত্র আনন্দ
অশ্রু
উত্তরে
ভয়ঙ্কর জঙ্গল দক্ষিণে না যাওয়াই মঙ্গল সালমা
জাহান চলচ্চিত্র আনন্দ
অশ্রু
কোন
ডালে পাখিরে তুই বাঁধবি আবার বাসা সুবীর
নন্দী চলচ্চিত্র আনন্দ
অশ্রু
একাত্তুরের
মা জননী কোথায় তোমার মুক্তিসেনার দল আগুন ও রুনা লায়লা চলচ্চিত্র বিক্ষোভ
বিদ্যালয়
মোদের বিদ্যালয় এখানে সভ্যতারই ফুল ফোটানো হয় সৈয়দ আবদুল হাদী ও রুনা লায়লা চলচ্চিত্র বিক্ষোভ
আমায়
অনেক বড় ডিগ্রি দিসে সুবীর
নন্দী চলচ্চিত্র বিক্ষোভ
এই
জগৎ সংসারে তুমি এমনই একজন আইয়ুব
বাচ্চু ও কনক চাঁপা চলচ্চিত্র তেজী
জীবন
ফুরিয়ে যাবে ভালবাসা ফুরাবে না জীবনে এন্ড্রু কিশোর ও কনক চাঁপা চলচ্চিত্র বিদ্রোহ
চারিদিকে
পৃথিবীতো
দু দিনেরই বাসা, দু দিনেই ভাঙে
খেলাঘর সৈয়দ
আবদুল হাদী ও সাবিনা ইয়াসমিন চলচ্চিত্র মরণের
পরে
অনেক
সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন খালিদ হাসান মিলু ও কনক চাঁপা চলচ্চিত্র ভালবাসি
তোমাকে
ওগো
সাথি আমার তুমি কেন চলে যাও খালিদ হাসান মিলু চলচ্চিত্র আমার
অন্তরে তুমি
তুমি
সুতোয় বেঁধেছ শাপলার ফুল নাকি তোমার মন সুবীর
নন্দী ও মুক্তি চলচ্চিত্র হাজার
বছর ধরে
একদিন
দুইদিন তিনদিন পর, তোমারি ঘর হবে আমারি
ঘর এন্ড্রু
কিশোর ও সাবিনা ইয়াসমিন চলচ্চিত্র মহামিলন
গানে
গানে চেনা হল এন্ড্রু
কিশোর ও সামিনা চৌধুরী চলচ্চিত্র না
বোলোনা
কী
কথা যে লিখি, কি
নামে যে ডাকি এন্ড্রু কিশোর ও শাকিলা জাফর চলচ্চিত্র না
বোলোনা
নদী
চায় চলতে, তারা যায় জ্বলতে সামিনা
চৌধুরী চলচ্চিত্র না
বোলোনা
চতুর্দোলায়
ঘুমিয়ে আমি ঘুমন্ত এক শিশু জেমস চলচ্চিত্র মাটির
ঠিকানা
চোখের
ভেতর কল বসাইছে সালমা চলচ্চিত্র মাটির
ঠিকানা
আমার
জীবন নায়ে বন্ধু তুমি প্রাণের মাঝি এস
আই টুটুল ও কনক চাঁপা চলচ্চিত্র তুমি
স্বপ্ন তুমি সাধনা
নদী
চায় চলতে, তারা যায় জ্বলতে সামিনা
চৌধুরী চলচ্চিত্র না
বোলোনা
খেলা
হলো শুরু ভাই, খেলছেন গুরুভাই আইয়ুব
বাচ্চু চলচ্চিত্র গুরুভাই
আকাশটা
নীল মেঘগুলো সাদা সাদা আহমেদ
ইমতিয়াজ বুলবুল ও সামিনা চৌধুরী চলচ্চিত্র গুরুভাই
ও
ডাক্তার,ও ডাক্তার কুমার বিশ্বজিৎ আধুনিক শিকারি
আমার
তুমি ছাড়া কেউ নেই আর কুমার
বিশ্বজিৎ আধুনিক মা
জননী
তুমি
কত লিটার দুধ করেছ পান কুমার বিশ্বজিৎ আধুনিক মা
জননী
আপামর
জনতার ধারণা কুমার
বিশ্বজিৎ আধুনিক মা
জননী
যোজন
যোজন দূর কুমার
বিশ্বজিৎ আধুনিক দৃষ্টি
ভরা বৃষ্টি
শেষ
ঠিকানায় পৌঁছে দিয়ে আবার কেন পিছু ডাকো মনির
খান আধুনিক আবার
কেন পিছু ডাকো
চিঠি
লিখেছে বউ আমার মনির খান আধুনিক আবার
কেন পিছু ডাকো
আট
আনার জীবন মনির
খান আধুনিক আবার
কেন পিছু ডাকো
বুকটা
আমার ভাঙ্গা বাড়ি মনির
খান আধুনিক বুকটা
আমার ভাঙ্গা বাড়ি
আম্মা
ভিক্ষা দেন নইলে ভিক্ষা নেন মনির
খান/আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আধুনিক আম্মা
মাগো
আর নয় চুপি চুপি আসা সাবিনা
ইয়াসমিন,সাব্বির,কিশোর দেশাত্মবোধক বিজয়ের
প্রাপ্তি
সালাম
বাংলাদেশ আহমেদ
ইমতিয়াজ বুলবুল ও জুনায়েদ দেশাত্মবোধক বিজয়ের
প্রাপ্তি
জাগো
বাংলাদেশ জাগো কোরাস দেশাত্মবোধক বিজয়ের
প্রাপ্তি
জীর্ণ
দেহের এক বৃদ্ধা নারী কুমার
বিশ্বজিৎ দেশাত্মবোধক বিজয়ের
প্রাপ্তি
I am a war child আইয়ুব
বাচ্চু দেশাত্মবোধক বিজয়ের
প্রাপ্তি
পঙ্গু
মুক্তিযোদ্ধা বাপ্পা
মজুমদার দেশাত্মবোধক বিজয়ের
প্রাপ্তি
আমার
দুই চোখে দুই নদী সামিনা
চৌধুরী আধুনিক দুই
চোখে দুই নদী
আমি
জায়গা কিনবো সামিনা
চৌধুরী আধুনিক দুই
চোখে দুই নদী
মৃত্যু
তিনি
দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন। হৃদপিণ্ডে ব্লক ধরা পড়ায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে তার হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচারও করা হয়।[১০] পরে ইমতিয়াজ বুলবুল ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি মঙ্গলবার
৬৩ বছর বয়সে ঢাকার আফতাবনগরে তার নিজ বাসায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।[১১][১২] তার মৃতুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক প্রকাশ করেন।[১৩]
পুরস্কার
ও সম্মাননা
ইমতিয়াজ
বুলবুল ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রেমের তাজমহল চলচ্চিত্রের জন্য ২৬তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে প্রথমবার ও ২০০৫ সালে
মুক্তিপ্রাপ্ত হাজার বছর ধরে চলচ্চিত্রের জন্য দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত
পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১০ সালে সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক প্রদান করা হয়। তার উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে:
জাতীয়
চলচ্চিত্র পুরস্কার
শ্রেষ্ঠ
সঙ্গীত পরিচালক - ২০০১ (প্রেমের তাজমহল)[১৪]
শ্রেষ্ঠ
সঙ্গীত পরিচালক - ২০০৫ (হাজার বছর ধরে)[১৪]
একুশে
পদক (২০১০)[১৫]
বাচসাস
পুরস্কার
সেরা
গীতিকার - ১৯৮৪ (নয়নের আলো)
সেরা
গীতিকার - ১৯৯৯ (আম্মাজান)
সেরা
গীতিকার - ২০০১ (আব্বাজান)
সেরা
গীতিকার - ২০০২ (ইতিহাস)
সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস
- সেরা সঙ্গীত পরিচালক (২০০৪)
রাষ্ট্রপতি
পুরস্কার
তথ্যসূত্র
--- উইকিপিডিয়া
সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com
তিনি বেঁচে থাকবেন অন্তরে গানে গানে। চির কিশোর শিল্পীর অন্তরের গভীরে। এতো সকাল চলে যাওয়াটা খুবই অন্যায়।
ReplyDeleteবিনত শ্রদ্ধা
ReplyDeleteজাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা !!! দেশ একজন মহান ব্যক্তিকে হারালো।
ReplyDelete