অজানা দ্বীপে দ্বিধান্বিত নাবিক
মেহরাব রহমান
কালো চশমার অন্তরালে তোমার চোখ
আমি দেখতে চাই না অন্ধকারের আগুন।
তোমার চোখের স্বপ্ন নিশ্চয়ই ছুঁয়ে দেখতে চাই।
দৈনন্দিন দেহতাত্ত্বিক সুখ পেতে পেতে
আমি এক ক্লান্ত পরিশ্রান্ত নাবিক।
দ্বীপে নয়,
দ্বীপের উল্লাসে নয়,
দ্বীপের ভেতরে দ্বীপ
তারও গহনে আর এক দ্বীপ।
বোধের মধ্যে নিজেকে হারাই
কী জানি আজকাল
আমি কী দেখতে চাই না
তোমার রং করা ঠোঁট
আলতো করে পাফ বোলানো মসৃণ গাল?
আমি কি আদৌ তোমাকে চাই?
সব সাজ খুলে ফেলো;
খুলে ফেলো কানের দুল,
নাকের নোলক,
খোঁপার ফুল,
কপালের টিপ,
এখন কিছুটা তুমি।
খুলে ফেলো জামদানি শাড়ি
রয়ে গেল ধানিরং পেটিকোট,
ম্যাচ করা ব্লাউজ ,
কারুকাজ ব্রা এবং পেন্টি।
ক্রমশ বিয়োগ করো
বিয়োগের ফলাফল যখন নিরঙ্কুশ শূন্য
শ্বেতমর্মরে গড়া টান টান উত্থিত বুক
আমার সামনে দাঁড়ানো
এখন অনেকটাই তুমি।
আমি রোজ আসমুদ্র হিমাচল
গুল্মলতার গন্ধ বুকে নিয়ে,
নতজানু হয়ে এক অতুল ভাস্কর্যের
আরাধনায় নিমগ্ন হই।
এই তুমি রোজকার
আমার ভালোবাসার তুমি;
তবু কেন মনে হয়
তুমি নও সবখানি;
অজানা দ্বীপে নোঙর করেছি
আমি দ্বিধান্বিত নাবিক।
শূন্যের বুকে হাত রেখে
যাব না ফিরে শূন্যের দিকে।
ভালোবাসা নয়
উগ্র আকাঙ্ক্ষারা নয়
আমার গোপন অন্তরে
ভিন্ন স্বাদ,
ভিন্ন গন্ধ পেতে চাই;
আমি তোমার অনুভূতির ভেতর
ডুবসাঁতার কাটতে কাটতে
পারদের মতো গলতে গলতে
থেকে যেতে চাই
এক অনাবিল সুখের অঙ্গনে l
কাব্যগ্রন্থ : আমি ক্রীতদাস
http://www.alokrekha.com
মানব জীবনের চরম পরিতৃপ্তির মেহরাব রহমানের কবিতা অজানা দ্বীপে দ্বিধান্বিত নাবিক।খুব ভালো লাগলো। উত্তেজনায় ভরপুর। অনেক অভিনন্দন কবি।
ReplyDeleteমেহরাব রহমানের কবিতা অজানা দ্বীপে দ্বিধান্বিত নাবিক।খুব ভালো লাগলো। । দীপ্তিশিীল, দেহ ভিত্তিক সমৃদ্ধ কবিতা। কবির মনটা ভোরে গেল । দারুন অনুভূতি কবিতা বার বার পড়তে ইচ্ছে করে। ! আলোকরেখাকে ও কবিকে অভিনন্দন।
ReplyDeleteমেহরাব রহমানের কবিতা অজানা দ্বীপে দ্বিধান্বিত নাবিক।খুব ভালো লাগলো। দারুন এক উত্তেজনার অনুভূতি নিয়ে কবিতাটি বার বার পড়তে ইচ্ছে করে। উত্তেজনায় ভরপুর দেহ ভিত্তিক! কবিকে অভিনন্দন।
ReplyDeleteমেহরাব রহমানের কবিতা অজানা দ্বীপে দ্বিধান্বিত নাবিক।উত্তেজনায় ভরপুর দেহ ভিত্তিক। তবে এতটা খোলা মেলার প্রয়োজন ছিল কি ?খুলে ফেলো জামদানি শাড়ি রয়ে গেল ধানিরং পেটিকোট,ম্যাচ করা ব্লাউজ ,
ReplyDeleteকারুকাজ ব্রা এবং পেন্টি।ক্রমশ বিয়োগ করো বিয়োগের ফলাফল যখন নিরঙ্কুশ শূন্য শ্বেতমর্মরে গড়া টান টান উত্থিত বুকপরিতৃপ্তির।"
প্রদীপদা অনেক কৃতজ্ঞতা
Deleteযা আমাদের জীবনে অশ্লীল নয় উপরন্তু নান্দনিক
তা প্রকাশে অসুবিধা কোথায় ?
আমি সমরেশ বসুকে অনেক বছর আগে তার প্রজাপতি উপন্যাসকে অশ্লীল বলাতে উনি আমাকে অনেকটা এরকম জবাব দিয়েছিলাম
কবিতায় আমি কিছু আরোপ করিনা
যেভাবে আসে সেভাবেই লিখি
দাদা ভালো থাকবেন
ভালই লাগলো মেহরাব রহমানের কবিতা অজানা দ্বীপে দ্বিধান্বিত নাবিক।উত্তেজনায় ভরপুর দ্বিধান্বিত নাবিক দেহ ভিত্তিক।দৈনন্দিন দেহতাত্ত্বিক সুখ পেতে পেতে এক ক্লান্ত পরিশ্রান্ত নাবিক। দ্বীপের ভেতরে সকল সুখ তালাশ করে সেই দ্বীপে যেখানে রয়েছে চরম মুহূর্তের আনন্দ। কবি খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যা করছেন ,অনেক শুভ কামনা।
ReplyDeleteভালই লাগলো মেহরাব রহমানের কবিতা অজানা দ্বীপে দ্বিধান্বিত নাবিক। "কালো চশমার অন্তরালে তোমার চোখ আমি দেখতে চাই না অন্ধকারের আগুন।তোমার চোখের স্বপ্ন নিশ্চয়ই ছুঁয়ে দেখতে চাই।দৈনন্দিন দেহতাত্ত্বিক সুখ পেতে পেতে আমি এক ক্লান্ত পরিশ্রান্ত নাবিক।দ্বীপে নয়,দ্বীপের উল্লাসে নয়,দ্বীপের ভেতরে দ্বীপ তারও গহনে আর এক দ্বীপ।বোধের মধ্যে নিজেকে হারাই-হারাই অতলান্ত ঢেউয়ে।" দৈহিক মিলনের সুখ খুঁজে বাড়ায় দ্বিধান্বিত নাবিক।অনেক ভালো লাগলো পড়ে।
ReplyDeleteভাল লাগলো মেহরাব রহমানের কবিতা অজানা দ্বীপে দ্বিধান্বিত নাবিক। দেহ মিলনের সুখের কবিতা চরম পাওয়ার কবিতা। কবি এখানে কি শুধু দেহ মিলনের কথা বলেছেন নাকি দেহ তত্ত্বের কথা বলেছেন ? কবি কি দোয়া করে একটু বিবরণ দেবেন ? অপেক্ষায় রইলাম।
ReplyDeleteমনোজদা অনেক কৃতজ্ঞতা
Deleteকবিতাটি একেবারেই দেহমিলনের নয়
দেহতত্ত্ব বটেই
আরো বলা যায় মনোদৈহিক এবং গভীর মনস্তাত্ত্বিক ব্যাবচ্ছেদ
যা আমি শেষ স্তবেকে বলেছি
ভালোবাসা নয়
উগ্র আকাঙ্ক্ষারা নয়
আমার গোপন অন্তরে
ভিন্ন স্বাদ,
ভিন্ন গন্ধ পেতে চাই;
আমি তোমার অনুভূতির ভেতর
ডুবসাঁতার কাটতে কাটতে
পারদের মতো গলতে গলতে
থেকে যেতে চাই
এক অনাবিল সুখের অঙ্গনে l
কবিতাটি ভালো , তবে উলঙ্গ ছবিটির কোনো প্রয়োজন ছিল কি ?
ReplyDeleteসানজিদা রুমি, রামের ছবি , কৃষ্ণের ছবি ,উলঙ্গ ছবি পছন্দ করেন তা আমরা
দেখছি। এই কবিতার সাথে এই উলঙ্গ ছবির সম্পর্ক কি ?
সানজিদা রুমির আর দোষ কি। দুনিয়াটাই বেহায়া হয়ে গিয়েছে।
ReplyDeleteউলংগ করতে আর উলঙ্গ হতে ব্যাস্ত। নগ্নতাই এখন
সবচেয়ে বড়ো আর্ট