একটা
বাড়ি কী করে একটি
দেশের, একটি ভাষার সাহিত্য সংষ্কৃতির ইতিহাসের সঙ্গে ভীষণভাবে জড়িয়ে থাকতে পারে তার সবচেয়ে জলজ্যান্ত উদাহরণ বিউটি বোর্ডিং। বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষা চারশ বছরের পুরানো শহর আমাদের পুরাণ ঢাকা।
কালের স্বাক্ষী হয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছে অগনিত স্থাপনা। আমাদের ইতিহাসেরা ঘুরে বেড়ায় এখনো পুরাণ ঢাকার অলিগলি জুড়ে। আজ তেমনি এক স্থাপনার গল্প ও ইতিহাস জানাবো ৷ ঐতিহ্যবাহী এই স্থাপনাটির নাম বিউটি বোর্ডিং। বাংলাবাজারের শ্রীশ দাস লেনে অবস্থিত বিউটি বোর্ডিং। আজকের দিনে নিস্তরঙ্গ বিউটি বোর্ডিং দেখে আপনি জানতেও পারবেন না, এর সাথে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস।পুরান ঢাকার বংশাল মোড়ে পেরিয়ে খানিকটা এগুলেই ভিক্টোরিয়া পার্ক। আর পার্কের পাশের রাস্তা ধরে কিছুটা দূর সামনে এগুলেই শ্রীশদাস লেন। এই লেনের এক নাম্বার বাড়িটিই বিউটি বোর্ডিং।
কালের স্বাক্ষী হয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছে অগনিত স্থাপনা। আমাদের ইতিহাসেরা ঘুরে বেড়ায় এখনো পুরাণ ঢাকার অলিগলি জুড়ে। আজ তেমনি এক স্থাপনার গল্প ও ইতিহাস জানাবো ৷ ঐতিহ্যবাহী এই স্থাপনাটির নাম বিউটি বোর্ডিং। বাংলাবাজারের শ্রীশ দাস লেনে অবস্থিত বিউটি বোর্ডিং। আজকের দিনে নিস্তরঙ্গ বিউটি বোর্ডিং দেখে আপনি জানতেও পারবেন না, এর সাথে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস।পুরান ঢাকার বংশাল মোড়ে পেরিয়ে খানিকটা এগুলেই ভিক্টোরিয়া পার্ক। আর পার্কের পাশের রাস্তা ধরে কিছুটা দূর সামনে এগুলেই শ্রীশদাস লেন। এই লেনের এক নাম্বার বাড়িটিই বিউটি বোর্ডিং।
১৯৪৭
সালের আগে এই বাড়িটিতে ছিল
সোনার বাংলা পত্রিকার অফিস। এখানেই মুদ্রিত হয়েছিল বিখ্যাত কবি শামসুর রাহমানের প্রথম কবিতা। দেশভাগের সময়টায় সোনার বাংলা পত্রিকার অফিসটি স্থানান্তরিত হয় কলকাতায়। হলদে
রঙ্গা দেয়ালে পড়ে আছে শ্যাওলা। দোতলা এই বাড়িটি দেখলে
নিতান্তই সাধারণ মনে হলেও এই বাড়ির পরতে
পরতে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের কিংবদন্তিতুল্য কিছু মানুষের ছাপ। দেশভাগের পর যখন সোনার বাংলা পত্রিকা
চলে গেল, তখন প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা এবং তার ভাই নলিনী মোহন সাহা দুইজন মিলে এখানে শুরু
করেন বিউটি বোর্ডিং। এটা ১৯৪৯ সালের কথা। তার আগেও বাড়িটা এমনিতেই সারাদিন গম গম করতো
মানুষে। রাজনৈতিক নেতারা এখানে এসে আড্ডা দিতেন। বৃটিশবিরোধী বিপ্লবীরা এসে তাদের রণকৌশল
ঠিক করতেন আড্ডার আড়ালে। যখন এই বাড়িতে সোনার বাংলা পত্রিকার অফিস ছিল তখন এখানে এসেছিলেন,
পল্লীকবি জসীমউদ্দিন, নেতাজী সুভাস চন্দ্র বোসও!
বিউটি
বোর্ডিং শুরু হওয়ার পর এটি হয়ে
উঠে বাঙ্গালি বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদদের আড্ডার প্রাণকেন্দ্র। অনেক কবি সাহিত্যিকের বেড়ে ওঠা এই বিউটি বোর্ডিংয়ের
প্রাঙ্গনে। কবি শামসুর রহমান বিউটি বোর্ডিং নিয়ে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে লিখেছেন,“মনে পড়ে, একদা যেতাম প্রত্যহ দু’বেলা বাংলাবাজারের শীর্ণ গলির ভেতরে সেই বিউটি বোর্ডিং-এ পরস্পরের মুখ
দেখার আশায় আমরা কজন।”আমরা কজন বললে হয়ত সংখ্যাটা বোঝানো যাবে না। আগে পরে এই বিউটি বোর্ডিং
এর প্রাঙ্গনে এসেছেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক৷ বিউটি বোর্ডিং এর ভেতরের দেয়ালে
লেখা আছে সংস্কৃতি অঙ্গণের গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের নাম, যাদের পদধূলি পড়েছিল এই বিউটি বোর্ডিং
এ।
বিউটি
বোর্ডিং ছিল নিঃসন্তান জমিদার সুধীর চন্দ্র দাসের সম্পত্তি। ১১ কাঠা জমির
উপর নির্মিত এখন এই জমিদার বাড়ির
বয়স প্রায় ১৫০ বছর।
বাংলাদেশের
বইয়ের বৃহত্তম মার্কেট বাংলাবাজার সম্পর্কে যার প্রাচীন নাম ছিল বেঙ্গলা নগর এবং এটি মুঘল আমল এর আগে থেকে
পর্যটকদের কাছে পরিচিত ছিল। ১৯ শতকে বাংলাদেশে
প্রকাশনা ব্যাবসার সূচনা হয় এই বাংলাবাজার
থেকে। আর বাংলাবাজারের শ্রীশদাস
লেন এর ১ নম্বর
বাড়িটিই হলো বিউটি বর্ডিং।
১৯৪৭
সালের আগে বিউটি বোর্ডিংছিল সোনার বাংলা পত্রিকার অফিস এবং মুদ্রন কারখানা। কবি শামসুর রহমান এর প্রথম কবিতা
মুদ্রিত হয় এই পত্রিকায়।
পত্রিকা
অফিসটি কলকাতা স্থানান্তর হলে পরবর্তিতে এই জমিদার বাড়িটি
কিনে নেন প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা ও নলিনী মোহন
সাহা । নলিনী মোহন
সাহা বাড়িটির কক্ষগুলো একটি দুটি করে ভাড়া দিতে থাকেন এবং নিচতলায় একটি রেস্তোরা স্থাপন করেন।পরবর্তিতে ব্যাবসা ভালো দেখে তিনি তার মেয়ে বিউটির নাম অনুযায়ী বিউটি বোর্ডিং এর ব্যাবসা শুরু
করেন। দেশভাগের সময় পত্রিকা
অফিসটি কলকাতায় স্থানান্তরিত হয়। এরপর ১৯৪৯ সালে দুই ভাই প্রহ্লাদ চন্দ্র সাহা ও
নলিনী মোহন সাহা এই বাড়ি ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলেন বিউটি বোর্ডিং। ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ বিউটি
বোর্ডিংয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন প্রহ্লাদ চন্দ্র
সাহাসহ ১৭ জন। পরবর্তীতে
প্রহ্লাদ চন্দ্রের পরিবার ভারত গমন করে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে
প্রহ্লাদ চন্দ্রের স্ত্রী শ্রীমতী প্রতিভা সাহা দুই ছেলে সমর সাহা ও তারক সাহাকে
নিয়ে বিউটি বোর্ডিং আবার চালু করেন।
বিউটি
বোর্ডং বাংলাদেশের ঢাকার পুরনো অংশের বাংলা বাজারে ১নং শ্রীশদাস লেনে অবস্থিত একটি দোতলা পুরাতন বাড়ি যার সাথে বাঙালির শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাস জড়িত এবং বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির গুণী মানুষদের আড্ডার একটি কেন্দ্র বা ইতিহাসের ভিত্তিভূমি
বলে মনে করা হয়।
পুরনো
ঢাকার নর্থ ব্রুক হল রোড, বাংলাবাজার,
লালকুঠি আর প্যারিদাস রোড
থেকে একটু সামনে এগিয়ে গেলে হাতের বাঁয়ে পড়বে ছোট্ট একটা গলি, যার নাম শ্রী দাশ লেন। এই লেনে ঢুকলেই
চোখে পরবে ছোট্ট একটি সাইনবোর্ড। খুব বেশী ঝিকিমিকি নয়, অতি সাধারন। তবে সেটাই ইতিহাস বিখ্যাত “বিউটি বোর্ডিং ‘। ১৯৪৭ সালে
দেশ ভাগের পর এই বোর্ডিং’র
যাত্রা শুরু হয়েছিল খুব সাধারন ভাবে। দেশ ভাগের পরথেকেই বাংলাবাজার
এলাকাটি মুদ্রণ এবং প্রকাশনার প্রধান কেন্দ্রস্থল হিসেবেই সবাই চেনে। স্বাভাবিক ভাবেই
এখানে শিল্পী-সাহিত্যিকদের আড্ডার জায়গা হয়ে দাঁড়ায় এই বিউটি বোর্ডিং।এই বিল্ডিং’এ বিউটি বোর্ডিং চালু হবার পুর্বে সুনীল কুমার মুখোপাধ্যায়
সম্পাদিত সাপ্তাহিক “সোনার বাংলা” পত্রিকা অফিস হিসেবে পরিচিত ছিল। এই
পত্রিকা অফিসের সুত্র ধরেই এখানে জমে ওঠে শিল্পী সাহিত্যিকদের জম্পেশ আড্ডাস্থল। আর
এখান থেকেই শুরু হয়-বাংলাবাজারকেন্দ্রিক সাহিত্যচর্চা।আড্ডাপ্রিয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার
মানুষগুলোর প্রিয় গন্তব্যস্থল ছিল এই ঘুপচি গলির ছোট্ট দালানের বিউটি বোর্ডিং।১৯৪৯
সনে কবি শামসুর রাহমানের প্রথম কবিতা ছাপা হয় সোনার বাংলা পত্রিকায় । পত্রিকাটি বন্ধ
হয়ে যাবার পর দালানের দোতলায় গড়ে ওঠে স্বল্প দামের আবাসিক হোটেল।
কবি
শামসুর রাহমান থাকতেন আশেক লেনে, এবং কবি শামসুল হক থাকতেন লক্ষ্মীবাজারে।
আর বিউটী বোর্ডিং’র সাথেই অন্য
আর একটা পুরনো দালানের দোতলায় থাকতেন কবি শহীদ কাদরী।এখানে আড্ডা দিতে আসতেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী, হাসান হাফিজুর রহমান সহ অনেকেই।বিকেলে বোর্ডিং’র
সবুজ চত্তরে এক কাপ চা
কয়েকজনে ভাগ করে খেতে খেতে তখনকার শিল্পী সাহিত্যিকেরা মেতে উঠতেন জমজমাট আড্ডায়।এখানে যে শুধু আড্ডা
হতো তাই নয়-পাশাপাশি চলত
মতবিনিময়, বিতর্ক, সাহিত্যচর্চা।
১৯৪৭
সালের দেশ বিভাগের পর আজ পর্যন্ত
যে সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব আছেন তাঁদের বেশীর ভাগেরই পদধূলি পরেছে এই বিউটি বোর্ডিং’এ।
দেশ ভাগের কিছুদিন পর সোনার বাংলা
প্রেসটি নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। কয়েক
বছর খালি থাকার পর প্রেসের মালিক
জমিদার সুধীর চন্দ্র দাসের কাছথেকে জায়গাটি বুঝে নেন প্রলহাদ চন্দ্র সাহা। পঞ্চাশ দশকের প্রথম দিকে প্রলহাদ চন্দ্রের মেয়ের নামে চালু করেন বিউটি বোর্ডিং। বোর্ডিং’এ প্রথম থেকেই
দু’একটি রুম ভাড়া দেয়া হতো আবাসিক হোটেল রুম হিসেবে। ব্যাবসা সম্প্রসারনের সাথে সাথে তথা কাস্টমার সংখ্যা বৃদ্ধিপাবার সাথে সাথে আবাসিক রুমের সংখ্যাও বাড়ানো হয়। এখানে আড্ডা জমজমাট হবার অন্যতম কারন ছিল হোটেলে সুলভমুল্যে চা-কফি, চপ-কাটলেট পাওয়া যেত। আহম্মদ ছফার স্মপাদনায় প্রকাশিত হয় “স্বদেশ” এবং আরো বেশ কয়েকটি সাহিত্য সাময়িকী। বিউটি বোর্ডিং’এ বসেই তৎকালীন
পুর্ব পাকিস্তানের প্রথম পুর্ণদৈর্ঘ্য সবাক চলচিত্র “মুখ ও মুখোশ”এর পরিকল্পনা করেছিলেন
পরিচালক আব্দুল জব্বার খান। কবি-সাহিত্যিকদের কাছে পুরনো ঢাকার বিউটি বোর্ডিং এক আড্ডার কেন্দ্রস্থল।
যারা শিল্প-সাহিত্যের খোজঁ রাখেন -তাদের কাছে এই নাম রক্তে
নাচন ধরায়। প্রথম দেখাতে এটি আপনাকে খুব একটা আকৃষ্ট নাও করতে পারে। প্রধান ফটকটা ঘষেমেজে একটু সময়োপযোগী করা হয়েছে। সেটা দিয়ে ঢুকলেই চোখে পড়বে পুরানা একটি দোতলা বাড়ি। হলুদ বর্ণের প্রাচীন আমলের গাঁথুনি মুহূর্তেই আপনাকে নিয়ে যাবে একশ বছর পেছনে।
মাঝখানে
প্রশস্ত উঠোন। ফুলের বাগান দিয়ে ঘেরা। বেশ আড্ডার জায়গা। পাশে খাবারঘর, শোবারঘর, পেছনে সিঁড়িঘর সবই গল্পের বইয়ে লেখা প্রাচীন জমিদারবাড়ির বর্ণনার মতো।
বিউটি
বোর্ডং এর জন্মলগ্ন থেকেই
এখানে আড্ডা দিতেন প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাংবাদিক, চিত্রপরিচালক, নৃত্যশিল্পী, গায়ক, অভিনেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। এখানে যারা আড্ডার আসরে আসতেন এদের মধ্যে কবি শামসুর রাহমান, রণেশ দাসগুপ্ত, ফজলে লোহানী, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তী, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, ব্রজেন দাস, হামিদুর রহমান, বিপ্লব দাশ, আবুল হাসান, মহাদেব সাহা, আহমেদ ছফা, হায়াৎ মাহমুদ, সত্য সাহা, এনায়েত উল্লাহ খান, আল মাহমুদ, আল
মুজাহিদী, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, ড. মুনতাসীর মামুন,
ফতেহ লোহানী, জহির রায়হান, খান আতা, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সৈয়দ শামসুল হক, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, নির্মল সেন, ফয়েজ আহমদ, গোলাম মুস্তাফা, খালেদ চৌধুরী, সমর দাশ, ফজল শাহাবুদ্দিন, সন্তোষ গুপ্ত, আনিসুজ্জামান, নির্মলেন্দু গুণ, বেলাল চৌধুরী, শহীদ কাদরী, ইমরুল চৌধুরী, সাদেক খান, ড. বোরহানউদ্দিন খান
জাহাঙ্গীর, শফিক রেহমান, মহিউদ্দিন আহমেদ, আসাদ চৌধুরী, সিকদার আমিনুর হক, জুয়েল আইচ প্রমুখ।
বিউটি
বোর্ডিংয়ের মুখর আড্ডা আগের মতো না থাকলেও খাবার
ঘরে এখনো খদ্দেরের ভীড় লেগেই থাকে। নগরের ভোজনরসিকরা এখানে ছুটে আসেন। আর নিয়মিত খান
পুরোনো ঢাকার বইয়ের মার্কেটের নানা শ্রেণীর মানুষ।বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতির সুতিকা ঘর হিসাবে ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল
নক্ষত্র হয়ে জ্বলবে ।
সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com
বিউটি বোর্ডিং পরে খুব ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম। বাংলা সংস্কৃতির সুতিকা ঘর এই বিউটি বঁর্ডিং কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে। এই লেখাটা পড়ার আগে এই সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান ছিল না। আলোকরেখা ও সানজিদা রুমিকে অশেষ ধন্যবাদ ,
ReplyDeleteবিউটি বোর্ডিং পরে খুব ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম। কবি সাহিত্যিক চলচ্চিত্র জগতের দিগগজ মানুষগুলোর আড্ডার জায়গা ছিল এই বিউটি বোর্ডিং। ভাতেও অবাক লাগে এখন থেকেই আমাদের প্রথম চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশের জম্নস্থান এহকানে। কত বড় বড় সাহিত্য নির্মিত হয়েছে এখানেই। আলোকরেখাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এই লেখার প্রকাশের জন্য।
ReplyDeleteবিউটি বোর্ডিং এর গল্প বাবার কাছে অনেক শুনেছি। করা করা আসতেন ওখানে সংস্কৃতি সাহিত্য চর্চা করতেন। খুব ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ছবি সহ লেখাটা অনেক সুন্দর। অনেক অনেক শুকামনা সানজিদা রুমিকে। আশা করবো আরো এমন অনেক অনেক লেখা পাবো।
ReplyDeleteবিউটি বোর্ডিং এর উপর লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো ছবিগুলোও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতির জন্ম এই বিউটি বোর্ডিং-এ এটা অনেকের জানা নেই। আমরা যারা এ প্রজন্মের তাদের কোন ধারণাই ছিল না। খুব তথ্যবহুল। ভালো লাগলো।
ReplyDeleteবিউটি বোর্ডিং এর উপর লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো । বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতির জন্ম এই বিউটি বোর্ডিং-এ । খুব তথ্যবহুল। ভালো লাগলো।
ReplyDeleteপড়ে খুব ভালো লাগলো
ReplyDeleteবহু বছর পর গেলাম বিউটি বোর্ডিঙে
নস্টালজিক হয়ে উঠলাম
বাংলাদেশে থাকতে দুএকবার কবিতা পাঠের আসরে গিয়েছিলাম
গত ফেব্রুয়ারির বইমেলায় ঢাকা গিয়েছিলাম
বইটি বোর্ডিঙের আঙিনায় তিন চারদিন কাটিয়েছি
মজাদার খাবার খেয়েছি রেস্তোরায়
সেই ভালোলাগা ভোলার নয়
অনেক ধন্যবাদ রুমি