উৎসর্গ
মুনা চৌধুরী
আমার এই নগ্নদেহ
তোমার জন্য শস্যক্ষেত
যে শস্যক্ষেতে তুমি লাঙ্গল চালিয়ে
বীজ বুনতে চাও
দেখতে চাও কত উর্বর এই ভূমি।
আমার জন্ম ছিল তোমাতে উৎসর্গ হবার জন্যই
তুমিও বেঁচে ছিলে জন্মান্তর থেকে জন্মান্তরে
যুগ যুগ শতবর্ষ প্রতীক্ষার পর
তুমি এসেছো আমার উর্বর ভূমিতে তোমার বীজ বুনতে।
তুমি থেমে থাকতে পারনা যখন আমায় দেখো
তোমার হাত দুটো বেয়ে চলে এখানে সেখানে শরীরী খেলায়
আদরে আদরে ভাসিয়ে দাও বার বার
বুঝে না বুঝে
জেনে না জেনে
তোমার আগুন ছড়িয়ে দাও নির্লিপ্তভাবে আমার গভীরে
আমাকে পোড়াও।
আমায় নিয়েছো প্রতিবার
চেয়েছো, খেলেছো, রেখেছো, ফেলেছো।
তবে কেন এখনো জড়িয়ে রাখতে চাও তোমার অতলান্তিকে?
তোমার তৃষ্ণার্ত বুকে জল চাওয়া
আর বাধঁছেড়া স্বপ্নদেখা শুধু আমাকেই ঘিরে
বোঝোনি কি পেয়েছিলে, বোঝোনি কি হারালে
তুমি,
চির অভুক্ত, চির পিপাসু, চির দুঃখী
অনন্তকাল বেদনায় পোড় খাওয়া
আমার প্রেমিক পুরুষ।
বুঝতে পারবে কখনো ভালোবাসার রং হয় এতো গাঢ়?
http://www.alokrekha.com
"উৎসর্গ " কবিতায় কবি মুনা চৌধুরী জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। নারী দেহ শস্য ক্ষেত্রে প্রেমিক পুরুষ ভালোবাসে লাঙ্গল চালায় হাল চোষে। ,কবি অপরূপ রূপে বনর্না করেছেন। খুব ভালো লাগলো কবিতাখানি। শুভেচ্ছা কবি।
ReplyDelete"উৎসর্গ " কবিতায় কবি মুনা চৌধুরীর অপরূপ মানব মানবীর সমম্মন্ধকে একেছেন শব্দের তুলি দিয়ে। নারী দেহকে শস্য ক্ষেতের সাথে তুলনা করেছেন আর মানবের মিলনকে তুলে ধরেছেন অনন্যরূপে। "আমার জন্ম ছিল তোমাতে উৎসর্গ হবার জন্যই তুমিও বেঁচে ছিলে জন্মান্তর থেকে জন্মান্তরে ভাবলেশহীন, লক্ষবিহীন ভাবে।" দারুন অভিব্যক্তি।
ReplyDeleteকবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতাপড়তে অনেক ভালো লাগলো। ভাবলাম মন্তব্য কবি। এতে শুধু ভাল লাগা। অনেক লেখা থাকে যা মন্তব্য করার চাইতে পড়তে অনেক অনেক ভালো লাগে। খুব ভালো লাগছে পড়তে। কবিকে একরাশ ভালোবাসা।
ReplyDeleteকবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতা পড়তে অনেক ভালো লাগলো।
ReplyDeleteকবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতা অনেক ভালো লাগলো। এখানে কবি নারীর দেহকে বলেছেন শস্যক্ষেত।" যে শস্যক্ষেতে তুমি লাঙ্গল চালিয়ে
ReplyDeleteবীজ বুনতে চাও দেখতে চাও কত উর্বর এই ভূমি।" এখানে আমার মতে উর্বর বলতে কবি কতটা নরম কতটা সহনীয় মন তাই বোঝাতে চেয়েছেন। একরাশ ভালোবাসা কবিকে।
কবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতা অনেক অদ্ভুত লাগলো। এখানে কবি নারীর দেহকে বলেছেন শস্যক্ষেত।তাতে " যে শস্যক্ষেতে তুমি লাঙ্গল চালিয়ে
ReplyDeleteবীজ বুনতে চাও দেখতে চাও কত উর্বর এই ভূমি।" এখানে নারীর অপমান করা নয় কি ? আমার কাছে পুরো কবিতাটাই নারীকে ভোগ্য হিসাবে তুলে ধরেছেন। এখানেই আমার তিব্র প্রতিবাদ। কবি ভেবে দেখবেন।
কবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতায় নারীর দেহকে শস্য ক্ষেত্র আর পুরুষ তাতে কেবল লাঙ্গল চালায়। এখানে নারীরই শুধু অপমান হয়েছে তা নয় পুরুষের নারীর প্রতি সম্মানের অবমাননা করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
ReplyDeleteআপনাদের সবার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ.
ReplyDeleteএই কবিতাটা আমার জীবনের প্রথম বাংলা কবিতা, ১২ বছর আগের লেখা. কবিতাটার inspiration ছিল Pablo Nerudaর "Body of a Woman". এই কবিতাটার উপর পাঠকদের ১২ বছর আগেও মিশ্র মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া ছিল. কারো মতে কবিতাটা ছিল extremely erotic, কারো মতে পুরোপুরি যৌনতায় ভরা, কারো মতে নিদারুন দুঃখী একজন প্রেমিকার কথা, কারো মতে মানব মানবীর জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক যা শরীর এবং আত্মার মিলন অথবা ইত্যাদি ইত্যাদি.
প্রায় ৩০ বছর আগে বিশ্ববিদ্দালয়ে সাহিত্য ক্লাস নিয়ে জানতে পেরেছিলাম, যে কবিতা পড়ে সেই হয়ে যায় কবিতার পারসোনা. তাই পাঠক-পারসোনা কবিতা নিয়ে যাই ভাবেন সেটাই ঠিক. এইকারণে কবিতার পাঠকের পারসোনা নিয়ে ভাবনার কোনো ঠিক-ভুল নেই.
তবুও বলে রাখি এই কবিতায় নারী অথবা পুরুষ কাউকেই আমি ছোট করিনি বা ছোট করার চেষ্টাও করিনি. এর পর কোনো পাঠকের চোখে অথবা ভাবনায় যদি সেটা মনে হয় তবে আমি দুঃখিত.
কবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতায় নারীর দেহকে শস্য ক্ষেত্র আর পুরুষ তাতে কেবল লাঙ্গল চালায় এই নিয়ে বিতর্কের কোন সুযোগ নেই। এখানে নিন্দনীয় কিছু নেই। কবি এখানে বিশেষ একজনের কথা বলতে গিয়ে এই প্রসঙ্গ টেনেছেন। সে একজন প্রেমিক পুরুষ। গোটা জাতি নয়। সে নারী নিজেকে উৎসর্গ করেছে কিন্তু সেই অভাগ্য প্রেমিক তৃষ্ণা মেটাতে সব হারালো। খুব সুন্দর কবিতা। কবিকে শুভেচ্ছা।
ReplyDeleteকবি মুনা চৌধুরীর 'উৎসর্গ " কবিতায় এক তৃষ্ণার্ত প্রেমিক শুধু শস্য ক্ষেত্রে লাঙ্গল চালায় কিন্তু ছেড়ে যেয়ে বোঝেনি কি হারালো চির অভুক্ত, চির পিপাসু, চির দুঃখী অনন্তকাল বেদনায় পোড় খাওয়া
ReplyDeleteপ্রেমিক পুরুষ।