আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও মা এবং মেয়ের সম্পর্কে ভালবাসা ও ঘৃণা যখন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ নুসরাত জাহান চম্পা ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    মা এবং মেয়ের সম্পর্কে ভালবাসা ও ঘৃণা যখন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ নুসরাত জাহান চম্পা



    মা এবং মেয়ের সম্পর্কে ভালবাসা ও ঘৃণা যখন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ

    নুসরাত জাহান চম্পা

    মনস্তাত্ত্বিকরা বলেন, মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠের ছাপ দু রকম হলেও যেমন দুটো ছাপই একই মুদ্রার অংশ, ঠিক তেমনই মানুষের মনেও 'লাভ' এবং 'হেট' এই দুই প্রবৃত্তি পিঠাপিঠি অবস্থান। একটি যেখানে তীব্র, সেখানেই অন্যটিও আসতেই পারে। মা-মেয়ের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয় না। মায়ের প্রতি নির্ভরতা দিয়েই শুরু হয় একটি মেয়ের শিশুবেলা। তাই মায়ের প্রতি তীব্র ভালবাসাও মেয়ের মনে থাকেই, সেই সাথে থাকে আনুগত্য। টিনএজে পৌঁছানোর সময় থেকেই এই আনুগত্যে কখনো কখনো ফাটল ধরতে থাকে। এর পেছনে থাকে নানা কারণ। কখনো দেখা যায় মায়ের চেয়ে বাবার প্রতি মেয়ের আনুগত্য ও ভালবাসা তার বড় হবার সাথে সাথে ধীরে ধীরে বেড়ে গেছে। বাবাকেই সে মনে করছে নিজের 'হিরো'। তখন বাবা-মায়ের মধ্যে কোনো মতবিরোধ হলে মেয়ে বিনা দ্বিধায় বাবাকেই সমর্থন করে। এতে মায়ের মনে অভিমান, ক্ষোভ জমতে থাকে। তারই বহিঃপ্রকাশ হতে থাকে মেয়ের সঙ্গে কলহ-বিবাদের মধ্য দিয়ে।

    কখনো আবার মেয়ে যত বয়ঃসন্ধির দিকে এগোয়, তার মধ্যে তত স্বাধীনচেতা ভাবটি ফুটে ওঠে। মায়েরা সেটাকে সুনজরে দেখেন না। মনে করেন মেয়ে অবাধ্য, সেচ্ছাচারী হয়ে উঠছে। তার মনের গতি বা চিন্তাভাবনার দিক পরিবর্তনের ব্যাপারটি খেয়াল না করেই তখন মায়েরা কড়া শাসন করার চেষ্টা করেন। এখানেই মায়ের সঙ্গে মানসিক সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। মেয়ে তখন তার প্রতিবাদকে প্রকাশ করে আরো বেশি অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে। মায়ের মনে হয় ইচ্ছে করেই সে অগ্রাহ্য করছে মাকে।
    স্কুল পেরিয়ে সদ্য কলেজে পা রাখা মেয়ের জীবনযাত্রার ধরন বদলাতে থাকে। তখন তার অনেকটা সময় কাটে বাইরে, বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা বাড়তে থাকে, বাড়ির বাইরের জগতে সে খুঁজে পায় নিজের নতুন জগত্‍। ফলে এ সবকিছুর টান মেয়েকে অনেক বেশি বুঁদ করে রাখে তার নিজস্ব জগতে। এই সময়েই শুরু হয় মায়েদের ক্ষোভ এবং বঞ্চনার বোধ। এত স্নেহে, পরিচর্যায় বড় করে তোলা আদরের মেয়েটি এমন করে মাকে ভুলে যাচ্ছে? অন্য সবকিছুর তুলনায় তার কাছে মা কোনো গুরুত্বই পাচ্ছে না? মনে হতে থাকে, মেয়ে সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে হয়তো।
    এই সব ক্ষেত্রেই শুরু হয় মা-মেয়ের ভুল বোঝাবুঝি। ভালবাসায় ভরা পাত্রটিতে একটু একটু করে মিশে যায় পারস্পরিক ঘৃণা। 'লাভ'-এর সঙ্গে মেশে 'হেট'। পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে না বুঝে মেয়ের সঙ্গে মায়ের সম্পর্কে বাড়তে থাকে দূরত্ব। তখনই মায়ের মন মেয়েকে হারিয়ে ফেলার আশঙ্কায়, হাহাকারে ভরে ওঠে। এই ভালবাসা-ঘৃণার সম্পর্ক কখনো এক তরফা হয় না। নতুন প্রজন্মের ধ্যানধারণা, দৃষ্টিকোণ যে অন্যরকম, এটা অনেক সময় মা বুঝতেই পারেন না।
    আবার অন্যদিকে মায়ের সঙ্গে যতই ভুল বোঝাবুঝি হোক, মা যে কখনো তার শত্রু হতে পারে না - মেয়ে সেটা বুঝে উঠতে পারে না। ফলে দু পক্ষেই জমতে থাকে ক্ষোভ, অভিমান আর বিদ্বেষ। চিরাচরিত স্নেহ-মমতার বদলে মায়ের কাছ থেকে কেবলই শাসন, বকুনি আর অভিযোগ পেতে পেতে মেয়ে তার মা সম্পর্কে সব ভালবাসা, আবেগ হারাতে থাকে।
    এটাই হয়ে দাঁড়ায় মা-মেয়ের সম্পর্কের সবচেয়ে বড় টানাপোড়েনের জায়গা। মনে রাখতে হবে স্নেহ যেহেতু নিম্নগামী, তাই মাকেই সমাধানের উদ্যোগ প্রথমে নিতে হবে। রাগ, বিদ্বেষ বা অভিমান - কোনোটাই জমিয়ে তোলা ঠিক নয়। একেবারে শুরুতেই সংঘাতের কারণগুলোকে খুঁজে বের করে নির্মূল করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন এই নতুন সময় ও বয়সকে বোঝার চেষ্টা করা, সেই সঙ্গে নিজের মেয়েটিকেও। প্রয়োজন নিজের পুরনো ধ্যানধারণা ও বিচারভঙ্গি কিছুটা বদলানো।
    খোলামেলা আলোচনা করুন। মেয়ের শুধু অভিভাবক নয়, তার চেয়ে বেশি বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। একঘেঁয়ে, আদ্যিকালের উপদেশ আর অনুশাসন নয়, তার বদলে সহযোগিতা ও সমর্থনের মধ্য দিয়ে মেয়ের বিশ্বাস ও বন্ধুত্ব অর্জন করুন। দেখবেন বকে-ধমকে যে কথা শোনাতে পারেননি, তার চেয়ে অনেক বেশি কথা শুনবে মেয়ে বন্ধুত্বের খাতিরে।
    তথ্যসূত্র: তাহমিনা জামান, শিশু বর্ধন ও পারিবারিক সম্পর্ক, ২০০২
    ডা. সুজাতা গঙ্গোপাধ্যায়, সম্পর্কের রসায়ন, ২০১২





    সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com

    1 comments:

    1. লেখকের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি এই লেখার ভেতর যে 'ঘৃণা' শব্দটা ব্যবহার হয়েছে সেটার আদৌ কোনো প্রয়োজন ছিলোনা. বড় হবার সাথে সাথে মা বাবার সাথে বাচ্চাদের মনোমালিন্য অথবা কথা কাটাকাটি হতেই পারে আর সেটা কেটেও যায়. এখানে 'ঘৃণা' অথবা মা বকলেই বাবা হিরো আর মা জিরো এটা দেশীয় অথবা বিদেশী সমাজে দেখিনি. হাজার ঝগড়া হলেও একটা সময় পরে বাবা মা এর সাথে ছেলেমেয়েদের ঝগড়া মিটেও যায়. বেশির ভাগ মানুষই স্বার্থপর নয় যেমনটা টিভি সিরিয়াল এ দেখা যায়.

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ