তুমি, আমি আর অবিনশ্বর
http://www.alokrekha.com
মুনা চৌধুরী
যখন পৃথিবী ঘুমোয়, আমি জেগে থাকি। তোমার সাথে কথা বলে যাই: লক্ষি সোনা আমার, তুমি কি শুনতে পাচ্ছ- আমার কথা? ভালোবাসো আমায় এখনো সেই আগের মতো? তোমার গন্ধ খুঁজে
বেড়াই সবখানে; নদীর বাঁক দেখে বলতে পারি কোথায় তোমার জনপদ।
লক্ষী ছেলে, কি করছো এতো রাতে তুমি? ভাবি আমি, এই নশ্বর পৃথিবীতে যেদিন আমি আর থাকবো না, যখন তুমি শুইয়ে দেবে আমায় কাঁচামাটির ঘরে, সেদিনওকি আমাদের ভালোবাসা থাকবে অবিনশ্বর হয়ে? এক পবিত্র ভোরে, শিশির দেখে মনে হয়েছিল ঈশ্বরের চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে
শিশির বিন্দু হয়ে। সেই চোখের জলে আমি
মুখ ধুয়েছিলাম যখন, তখনই জন্ম নিয়েছিল আমাদের প্রেম, অবিনশ্বর হয়ে। ওটা ছিল ঈশ্বরের
আশীর্বাদ, অভিশাপ নয়। মনে আছে একদিন আমায় বলেছিলে
তুমি: God works in
mysterious ways. আজ আমি বাকিটা, বলি তুমি শোনো: ‘He wanders to
perform. He plants his footsteps in the sea and rides upon the storm’.
লক্ষী মানিক আমার, তুমি শুনে যাও: আজ ওকে পুজো দিয়েছি, কেন বলতো? তোমায় কেন ও গড়েছিল এতো যত্নে যত্নে? তোমার প্রতিমার ভাঁজে ভাঁজে ও এতো আদর মেখেছিলো কেন? মেখেছিলো একারণেই, যেন আমি তোমায় চিনে নেই প্রতিটি নদীর বাঁকে, পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে, দিগন্তের শেষ
সীমানায় আর ঢেউয়ের ফেনা মিলিয়ে যাবার ক্ষনে ক্ষনে।
সবাই ঘুমিয়ে। শুধু জেগে আমি
সারারাত। তোমায় নিয়ে কথা
বলে যাই অবিনশ্বর এর সাথে, ওঁর হাত ধরে। ভোরের সূর্য দেখি; আশ্চর্য! সে আলো ধরিত্রীর গায়ে রং ছড়ায় না। সে আলো রং ছড়ায় আমার অস্তিত্ত্বে।
http://www.alokrekha.com
তুমি, আমি আর অবিনশ্বর লেখায় মুনা চৌধুরী এতো সুন্দর করে প্রিয়কে আদরের ভাষায় সিক্ত করেছেন তা অনবদ্য। খুবই ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। অনেক শুভ কামনা কবির জন্য।
ReplyDeleteতুমি, আমি আর অবিনশ্বর
ReplyDelete