প্রিয় শুভ্র
আজ এই ভরা গ্রীষ্মে তোমার লেখা কিছু একটা পাব আশা করছিলাম কিন্তু আমার পাওয়া হল না। এই গ্রীষ্মে কোন কোকিলের ডাক আমি শুনবো না জানি তবে নাম না জানা অনেক পাখি ডাকবে যখন আমি অবাক হয়ে তাদের মাঝে কোকিলের ডাক খুঁজে ফিরব।
বনফুলের বুনো গন্ধ যখন আমাদের নাকে লাগবে সেখানে খুঁজে ফিরব রজনীগন্ধা বেলি কিংবা বকুলের আনাগোনা আর নীল জলে বুনোহাঁসেরা খেলা করবে। আর আমি সেখানেই হারাবো দৃশ্যটা। লবসন্ত দিনে লিখতে বসেছি তোমাকে আমার হৃদয়ের সব কিছু দিয়ে। এই সময়ে দিনগুলি বড় উজ্জ্বল আর চারদিকে চলে নানা রঙের বাহার। আমি মুগ্ধ চোখে খুঁজে ফিরি মুগ্ধতা। শরতের নীল আকাশের মত নীল শাড়িটা পরা বা বড় লাল টিপটা নাইবা পরলাম। না হয় রইলো কিছু বাকী, না হয় অপূর্ণই রয়ে গেল পূর্ণতা পাওয়ার আশায় কিছু আশা।
জানো তো তোমার নীল কিশোরী থেকে যৌবনে, যৌবন থেকে বার্ধক্যের দিকে যাচ্ছে। তাই কিছু না পাওয়ায় কষ্ট হয় না। শুধু অপেক্ষায় থাকে ছুঁয়ে দেবার। ভয় হয় জানোতো হারানোর ভয়, স্বপ্ন দেখার ভয়, হাতে হাত রেখে বহুদূর হেঁটে যাওয়ার ভয়, হেঁটে না যাওয়ার ভয় আর ভয় হয় অযুত-নিযুত অপেক্ষার।
আমার গ্রীষ্মের দাবদাহে চারিদিকে অসংখ্য ফুলের সমারোহ নানা রঙের বাহার যেমন সবুজ, হলুদ, লাল, বেগুনি, নীল। সব রঙগুলো কেমন যেন একটু বেশি রকম রঙিন।
গাঢ নীল একটু বেশি নীল, সবুজ একটু বেশি সবুজ। শুভ্র কত কিছু যে আমার তোমাকে লিখতে ইচ্ছে করে৷ আর গাইতে ইচ্ছে করে।
'মোরা আর জনমে হংস মিথুন ছিলাম'
আসলে কি আমরা তাই ছিলাম। কত দিন তোমার কথা ভেবে ভেবে কেঁদেছি নীরবে শব্দহীন তুমি জানতে পারোনি। আসলে আমি জানতে দিই নি নাকি তুমি অনুভব করোনি আমাকে।
আজ এই গোধূলি সন্ধ্যায় লেকের পারে বসে গাইতে মন চাইল নাকি শুনতে মন চাইলো জানিনা
"আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায় যে জন দেয় না দেখা যায় যে লিখি ভালোবাসি আড়াল থেকে"
কি লিখবো বল রবিবাবু সেসব বলে গেছেন লিখে গেছেন। কবে কখন কিভাবে যে আমার মৃত্যু হয়েছিল ভালবাসায় আমি জানিনা। তুমি কি জানতে! আর আমি খুব যত্ন করে আমার পরম ভালোবাসাকে রেখে দিয়েছি আমার শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে। আমি জানি তুমি রেখেছো মনের ভাঁজে ভাঁজে।
শুভ্র জানো তো এই সময়টার জন্য আমি আমরা অপেক্ষা করে থাকি নিরবে। তবে সেখানে যদি তোমার উপস্থিতি থাকতো সে রঙ আরও অপরূপ হতো। প্রকৃতির সাথে আমি আর তুমি একাকার হয়ে যেতাম। আমার খুব ইচ্ছা নীল আকাশ, সবুজ বনানী, সাগর, পাহাড় সব ছাড়িয়ে হারিয়ে যাব থাকবো নীরবে সেও কি কম প্রাপ্তি নয় বল।
শুভ্র তুমি কি জানো আমার কি ফুল পছন্দ! কৃষ্ণচূড়া লাল টা যেমন আমার পছন্দ তেমনি ভোরের শিউলি, কামিনী, সন্ধ্যার হাসনাহেনা আবার জেসমিন, বেলি, রজনীগন্ধা কত কত বলব। আসলে সব ফুলই আমার পছন্দ। তোমার কি ফুল পছন্দ আজও জানা হলো না। যদি বল কি চাই তোমার কাছে আমি বলব শরতের শিউলি মালা, বেলি ফুলের মালা দিয়ে মুড়ে দিও হাত কিংবা আমার খোঁপা। আমি চাই তোমার সাথে আমার দেখা হোক বৃষ্টি দিনে। আমি হয়তো মেঘ বালিকা নই। তবে তোমার নীল হয়ে বৃষ্টি হবো। আমরা কোনদিন ভালোবাসায় ঋণী হবো না। আমরা তার কথা বলব অলক্ষ্যে থেকে যিনি আমাদের মিলিয়ে দিয়ে খেলছেন আর ভাবছেন।
জানো তো এই যে এত কথা লিখছি খেই হারিয়ে যাচ্ছে আমার লিখতে পাচ্ছিনা সামার বা গ্রীষ্মের কথা সেখান থেকে কোথায় চলে এলাম বল।আমার সবুজ পাতারা আস্তে আস্তে রঙ বদলাবে সবুজ থেকে হলুদ, কমলা, লাল তারপর ঝরে পড়বে পাতাশূন্য হয়ে সব গাছ গুলো। মনেই হবে না যে এই গাছগুলোয় পাতা ছিল সেই সাথে আমি শূন্যতা অনুভব করতে থাকবো তোমার অপেক্ষার। ভালো থেকো।
ভালো থেকো আমার শুভ্র!!
তোমার নীল
______________________________
জেমি/ টরন্টো/ কানাডা/ ১২ ই জুলাই ২০১৯
http://www.alokrekha.com
প্রিয় শুভ্র-------লেখক জেমির লেখা খুব
ReplyDeleteসুন্দর চিঠি। মুনা চৌধুরীর শুভাশীষকে চিঠি'র আদলে। লেখক যদি নিজস্ব মৌলিক আদলে লিখতেন তবে আরো ভালো হত।
লেখক জেমি কি মুনা চৌধুরীর শুভাশীষকে চিঠি পড়েছেন ? যদি না পরে থাকেন তাহলে বলবো ভুল হয়েছে। মুনা চৌধুরীর শুভাশীষকে চিঠি আমাদের খুব প্রিয় আমি যে কতবার পড়েছি তা বলতে পারবো না। আপনার লেখা বোধ করি মুনা চৌধুরীর শুভাশীষকে চিঠি'র সাথে অনেক ক্ষেত্রে অনুকরণের পর্যায় পড়ে। ভবিষ্যতে আশাকরি আপনি এই ব্যাপারে সচেতন হবেন।
ReplyDeleteলেখক জেমির চিঠি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। অনেকেই মন্তব্য করেছেন এটা মুনা চৌধুরীর শুভাশীষকে চিঠি'র অনুকরণ আমার কাছে তা মনে হয় না। আমরা যারা লিখি একই ভাবনা ধারায় তা উঠে আসে। সেটাকে অনুকরণ বলে না। শুভেচ্ছা লেখককে।
ReplyDeleteআমি কবি ও লেখক মুনা চৌধুরীর এক নিষ্ঠ ভক্ত। তাঁর সব লেখা আমি অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়ি। কোনো কোনো লেখা আবার কয়েকবার পড়ি। শুভাশীষকে চিঠি আমি কতশত বার পড়েছি তার ইয়াত্তা নাই। আমার জীবনের সাথে অনেক মিল। তাই প্রতিটি শব্দমালা আমার পড়া। লেখক জেমির লেখায় ম্যান কাকতলীয় হতে পারে কিন্তু ভালোলাগা কথোপকোথন এক হয় না। একটা লোকল করে লেখা। এ অন্যায়। আলোকরেখার উচিত ছিল এই অন্যায় রোধ করার। আমি এর প্রতিকার চাই।
ReplyDeleteআমিও অনেক পাঠকের মতো মুনা চৌধরীর চিঠিগুলো খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছি
ReplyDeleteজেমির এই লেখাটি পড়তে গিয়ে বারবারই বিভ্রান্ত হচ্ছিলাম
লেখাটি কার ? তবেকি আলোকরেখা
কোনো ভুল করলো ?
আমি কবি ও লেখক মুনা চৌধুরীর শুভাশীষকে চিঠি সবগুলি পড়েছি।চিঠি গুলো আমার বিশেষ প্রিয়। লেখক জেমির লেখায় তার আদলে লেখা নয়। সম্পূর্ণ নকল করা হয়েছে তা আইন অনুযায়ী অপরাধ।
ReplyDeleteএই লেখাটি সম্পূর্ণ মুনা চৌধুরীর লেখা নকল করেছেন
ReplyDeleteলেখক অর্থাৎ চুরি করেছেন
লেখক জেমি বোধকরি জানেন যে একজনের লেখা নকল করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ
আমি ওনাকে আলোকরেখায় এই অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইবার অনুরোধ করছি নচেৎ আমরা ওনার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে পারি
লেখক জেমির চিঠি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। অনেকেই মন্তব্য করেছেন এটা মুনা চৌধুরীর শুভাশীষকে চিঠি'র অনুকরণে লেখা হয়েছে ।আসলে তা নয় । একই ভাবনা ধারায় তা উঠে আসে। সেটাকে অনুকরণ বলে না। লেখকের লেখা তার মউলিক।অনেক অনেক শুভেচ্ছা লেখককে।
ReplyDeleteপ্রথমে আমি লেখক হিসেবে বলবো, আমি অল্পবিস্তর লেখার চেষ্টা করি এবং পাঠকরা যখন আমায় লেখক বলেন সম্মানিত হই. এর কারণ আমি নিজে যা সৃষ্টি করছি, যা আমার একান্তই নিজের, সেটাকে মানুষেরা ভালোবাসছে. Copyright এবং plagiarism এর আইন এ স্পিরিট একারণেই 'Give Credit Where Credit Is Due'.
ReplyDeleteএবার আইনজীবী হিসেবে সানজিদা রুমিকে কিছু কথা বলবো, Webmaster/লেখক হিসেবে অনলাইন এ copyright infringement এবং plagiarism এর প্লেগের যে প্রাদুর্ভাব চলছে তা থেকে আলোকরেখা কে মুক্ত রাখার জন্য আপনার একটা 'DISCLAIMER' দরকার, যদিও disclaimer দিলেও লেখকদের content এর জন্য আপনি vicariously দায়বদ্ধ এবং agency আইনেও দায়বদ্ধ থাকবেন. সব লেখক হয়তো জানেন না, শুধুমাত্র সরাসরি quote করাই নয়, সেইসাথে প্লট, আইডিয়া, ডায়ালগও copyright infringement অথবা plagiarism এ পড়তে পারে. Intellectual property আইন যারা লেখালেখিতে আছেন, তাদের একটু গভীরে জানা খুব দরকার. সেই সাথে কিভাবে লিখলে এই আইনে তারা দোষী হবেন না সে সব mechanism ও জানা খুব জরুরি.
একজন লেখকের লেখা, তার প্লট, তার ডায়ালগ, তার আইডিয়া 'নিজের বলে চালিয়ে দেয়া' আইনে অপরাধ তো বটেই কিন্তু আমার কাছে এর চাইতে বেশি- একজন লেখকের জন্য এটা একটা লজ্জাজনক এবং বিবেকহীন কাজ যা দিয়ে তিনি সবচাইতে বেশি তার পাঠকদের ঠকাচ্ছেন.
আমি আশা করবো আলোকরেখা ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হবে. আমার কথাগুলো কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ অথবা কষ্ট দেয়া জন্য একেবারেই নয়. কথাগুলো শুধু জানানোর প্রয়োজনীয়তা থেকেই উঠে এসেছে. আমার যত পাঠক আছেন, যারা 'শুভাশীষ কে চিঠি' কে ভালোবেসেছেন, তাদের আমি আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি. আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ.