-
মুনা চৌধুরী
আমি ছিলাম বরাবরই ঘোর আল্লাহ বিশ্বাসী আর ও ছিল agnostic । দারুন দুঃখে পুরাণ বর্ণিত কোনো সাধ্বী যেভাবে প্রলাপ বকে যায়, তেমনিভাবে ও বকে যেত ও agnostic । প্রথম প্রথম
আমি খুব হাসতাম - কিন্তু যেদিন দেখলাম, ও আর অবিনশ্বর দাঁড়িয়ে, মাঝখানে বিরাট আকাশ যোজন যোজন উল্কাপথের ব্যবধান, তবুও ওরা পাশাপাশি, সেদিন থেকে আমি আর হাসিনি কখনো।
এখন বুঝি অবিনশ্বরের সাথে ওর অন্তহীন অভিমানের কথা। তবে ওর অভিমানটা আমি পুরোপুরি বুঝিনি কখনো।
তুমি যখন বড় হবে, কোনো নরম রোদের বিকেলে নদীপাড়ে ওর পাশে বসে জেনে নিও। দেখে নিও, ও তোমায় ঠিকই খুলে বলবে সব। তুমিই যে ওর আশ্রয় যা আশ্রিত করে রেখেছে ওর সব পূর্ণ, অপূর্ণ স্বপ্নলোক ............
মুনা চৌধুরীর লেখা বরাবরই প্রাণ ছুঁয়ে যায়। এবারের লেখাটা পরে খুব ভালো লাগলো।
ReplyDeleteভালো লাগলো।
ReplyDeleteছোট্ট ছোট্ট কয়েকটা প্যারায় এই ধরায় আমাদের আবির্ভাব, বেড়ে ওঠা আর আমাদের তিরোধানের গোটা পর্বটাকে চিত্রিত করে সেই জীবনকালে অবিনশ্বরের সাথে আমাদের দিনমান যাপন আর আমাদের অস্তিত্বের উদযাপনে আমরা কে কোথায় অবস্থান করি ইত্যাদি বিষয়গুলোর কি গভীর, অর্থবহ এবং ব্যঞ্জনাময় বর্ণনা মুনা চৌধুরীর "স্নেহভাজনেষু"! কবিতার মত করে লেখা এই গদ্য পড়তে গিয়ে আমার শরীরের লোম শিউরে উঠেছে! একজন গুণী শিল্পীর পরিবেশিত মার্গীয় সংগীতের আলাপ কিংবা climax এর মূর্ছনা শুনে যেরকমটা হয়!
ReplyDeleteনিজে এক মেরুতে দাঁড়িয়ে বিপরীত মেরুতে অবস্থানকারী মানুষটাকে পুরোপুরি বুঝতে না পারলেও তার প্রতি একটা গভীর আত্মীয়তা ও শ্রদ্ধাবোধ প্রসূত নিশ্চয়তায় সন্তানের কাছে একটা নিবিড় আন্তরিকতায় এই তথ্যটি কবি পৌঁছে দিয়েছেন যে ভিন্ন মেরুতে অবস্থান সত্ত্বেও ওই মানুষটির যত চাওয়া, পাওয়া-না পাওয়া তার সব কিছু অবিসংবাদিতভাবে আবর্তিত ওই সন্তানকে ঘিরেই! আর কবির একান্ত বিশ্বাস বড় হয়ে "স্নেহভাজন" একদিন নিশ্চয়ই ওই মানুষটির কাছ থেকে জেনে যাবে অবস্থানের ভিন্নতার মাঝেও কিভাবে আমরা সবাই লীন ওই অবিনশ্বরে!
মুনা চৌধুর তাঁর এই বিমূর্ত সৃষ্টি দিয়ে আমাদের হৃদয়কে এভাবে আন্দোলিত করার জন্যে তাঁর প্রতি আমার স্বশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা !