মেহরাব রহমানের গুচ্ছকবিতা
দ্বিপদী ধ্রুপদ#১
বন্দী জীবনে ক্রুদ্ধ
দরজায় কে কড়া নাড়ে ? মেকি ছাড়পত্র, শান্তি-বৃষ্টিধারার জগৎ ?
দ্বিপদী ধ্রুপদ#২
ইয়ে কাহানি ইহাঁ পারি
খাতাম
তো হ্যাম বেকসুর খালাস
হেয়
এই গল্পের এখানেই শেষতো
আমার নিঃশর্ত ছাড়পত্র মিললো
দ্বিপদী ধ্রুপদ#৩
ঝড় বন্যার পর পলিমাটি, নুতন ফসল
রাগ-অনুরাগ-বৈরী হওয়ার পর অনন্ত
প্রেম
দ্বিপদী ধ্রুপদ#৪
সভ্যতার নাকের নোলক কামড়ে
দিলো চিল
ধর্ষিতার হিমাচল ক্রন্দন; অভ্যন্তরে পুড়ছে আগুন
দ্বিপদী ধ্রুপদ#৫
হঠাৎ বৃষ্টি জলে স্নান
করে সমুখ বাগানের যত ফুল
ভুলে গেছি বেভুল ; অনাবৃষ্টি-জীবনের কত ভুল
চতুষ্পদী ধ্রুপদ
বুকের অন্তরঘরে বালিয়াড়ি
ঝড়
কে যেন বিছিয়েছে কবরে
চাদর
মৃত্যুতো বিপুল বিস্ময়
যদি অপঘাতে যেতে হয় তাই
এতো ভয়
আবার জলতরঙ্গ
আমি জন্মান্ধ নই
দৃষ্টিতে
নিত্য জাগে আলোকবর্তিকা,
প্রায় প্রতিদিন আলোকরেখা একবার না একবার ব্রাউজ করি। অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। হতাশ হই আজকাল প্রায়শঃ। আজ একটা দীর্ঘ কবিতা পেয়ে ভালো লাগলো। পুরোটা একবার পড়লাম। খুব ভালো লাগলো তবে এই কবিতা একবার পড়ে বোঝার নয়। আবার কয়েকবার পড়বো সময় নিয়ে। তারপর কবিতার ওপর মন্তব্য করবো। ভালো থাকবেন কবি অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ReplyDeleteমেহরাব রহমানের গুচ্ছকবিতা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। নতুন ধাচেঁর কবিতা। দ্বিপদী ধ্রুপদ গুলো তেমন বুঝতে না পারলেও বাকি কবিতা খুব সুন্দর। আমি কবিতা ভালোবাসি তাই ভালো বাসি আলোকরেখাকে। খুব খারাপ লাগে কোনো কবিতা না পেলে। .......
ReplyDeleteমেহরাব রহমানের গুচ্ছকবিতা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আবার জলতরঙ্গ কবিতায় সমসায়িক ধর্মান্ধতা দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন । খুব ভালো কবিতা যা প্রশংসার দাবিদার।
ReplyDeleteমেহরাব রহমানের গুচ্ছকবিতা পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
ReplyDeleteশুরুতেই কবি মেহরাব রহমান নিজেকে পুরোপুরি সমর্পিত করে "গল্প এখানেই শেষ" বলে ঘোষণা দিয়ে অতঃপর নিঃশর্ত ছাড়পত্র নিয়ে যখন কবিতা লিখতে বসে গেলেন তখন তাঁর কোথাও পৌঁছানোর কোন তাড়া নেই, জবাবদিহিতা নেই, শুধু বন্দনার ভালোলাগা! আর এই সুবাদে আমরা পেয়ে গেলাম মুক্তোর মালা সদৃশ্য একগুচ্ছ কবিতা! এবারের কবিতাগুচ্ছে যেটা ভীষণ ভাবে দৃশ্যমান সেটা হলো ভাব আর প্রকাশের স্বতঃস্ফূর্ততা এবং এ দুইয়ের যুগল-বন্দী! এবং ফলশ্রুতিতে নান্দনিকতার পরশে পাঠক হিসেবে মনের ভেতরে পবিত্র আনন্দানুভূতি! এবং অবশেষে কবির সাথে আমরাও "প্রার্থনায় নতজানু;" আমরাও বলে উঠি, "আমি ভালোবাসি"! সবশেষে, কবির উপলব্ধি আত্মস্থ করে জেনে যাই, যতই বৃহৎ কিংবা শুদ্ধ হোক না কেন আমাদের তাবৎ অর্জন, অদৃশ্য বা শূন্য সেই স্বত্বার ক্ষমা আমাদের পরিত্রান এর জন্যে অবশ্য অবশ্য প্রয়োজন! আর তাই কবির কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বিনয়াবত আমরাও বলি, "প্রভু ক্ষমা করো!"
ReplyDeleteতাঁর নিজের আধ্যাত্ব সাধনায় আমাদেরকেও সাথে নেয়ার জন্যে কবিকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা!
সুপ্রিয় আশরাফ
Deleteআমার কবিতার অসাধারণ ব্যাবচ্ছেদ এর জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা
আমার নিজের কাছেই এক নুতন দুয়ার খুলে গেলো