***
তোমার শক্ত মুঠোয় ছিল আমার যুগল চন্দ্রচূড়
ওতে উল্কা রেখেছিলে গাঢ় ঠোঁটে;
সিঁদুর লাল পদ্ম ছুঁয়েছিলে সেদিন
ভিজিয়ে দিয়েছিলে নরম পাপড়িগুলো;
আমার পিঠ জুড়ে এঁকেছিলে বর্ষার ফালি
যেন গুহায় প্রাগৈতিহাসিক ষাঁড়ের আঁচড়;
আগুন পড়িয়েছিলে .......
শৃঙ্গারে আর ক্ষুরধারে,
প্লাবনে আর জলোচ্ছাসে
পূজো দিয়েছিলে আমায়।
*
দেবতা আমার,
আজো কেন ঘুরে বেড়ায় আঁচলের স্নিগ্ধ রোদ তোমারি আঙিনায় ?
আজো কেন ছুঁয়ে যায় মুখের উপর মুখোশ, তার উপর আরো মুখশ্রী ?
আর কতকাল আঁকড়ে ধরে রাখবো এই স্বপ্নের সমীকরণ ?
এর চেয়ে ঢের ভালো -
দয়া করো
কৃতার্থ করো
চন্দনে মোড়াও;
আজকের এই ভরা অপরাহ্নে
আমার মুখাগ্নি করো।
*
অসহ্য তোমার এ তির্যক অবহেলা
অসহ্য তোমার এ স্পর্ধিত অহংকার
অসহ্য তোমার এ উন্মত্ত দম্ভ
অসহ্য ! অসহ্য !! অসহ্য !!!
মুনা চৌধুরীর "মুখাগ্নি করো আমায়" অনিন্দ্য প্রেমের কবিতা। খুবই ভালো লাগলো প্রেমের বর্ণনা। সাথে এক বেদনা। এতো নিবিষ্ট ভালো বাসার পর অবহেলা সত্যিই অসহ্য। মুনা চৌধুরীর লেখা কবিতা হৃদয়ের কাছাকাছি সর্বদা। অনেক ভালোবাসা কবি। ভালো থাকবেন।
ReplyDeleteমুনা চৌধুরীর "মুখাগ্নি করো আমায়" এক অনবদ্য প্রেমের কবিতা। খুবই ভালো লাগলো ।প্রেমের লীলার অপূর্ব বর্ণনা করেছেন এই কবিতায়। ভালোবাসার প্লাবনে প্লাবিত কবি। দারুন। তির্যক অবহেলা ,স্পর্ধিত অহংকার অথবা উন্মত্ত দম্ভ সেই প্রেম যখন কষ্ট দেয় তখন সত্যিই তা অসহ্য ! অসহ্য !! অসহ্য !!!
ReplyDeleteকবির কবিতা শুধু প্রেমের নয় প্রেমের সাথে সাথে আরো অনেক কিছু আসে যা ভবিতব্য। প্রেম যেমন মধুর শৃঙ্গার তেমনি বিবস্বতা থাকে। তাতে অসহ্য বা মুখাগ্নি করার প্রয়োজনীয়তা নেই। অতিরঞ্জিত।
ReplyDeleteমুনা চৌধুরীর "মুখাগ্নি করো আমায়" এক অনবদ্য প্রেমের কবিতা। খুবই ভালো লাগলো ।
ReplyDeleteআলোকরেখার পাতায় কবি মেহরাব রহমানের "রেজারেকশন" কবিতায় পুনর্জন্মের জন্যে কবির একান্ত গভীর প্রার্থনার অনুরণন মিলিয়ে যেতে না যেতেই এর অব্যবতিত পরেই মুনা চৌধুরীর "মুখাগ্নী করো আমায়" কবিতা আমাদের সত্বাকে অবশ্যম্ভাবী ভাবে এক মার্গীয় স্তরে নিয়ে যায়, যেখানে এই পার্থিব দেহ বিসর্জনের প্রার্থনা স্বতত উচ্চারিত!
ReplyDeleteহ্যাঁ, এই দেহ মৈথুনে শৃঙ্গারে একদা তপ্ত ও তৃপ্ত হলেও যখন হৃদয় যেতে চায় উত্তরোত্তর আনন্দ বিহারে তখনি যেন হয় নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ! জেগে ওঠা অন্তরাত্মা তখন এই দেহ পিঞ্জর এর সীমানা পেরিয়ে নিজের অস্তিত্ব সমর্পন করে অবয়বহীনতায় লীন হয়ে যেতে চায় আনন্দ সাগরে!
শব্দ দিয়ে জীবন্ত ছবি আঁকায় পটিয়সী মুনা চৌধুরী তাঁর শৃঙ্গার তৃপ্ত দেহ-মনের ভালোলাগা যেমন পাঠকের সাথে ভাগাভাগি করেছেন; ঠিক তেমনি করে এর পরপরই অত্যন্ত সুনিপুনভাবে আমাদের সবাইকে বুঝিয়েছেন পুত-পবিত্র আদিতে ফিরে চন্দন সুবাসিত বাসরে মগ্ন হবার ক্ষণ উপস্থিত হবার পূর্বের যে অপেক্ষা সেটার কষ্ট!
তাঁর "মুখাগ্নী করো আমায়" কবিতার মাধ্যমে পাঠকদের একটা মার্গীয় ধ্যানমগ্নতায় পৌঁছে দেবার জন্যে মুনা চৌধুরীকে প্রণতি!