আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও মাতাল পংক্তিমালা ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    মাতাল পংক্তিমালা

     




    মাতাল পংক্তিমালা
    মেহরাব রহমান

    ১০/৯/২০২২ ইং
    টরোন্টো

    সুবর্ণ সোনার চামচ মুখে নিয়ে
    অতল… অবতল…অব্যয়…অক্ষয়… :
    জোতির্ময় প্রেম
    এখন অবনত ফ্রেম
    বাঁধানো দেয়াল
    শুধুই মনের খেয়াল?
    বর্তমান :
    নোনাধরা চুনকাম… লোনা ঘাম
    প্রেমপত্রহীন… রংজ্বলা শূন্য খাম
    আহা খোলামাঠ…
    শেওলাধরা পুকুরঘাট
    কড় কড়ে দুপুর… চৈত্ররোদ্দুর…
    স্মৃতির মলাটবিহীন
    বইটা অসহনীয় ঘামছে অন্তহীন
    রোজনামচা লেখা হয়
    চড়াই উৎরাই, তবুও জীবন
    জীবনের জায়গান লিখে যায়
    ঠিক ঠাক ঠিক…
    ঠিক… ঠিক…
    ঘড়ির কাঁটা ধরে
    পাতাল রেল চলছে
    ঝিক ঝিক ঝিক…
    খামচে ধরে উড়ন্ত বেলা
    খেলা হয় বেলা অবেলা … কালবেলা …
    পোড় খাওয়া সিগারেট… জ্বলন্ত আগুন…
    অন্তরঘরে মরাকান্না
    না … না … আর-না …
    হায় কত নাপাওয়ার বেদনা
    কিছুতেই যায়না হাতে গোনা
    হারানোর ক্ষতচিহ্ন-দাগ
    যত রাগ-অনুরাগ
    আলমিরার গোপন ড্রয়ারে লুকানো
    কিছুটা মেহরাবের
    প্রিয় জামার অস্তিনে গুটানো

    মাঝে মধ্যে সব অর্জন
    হঠাৎ … চিহ্নভিন্ন
    একবারে নিশ্চিহ্ন…

    পূজনীয় একান্ত নারীর উপাসনায়
    কৃষ্ণপক্ষ রাতের মোহনাও চমকায়
    ওর সমান্তরাল মিশমিশে কালো
    কোঁকড়ানো চুল
    কোথায় হারালো ঐ সব গন্ধ-বকুল
    তবে সবইকি ছিল ভুল?
    সদ্য ঘুম থেকে জেগে ওঠা
    আহা তার স্বপ্নভঙ্গ চুরচুর
    মদমত্ত ঢুলু ঢুলু চোখ
    আজও অসম্ভব লোভাতুর
    আগুন জ্বালানিয়া নেশাতুর
    সে আমাকে নিয়ে পাড়ি জমায়
    দংশননীল স্রোতধারায়
    বন্দর থেকে বন্দর
    দূর সমুদ্দুর

    দেহাতি মিলন
    যদি হয় বাঁধনহীন একাকার মেলবন্ধন
    মিলেমিশে যদিবা আনন্দ উচ্চারণ
    এর কোনো লিপিবদ্ধ ব্যাকরণ
    কিংবা অভিদান নেই
    সে এক অধরা
    অলৌকিক বিমূর্ত আনন্দ
    মাত্রাহীন সরবৃত্ত ছন্দ
    আহা সেই দুরন্ত উষ্ঠদয়
    আবার যখন অশান্ত হয়
    পরতে পরতে কাঠকয়লার পোড়া আগুন
    ধোঁয়াটে গন্ধ বুকে নিয়ে দেহতে দোঁহাতে
    জলের মত মিশে যাওয়া
    অবেলার বসন্ত হাওয়া
    যেন সমর্পিত সিজদা
    জায়নামাজে
    পারোলৌকিক মোনাজাত এবং …

    সিজদাতো হয়েছে ঢের
    তসবিহ ছাড়ো
    এখন যাপিত জীবনের
    জপমালা হাতে নাও
    সুবর্ণ নারী আমার
    দেখা দাও :
    রাতের উত্তপ্ত উদযাপন-বিছানায়
    ভিন্ন পরিধানে
    নিমগ্ন হও অন্য প্রার্থনায়
    মনো-দৈহিক প্রেম-আরাধনা
    যাপিত জীবন
    জীবনের বড় ইবাদত
    শীতশীত অন্ধকারে
    আকারে কি নিরাকারে
    পড়ে থাকতে
    কিযে ভাল লাগে
    কিযে ভাল লাগে … … … …


     http://www.alokrekha.com

    10 comments:

    1. শর্মিলা সেনNovember 5, 2022 at 5:09 PM

      মাতাল পংক্তিমালা কবিতায় কবি মেহরাব রহমান অসাধারণ কতগুলো শব্দ দিয়ে অনন্য এক কবিতা রচনা করেছেন। খুব সুন্দর জীবন বোধের কবিতায় মনটা ভরে উঠলো। অনেক ভালোবাসা কবি।

      ReplyDelete
      Replies
      1. আমার ঈশ্বর যখন আমাকে বাণী দেন
        আমি অস্থির থাকি কোনটা ফেলে কোনটি লিখি
        একে কবিতায় রূপান্তর খুব পরিশ্রমের কাজ
        আমি কবিতা-শ্রমিক তাই এই ধকল সইতে পারি
        আমার স্রষ্টার কাছে আমি কৃতজ্ঞতায় নতজানু হই
        আবার এই পেঁচানো কবিতা যখন আমার সুহৃদ পাঠক উদ্ধার করতে পারেন অর্থাৎ তাঁদের ভালো লাগে এবং চিন্তাশীল মন্তব্য করেন তখন আমি ভাষা খুঁজে পাইনা কী বলে ধন্যবাদ দেব
        যাই হোক তাঁদের আমি আমার বিনম্র কৃতজ্ঞতা জানাই

        Delete
    2. রায়হান সোবহানNovember 5, 2022 at 5:13 PM

      মাতাল পংক্তিমালা কবিতায় মেহরাব রহমান মনের অদ্ভুত এক রূপ তুলে ধরেছেন। নামকরণ দারুন ভিন্নধর্মী কবিতা । খুব ভালো লাগলো পড়ে। অনেক শুভকামনা কবি।

      ReplyDelete
    3. কামরুজ্জামান হীরাNovember 5, 2022 at 6:44 PM

      মাতাল পংক্তিমালা কবিতা কবিতা পড়ে খুব ভালো লাগলো ।"আলো আঁধারির খেলা মাতাল পংক্তিমালা "। কবিতা পাঠের জন্য অতি উত্তম।মেহরাব রহমান মাতাল জীবনের অদ্ভুত এক রূপ তুলে ধরেছেন। নামকরণ দারুন ভিন্নধর্মী কবিতা । খুব ভালো লাগলো পড়ে। অনেক শুভকামনা কবি।

      ReplyDelete
    4. মিতালী মুখার্জীNovember 5, 2022 at 6:47 PM

      কবি মেহরাব রহমানের মাতাল পংক্তিমালা কবিতা কবিতা পড়ে খুব ভালো লাগলো । অনেক শুভকামনা কবি।

      ReplyDelete
    5. ডঃ অজিত গুহNovember 5, 2022 at 6:53 PM

      কবি মেহরাব রহমানের মাতাল পংক্তিমালা কবিতা কবিতা পড়ে খুব ভালো লাগলো ।জীবন বোধের উচ্চ মানের কবিতা। কবি কবিতাকে কেটে ছিড়ে বিশ্লেষণ করেছেন। কবি তাঁর কবিতায় নিরীক্ষা করতে ভালোবসেন। আর তাঁর এই ভালোবাসায় প্রস্ফুটিত এই কবিতাখানি। কবিকে আন্তরিক অভিবাদন।

      ReplyDelete
    6. কবি মেহরাব রহমানের মাতাল পংক্তিমালা কবিতা পড়ে খুব ভালো লাগলো ।আধুনিক কবিতা বিশ্লেষণধর্মী। অত্যন্ত আধুনিক বিন্যাস-এ লেখা। খুব ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা !!!!

      ReplyDelete
    7. কৃষ্ণা সেনNovember 6, 2022 at 1:40 AM

      অনেক শুভকামনা কবি " মাতাল পংক্তিমালা " কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য। অতি উত্তম।মেহরাব রহমান মাতাল জীবনের অদ্ভুত এক রূপ তুলে ধরেছেন। ভিন্নধর্মী কবিতা । খুব ভালো লাগলো পড়ে।

      ReplyDelete
    8. ইয়াসমিন খন্দকারNovember 6, 2022 at 6:15 PM

      কবি মেহরাব রহমানের মাতাল পংক্তিমালা কবিতা পড়ে খুব ভালো লাগলো ।যাপিত জীবনের আধুনিক বিশ্লেষণধর্মী কবিতা । জীবন বোধের উচ্চ মানের কবিতা। প্রতিটি পংতি হৃদয়ের কাছাকাছি জীবনের কথা বলে। কবিকে আন্তরিক অভিবাদন।

      ReplyDelete
    9. আমার অত্যন্ত প্রিয় একজন কবি, মেহরাব রহমান, কবিতার নাম "মাতাল পংতিমালা" কেন দিয়েছেন সেটা বুঝতে হিমশিম খাচ্ছি! এই কবিতায় লিপিবদ্ধ সব কথা একজন মাতাল নয়, বরং একজন ধ্যানমগ্ন মানুষের কথা বলেই আমার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে! তবে হ্যাঁ, কবি যদি তাঁর ধ্যানমগ্নতাকে মাতলামো বলেন তাহলে তাঁর সাথে আলাপচারিতায় বসতে চাই ! কারণ কবিতায় উনি যা লিখেছেন তা তো কিছুতেই আবোল-তাবোলের পর্য্যায়ে পড়ে না !

      কবির কলমে যখন বেরিয়ে আসে,

      "দেহাতি মিলন
      যদি হয় বাঁধনহীন একাকার মেলবন্ধন
      মিলেমিশে যদিবা আনন্দ উচ্চারণ
      এর কোনো লিপিবদ্ধ ব্যাকরণ
      কিংবা অভিধান নেই
      সে এক অধরা
      অলৌকিক বিমূর্ত আনন্দ
      মাত্রাহীন সরবৃত্ত ছন্দ
      আহা সেই দুরন্ত উষ্ঠদয়
      আবার যখন অশান্ত হয়
      পরতে পরতে কাঠকয়লার পোড়া আগুন
      ধোঁয়াটে গন্ধ বুকে নিয়ে দেহতে দোঁহাতে
      জলের মত মিশে যাওয়া
      অবেলার বসন্ত হাওয়া
      যেন সমর্পিত সিজদা
      জায়নামাজে
      পারোলৌকিক মোনাজাত এবং …"

      এই কথাগুলোকে মাতালের প্রলাপ বলে চালিয়ে দেবার কোন সুযোগ তো নেই! এবং এই কথাগুলো বলার পরপরই কবি আবার লিখেছেনঃ

      " ... সিজদাতো হয়েছে ঢের
      তসবিহ ছাড়ো
      এখন যাপিত জীবনের
      জপমালা হাতে নাও
      সুবর্ণ নারী আমার
      দেখা দাও :
      রাতের উত্তপ্ত উদযাপন-বিছানায়
      ভিন্ন পরিধানে
      নিমগ্ন হও অন্য প্রার্থনায়
      মনো-দৈহিক প্রেম-আরাধনা
      যাপিত জীবন
      জীবনের বড় ইবাদত
      শীতশীত অন্ধকারে
      আকারে কি নিরাকারে
      পড়ে থাকতে
      কিযে ভাল লাগে
      কিযে ভাল লাগে … … … …"

      আমার তো মনে হয় উনি আমাদের তপ্ত-উন্মত্ত-আকুল-ব্যাকুল হৃদয়ের কথা বলেছেন যে হৃদয়ে আমরা সতত উপলদ্ধি করি,

      "............তবুও জীবন
      জীবনের জায়গান লিখে যায়
      ঠিক ঠাক ঠিক…
      ঠিক… ঠিক…
      ঘড়ির কাঁটা ধরে
      পাতাল রেল চলছে
      ঝিক ঝিক ঝিক…
      খামচে ধরে উড়ন্ত বেলা। ......."

      কবি বরাবরের মতোই এই কবিতায় সনাতন ভেঙে একটা নতুন বর্তমান রচনা করতে চেয়েছেন - তাই তার এই নিরীক্ষার চিহ্ন কবিতার প্রথম থেকে শেষ অবধি ! কি শব্দ চয়নে, কি বাক্য গঠনে, কি ছন্দ সৃষ্টিতে, কি দাঁড়ি-কমা-সেমিকোলনের ব্যবহারে - সর্বত্র তাঁর পরিচিত গন্ডি ভেঙে একটা নতুন দিগন্তের দিকে ধাবিত হবার, ধাবিত করার দুর্দমনীয় বাসনার প্রতিফলন !

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ