এই বর্তমান !
একটি একটি করে জ্বলে উঠছে আকাশের তারাগুলো টরন্টোর, এই নর্থ আমেরিকার স্ফটিকস্বচ্ছ অনেকটা নীল আর কিছুটা গেরুয়া রংয়ের ক্যানভাসে। দূরে কোথাও যদি সানাই বাজতো এই সময়টায় তাহলে কল্পনায় কোন বিয়ে বাড়ীর কন্যা বিদায়ের চিত্রায়নের অংশীদার হওয়া যেত ! অথবা যদি বিদায়ী গ্রীষ্মের পড়ন্ত বিকেল/সন্ধ্যায় সন্ধ্যা মালতী আবাহন শেষে জানালা বরাবর বসানো বিছনায় চিৎ হয়ে শুয়ে একরাশ জাবর কাটা আলস্যে কাউরো আলিঙ্গনকে মিস করার বিলাসে বালিশটাকে বুকে চেপে এপাশ-ওপাশ করা যেত, ভালো হতো !
ব্যক্তিগত কুশল বিনিময় থেকে শুরু করে প্লাবন-সাদৃশ্য সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যমের উচ্ছাসের আবর্তে স্মৃতি-কাতরতা বা nostalgia ইদানিং ওখানের মোট গিগাবাইটের ৯০ শতাংশের মত জায়গা নিয়ে থাকছে ! না, কোন অভিযোগ তোলার পায়তারা বা মুখবন্ধ এটা নয়! এই কারণে ওপরের কথাগুলোর উপস্থাপনা করা যে, এক সুন্দর সন্ধ্যায় এক জোড়া কলেজ পড়ুয়া প্রেমিক-প্রেমিকা মোমবাতির আলোয় ডিনার করতে দামী রেস্টুরেন্টে এসে টেবিলে মুখোমুখি বসেই হাতের সেলফোনে নিবিষ্ট হয়ে পড়ার মতো বর্তমান বা এই এক্ষণকে ইগনোর করে এখন নয় / এখানে নয়, অন্য কোনো সময়ের অন্য কোনোখানের অন্য কোনকিছুতে মগ্ন হয়ে আমরা যা হারাই বা হারাচ্ছি সেটা হলো আমাদের মহামূল্যবান এই মুহূর্তটা, এই পবিত্র মুহূর্তটা, এই বর্তমানটা !
আমার নিজের ব্যক্তিগত জীবনে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এক সারি স্বজন হারানোর ব্যথায় আক্রান্ত আমার ভঙ্গুর মন, সেইসাথে তারচেয়েও বেশী ভঙ্গুর আমার শরীরের ঋজুতা ! আমার এই অবস্থায় নিজের অজান্তেই বারবার আমি ভুলে যাই আমার সামনে/আমার কোলে বসা স্বর্গ থেকে নেমে আসা দেবশিশুদের মতো আনন্দ বিলানো একেকটি মূর্তিমান সুখ খেলা করছে এই মুহূর্তে, এই এক্ষণে ! তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করি কিংবা করিনা, তুলনা করি কিংবা করিনা যে সুখস্মৃতি বা nostalgia আচ্ছন্ন মন আমার, কোথায় তোমার সুখ?
আর যখন আমার অনিয়মিত উপস্থিতি সত্বেও, পাতায় বিলম্বিত পোস্ট সত্বেও তড়িৎ গতিতে আলোকরেখায় পাঠক প্রিয়তা নিরুপনের মাধ্যমটা অত্যন্ত স্পষ্টকরে জানান দেয় যে আরো এক লক্ষ পাঠক ভিজিট করেছে আলোকরেখার অনন্য প্রাঙ্গন এই জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আজকের এই সময়ের মধ্যে, তখন কি আর বর্তমানে হাজির না থেকে কোন উপায় থাকে? আমার আশা, আমার প্রার্থনা, আপনারা সবাই আমার সাথে আলোকরেখার বর্তমানের এই আনন্দযজ্ঞে সমান ভাবে অংশ নেবেন!
আরো এক লক্ষ পাঠকের সমাগমে আলোকরেখা। অনেক অনেক অভিনন্দন। যেভাবে আলোকরেখা এগিয়ে চলেছে আমারদের পাঠকদের অনুপ্রেরণা। খুবই ভালো লাগছে। আবারো অভিনন্দন।
ReplyDeleteআরো এক লক্ষ পাঠক!!! আলোকরেখাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। লেখাটা খুব অনবদ্য। খুব ভালো লাগলো পড়ে। লেখাটি সাহিত্য গুনে উত্তীর্ন। কিন্তু আরো এক লক্ষ পাঠক পূর্ন হওয়ার জন্য বার্তার সাথে একটু অসংশ্লিষ্ট মনে হয়েছে। আলোকরেখাকে অনেক অনেক অভিনন্দন।
ReplyDeleteতেতাল্লিশ লক্ষ পাঠক!!! আলোকরেখাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। লেখাটা খুবই অনবদ্য লেখা । খুব ভালো লাগলো পড়ে। লেখাটি সাহিত্য গুনে উত্তীর্ন। যত প্রশংসা করি না কে তা যথেষ্ট নয়। সানজিদা রুমির লেখার হাত অনন্য। অনন্য বিষয় উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক শুভ কামনা।
ReplyDeleteআলোকরেখাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। দেখতে দেখতে তেতাল্লিশ লক্ষ পাঠকে উত্তীর্ন হয়েছে!!! খুবই অনবদ্য লেখা । খুব ভালো। সানজিদা রুমির মনের কথাগুলো শব্দের মুক্তোমালায় গ্রথিত হয়েছে। তার লেখা বরাবরই অনন্য। সানজিদা রুমির স্বজন হারানোর ব্যথা ,শারীরিক অসুস্থতার মাঝেও আলোকরেখাকে সচল রেখেছেন সেই জন্য স্বাগতম। তার দ্রুত নিরাময়ের প্রার্থনা জানাই।আর আমরা আলোকরেখার সাথেই ছিলাম থাকবো। এই নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। অনেক অনেক ভালোবাসা।
ReplyDeleteতেতাল্লিশ লক্ষ পাঠকে উত্তীর্ন হয়েছে!!! আলোকরেখাকে অনেক অনেক অভিনন্দন।
ReplyDeleteআলোকরেখাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। তেতাল্লিশ লক্ষ পাঠকে পৌঁছেছে। অনবদ্য লেখা । সানজিদার ব্যক্তিগত জীবনে অতি স্বল্প সময়ে স্বজন হারানোর ব্যথা ,শারীরিক অসুস্থতার মাঝেও তিনি ভেঙে পড়েননি। নিয়মিত না হলেও আলোকরেখাকে চালিয়ে গেছেন। এটা করতে অনেক সাহসের প্রয়োজন। তার পরেও তিনি তার দেবশিশুদের নিয়ে আনন্দে বিলীন হয়েছেন তা প্রশংসনীয়। অনেক অনেক ভালোবাসা। ভাল থাকবেন।
ReplyDeleteঅনেক অনেক অভিনন্দন আলোকরেখা। তেতাল্লিশ লক্ষ পাঠক !!! সত্যিই আলোকরেখার পাঠকরা আলোকরেখাকে অনেক ভালোবাসে। এটা তার প্রমান। সানজিদা রুমির নানান প্রতিকূলতা থাকার কারণে আমরা নিয়মিত লেখা পাইনি। এমনও হয়েছে মাসের পর মাস কোন লেখা পাইনি। তবুও আলোকরেখা সচল থেকেছে। কারণ আমরা যারা আলোকরেখার পাঠক তারা আসলেও আলোকরেখাকে ভালোবাসি। আলোকরেখার পুরোনো মান সম্পন্ন লেখা পড়েই সন্তুষ্ট থেকেছি। সানজিদা রুমির সমীপে বলছি আমরা সদাই আলোকরেখার সাথে আছি। অনেক অনেক ভালোবাসা।
ReplyDeleteঅনেক অনেক অভিনন্দন। ৪৩ লক্ষ পাঠক !!! এটা কোনো সংখ্যা নয় পাঠকদের ভালোবাসা। আজকের এই বর্তমান লেখাটা সময়োপযোগী অতীব সুন্দর লেখনী। উজ্জ্বল তারকারাশি আকাশে স্ফটিকস্বচ্ছ অনেকটা নীল আর কিছুটা গেরুয়া রংয়ের ক্যানভাসে। বিদায়ী গ্রীষ্মের পড়ন্ত বিকেল/সন্ধ্যায় সন্ধ্যা মালতী আবাহন কি অপূর্ব অলংকরণ। সত্যিই এই লেখার যত প্রশংসা করি তা যথেষ্ট নয়। অনেক অনেক শুভ কামনা।
ReplyDeleteঅনেক অনেক অভিনন্দন। ৪৩ লক্ষ পাঠক !!! কি যে আনন্দ লাগছে ।আলোকরেখাকে সুস্বাগতম। আলোকরাখার চলার পথ সুন্দর সুগম হোক এই কামনা করি।আর লেখাটা এত বেশি হৃদয়গ্রাহী ও মর্মস্পর্শী তা প্রশংসনীয়। সানজিদা রুমির লেখার হাত আমার খুব প্রিয়। ভালো থেকো।
ReplyDeleteকি যে ভাল লাগছে আজ আলোকরেখা ৪৩ লক্ষ পাঠক ছাড়িয়েছে।আলোকরেখাকে সুস্বাগতম। আলোকরাখার চলার পথ সুন্দর সুগম হোক এই কামনা করি।আর লেখাটা এত সুন্দর ও মর্মস্পর্শী তা বলার অপেক্ষা রাখে না । সানজিদা রুমির লেখা আমার খুব প্রিয়।ভাল থাকবেন। অনেক অনেক শুভ কামনা।
ReplyDeleteআলোকরেখাকে সুস্বাগতম। আলোকরাখার চলার পথ সুন্দর সুগম হোক এই কামনা করি---
ReplyDeleteআলোকরেখাকে সুস্বাগতম। আলোকরাখার চলার পথ সুন্দর হোক এই কামনা করি।অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই আলোকরেখার সামনের চলার পথ আরো সুন্দর হোক। আলোকরেখাকে ও তার কবি লেখকদের জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা। আশা করি এর পর থেকে নিয়মিত লেখা পাবো
ReplyDeleteআলোকরেখাকে সুস্বাগতম। আলোকরাখার চলার পথ সুন্দর হোক এই কামনা করি।অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই আলোকরেখার সামনের চলার পথ আরো সুন্দর হোক। আলোকরেখাকে ও তার কবি লেখকদের জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন আর শুভেচ্ছা। ৪৩ লক্ষ পাঠক লেখাটা অনন্য বার্তা বহন করে। এত সুন্দর লেখা প্রশংসার দাবীদার। সানজিদা রুমিকে শুভ কামনা এমন একটা লেখা লেখার জন্য।
ReplyDeleteআলোক রেখার এই সাফল্যে আমি অনেক খুশী হয়েছি
ReplyDeleteরুমির প্রতিবেদনটি আমাকে আবেগ আক্রান্ত করেছে
সকল লেখক ও পাঠককে সাধুবাদ জানাই