আলোকের এই ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দাও -আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও-যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে..আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে..এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও..আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-তার নাইকো বাণী নাইকো ছন্দ নাইকো তান..তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁইয়ে দাও আসাদ চৌধুরী ~ alokrekha আলোক রেখা
1) অতি দ্রুত বুঝতে চেষ্টা করো না, কারণ তাতে অনেক ভুল থেকে যায় -এডওয়ার্ড হল । 2) অবসর জীবন এবং অলসতাময় জীবন দুটো পৃথক জিনিস – বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন । 3) অভাব অভিযোগ এমন একটি সমস্যা যা অন্যের কাছে না বলাই ভালো – পিথাগোরাস । 4) আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও , আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব- নেপোলিয়ন বোনাপার্ট । 5) আমরা জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করি না বলে আমাদের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না – শিলার । 6) উপার্জনের চেয়ে বিতরণের মাঝেই বেশী সুখ নিহিত – ষ্টিনা। 7) একজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি আরেকজন ঘুমন্ত ব্যাক্তি কে জাগ্রত করতে পারে না- শেখ সাদী । 8) একজন দরিদ্র লোক যত বেশী নিশ্চিত , একজন রাজা তত বেশী উদ্বিগ্ন – জন মেরিটন। 9) একজন মহান ব্যাক্তির মতত্ব বোঝা যায় ছোট ব্যাক্তিদের সাথে তার ব্যবহার দেখে – কার্লাইন । 10) একজন মহিলা সুন্দর হওয়ার চেয়ে চরিত্রবান হওয়া বেশী প্রয়োজন – লং ফেলো। 11) কাজকে ভালবাসলে কাজের মধ্যে আনন্দ পাওয়া যায় – আলফ্রেড মার্শা
  • Pages

    লেখনীর সূত্রপাত শুরু এখান থেকে

    আসাদ চৌধুরী


    আসাদ চৌধুরী

    আসাদ চৌধুরী (জন্ম: ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৩- মৃত্যু: ৫ অক্টোবর ২০২৩) বাংলাদেশের একজন কবি ও সাহিত্যিক ছিলেন। কবিতা ছাড়াও তিনি বেশ কিছু শিশুতোষ গ্রন্থ, ছড়া, জীবনী ইত্যাদি রচনা করেছেন। কিছু অনুবাদকর্মও তিনি সম্পাদন করেছেন। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে তার রচিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।
    তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন। তার কবিতা গীতিময় এবং ছন্দোদ্ভাসিত। তার ব্যঙ্গার্থক কবিতা 'কোথায় পালালো সত্য' একটি জনপ্রিয় পদ্য। আসাদ চৌধুরী ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩ খ্রীষ্টাব্দের তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বাকেরগঞ্জ জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া জমিদার বাড়িতে একটি সম্ভ্রান্ত বাঙ্গালী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যারা উলানিয়ার চৌধুরী বংশ হিসাবে পরিচিত। তাঁর পূর্বপুরুষ শায়খ মহম্মদ আসাদ আলী পারস্য থেকে ভারতবর্ষের অযোধ্যা শহরে আসেন। তারপর সেখান থেকে বাংলার মুর্শিদাবাদে আসেন। শায়খ মহম্মদ আসাদ আলীর নাতির ঘরের নাতির ছেলে মহম্মদ হানিফ ছিলেন সুবাহদার শায়েস্তা খাঁর অন্যতম সেনানায়ক, যিনি মগ-পর্তুগিজ জলদস্যু দমনে কর্মরত এবং গোবিন্দপুরের সংগ্রাম কেল্লার জমাদার ছিলেন। হানিফ বৃহত্তর বরিশালের তেতুলিয়া গাঁওয়ে বসবাস শুরু করেন। এই বংশের মহম্মদ তকি তেঁতুলিয়া জমাদার বাড়ি ছেড়ে উলানিয়ায় বসতি স্থাপন করেন। তাঁর ছেলে হাসন রাজা হলেন আসাদ চৌধুরীর পরদাদা এবং তিনি তাঁর দুই ভাই কালা রাজা ও নয়া রাজার সাথে সুপারি, লবণ, চালের ব্যবসা করে কলকাতার মারোয়াড়িদের বিখ্যাত বণিক হুকুম চাঁদের সাথে মিত্রতা লাভ করেন। তিন পরদাদারা লালগঞ্জ, আলিগঞ্জ ও কালিগঞ্জ বন্দর প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রচুর ফুলুস জমা করে ইদিলপুর জমিদারী স্থাপন করেন। আসাদ চৌধুরীর বংশলতিকা হচ্ছে: আসাদ চৌধুরী ইবনে মহম্মদ আরিফ চৌধুরী ইবনে এছলাম চৌধুরী ইবনে মজিদ চৌধুরী ইবনে হাসন রাজা ইবনে মহম্মদ তকি। আসাদ চৌধুরীর মাতার নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম। আসাদ চৌধুরীর স্ত্রীর নাম সাহানা বেগম।আসাদ চৌধুরী আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে। পরবর্তীকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অধ্যয়ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকে যাওয়ার পর কলেজে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে আসাদ চৌধুরীর চাকুরিজীবন শুরু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীকালে ঢাকায় স্থিত হবার পর তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবাদিকতা করেছেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ভয়েজ অব জার্মানীর বাংলাদেশ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে দীর্ঘকাল চাকুরীর পর তিনি এর পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।আসাদ চৌধুরী কানাডায়  আসোয়া লেকরিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ অক্টোবর ২০২৩ মৃত্যুবরণ করেন।তাঁর মৃত্যতে বাংলা সাহিত্যের অপরিসীম ক্ষতি হলো। 




    প্রকাশিত গ্রন্থ
    কবিতা
    তবক দেওয়া পান (১৯৭৫);
    বিত্ত নাই বেসাত নাই (১৯৭৬);
    প্রশ্ন নেই উত্তরে পাহাড় (১৯৭৬);
    জলের মধ্যে লেখাজোখা (১৯৮২);
    যে পারে পারুক (১৯৮৩);
    মধ্য মাঠ থেকে (১৯৮৪);
    মেঘের জুলুম পাখির জুলুম (১৯৮৫);
    আমার কবিতা (১৯৮৫);
    ভালোবাসার কবিতা (১৯৮৫);
    প্রেমের কবিতা (১৯৮৫);
    দুঃখীরা গল্প করে (১৯৮৭);
    নদীও বিবস্ত্র হয় (১৯৯২);
    টান ভালোবাসার কবিতা (১৯৯৭);
    বাতাস যেমন পরিচিত (১৯৯৮);
    বৃন্তির সংবাদে আমি কেউ নই (১৯৯৮);
    কবিতা-সমগ্র (২০০২);
    কিছু ফল আমি নিভিয়ে দিয়েছি (২০০৩);
    ঘরে ফেরা সোজা নয় (২০০৬)।
    প্রবন্ধ-গবেষণা
    কোন অলকার ফুল (১৯৮২)
    শিশুসাহিত্য
    রাজার নতুন জামা (রূপান্তর, ১৯৭৯);
    রাজা বাদশার গল্প (১৯৮০);
    গ্রাম বাংলার গল্প (১৯৮০);
    ছোট্ট রাজপুত্র (অনুবাদ : ১৯৮২);
    গর্ব আমার অনেক কিছুর (১৯৯৬);
    ভিন দেশের মজার লোককাহিনী (১৯৯৯);
    তিন রসরাজের আড্ডা (১৯৯৯)
    কেশবতী রাজকন্যা (২০০০);
    গ্রাম বাংলা আরো গল্প (২০০০)
    তোমাদের প্রিয় চার শিল্পী (জীবনী, ২০০০);
    জন হেনরি (আমেরিকার লোককাহিনী, ২০০১);
    মিকালেঞ্জেনো (জীবনী, ২০০১)
    ছোটদের মজার গল্প (২০০১);
    সোনার খড়ম (২০০৬);
    মুচি-ভ’তের গল্প (২০০৬)।
    জীবনী
    সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু (১৯৮৩);
    রজনীকান্ত সেন (১৯৮৯);
    স্মৃতিসত্তায় যুগলবন্দী (২০০১)।
    ইতিহাস
    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ (১৯৮৩)।
    অনুবাদ
    বাড়ির কাছে আরশিনগর : বাংলাদেশের উর্দু কবিতা (২০০০);
    প্যালেস্টাইন ও প্রতিবেশী দেশের প্রতিবাদী কবিতা (২০০৫)।
    সম্পাদনা
    যাদের রক্তে মুক্ত এদেশ (১৯৯১ যুগ্মভাবে);
    ছয়টি রূপকথা (১৯৭৯)।
    পুরস্কার ও সম্মাননা
    আবুল হাসান স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৫);
    অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২);
    বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮৭);
    শম্ভুগঞ্জ এনায়েতপুরী স্বর্ণপদক (১৯৯৯);
    ত্রিভুজ সাহিত্য পুরস্কার,
    বরিশাল বিভাগীয় স্বর্ণপদক,
    অশ্বনী কুমার পদক (২০০১);
    জীবনানন্দ দাশ পদক;
    অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক;
    জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার (২০০৬)।
    বঙ্গবন্ধু সম্মাননা ১৪১৮[৬]
    একুশে পদক, (২০১৩) [৭]
    শব্দভূমি আজীবন সাহিত্য সম্মাননা (২০১৮)
     

    সানজিদা রুমি কর্তৃক গ্রথিত http://www.alokrekha.com

    4 comments:

    1. মোহন সিরাজীOctober 5, 2023 at 4:20 PM

      আসাদ চৌধুরী বাংলাদেশের একজন কবি ও সাহিত্যিক ছিলেন। কবিতা ছাড়াও তিনি বেশ কিছু শিশুতোষ গ্রন্থ, ছড়া, জীবনী ইত্যাদি রচনা করেছেন। কিছু অনুবাদকর্মও তিনি সম্পাদন করেছেন। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে তার রচিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছি।

      ReplyDelete
    2. রায়হান সোবহানOctober 5, 2023 at 4:27 PM

      প্রিয় কবি আসাদ চৌধুরী আজ সকলে মায়া ত্যাগ করে ওপারে চলে গেছেন। তাঁর বিদেহী আত্মার স্মরণে ও তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছি।

      ReplyDelete
    3. অসীম সাহাOctober 5, 2023 at 4:30 PM

      প্রিয় কবি আসাদ চৌধুরী পরপারের যাত্রা শুরু করেছেন । পেছনে রেখে গেলেন তাঁর পরিবার, কাজ আর আমাদের মত সবাইকে । তাঁর যাত্রাপথে আমদেরও একদিন যেতে হবে । পরিবারের সবার জন্য সহানুভুতি আর তাঁর নতুন যাত্রায় শুভকামনা।

      ReplyDelete
    4. ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন

      ReplyDelete

    অনেক অনেক ধন্যবাদ